নেত্রকোনা ০৫:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মদনে নবনির্মিত রাস্তার মাটি কেটে জমি নির্মানের অভিযোগ

  • আপডেট : ০১:৪৭:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০১৯
  • ৩১০

মদন (নেত্রকোনা) সংবাদদাতা : নেত্রকোনার মদন উপজেলায় কাইটাইল ইউনিয়নের ঝাওলা গ্রামের কৈলাহাতী হাওরে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের ৮ মে.টন গমের বিনিময়ে ফেরদৌসের বাড়ি হতে সরকারি হালট পর্যন্ত রাস্তাটি নির্মান কর হয়। নির্মিত রাস্তাটি দিয়ে সাধারণ জনগণ ও কৃষকের ফসলি জমির ধান উঠানোর একমাত্র ভরসা।

বুধবার (৬ নভেম্বর) গভীর রাতে একই এলাকার প্রভাবশালী কালাম (৪৫) সুমন (৩৬) দুলাল (৬০) বাবুল মেন্বার (৬০) এদের নেতৃত্বে ভেকু দিয়ে রাস্তাটি কেটে ফেলেছে বলে এক অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে রাস্তাটির মাঝ পথ কেটে দুই ভাগে বিবক্ত করে লম্বায় প্রায় ২০ ফুট এবং প্রসস্থ ৮ ফুট হতে অর্ধেকেরও বেশি রাস্তার মাটি কেটে চাষের জমিতে পরিনত করা হয়। এতে এলাকায় সাধারণ কৃষক ও জনগণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ওই এলাকার কৃষক ফরিদ, তাপস, কায়েস, তৌহিদ মিয়া, আবুল ইসলাম ডেন্ডু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ বছরেই ১৩০০ মিটার রাস্তাটি কৃষকের ফসলে জমির ধান উঠানোর জন্য নির্মান করে সরকার। কিন্তু রাতে অন্ধকারে রাস্তার পাশে জমি দাতারা কেনইবা কেটে ফেললো আর এর আগে কেনইবা মাটি কেটে রাস্তা নির্মান করা হলো। এখন আবার তা কেটে নিল তাতে আমরা দিশেহারা হয়ে পরেছি। কিছু দিনের মধ্যেই আমাদের জমির ধান কাটা শুরু হবে। কিভাবে আমরা রাস্তা ছাড়া ধান ঘরে তুলবো তা নিয়ে চিন্তায় আছি। তাই আমাদের দাবি ফসলি জমি কাটার আগেই যেন রাস্তাটি নির্মান করে দেওয়া হয়।

এব্যাপারে কাইটাইল ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লাহ রয়েল জানান, একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ওই রাস্তাটির কাজ সরকারি হালট পযর্ন্ত নির্মান করা হয়। বাকি রাস্তাটি কৃষক ও বিলের মাছ চাষিরা নিজেদের অর্থে নির্মান করেছে।

মদন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়ালিউল হাসান বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে উপজেলা বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা ও ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।

পূর্বধলায় দলিল লিখক সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন

মদনে নবনির্মিত রাস্তার মাটি কেটে জমি নির্মানের অভিযোগ

আপডেট : ০১:৪৭:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০১৯

মদন (নেত্রকোনা) সংবাদদাতা : নেত্রকোনার মদন উপজেলায় কাইটাইল ইউনিয়নের ঝাওলা গ্রামের কৈলাহাতী হাওরে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের ৮ মে.টন গমের বিনিময়ে ফেরদৌসের বাড়ি হতে সরকারি হালট পর্যন্ত রাস্তাটি নির্মান কর হয়। নির্মিত রাস্তাটি দিয়ে সাধারণ জনগণ ও কৃষকের ফসলি জমির ধান উঠানোর একমাত্র ভরসা।

বুধবার (৬ নভেম্বর) গভীর রাতে একই এলাকার প্রভাবশালী কালাম (৪৫) সুমন (৩৬) দুলাল (৬০) বাবুল মেন্বার (৬০) এদের নেতৃত্বে ভেকু দিয়ে রাস্তাটি কেটে ফেলেছে বলে এক অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে রাস্তাটির মাঝ পথ কেটে দুই ভাগে বিবক্ত করে লম্বায় প্রায় ২০ ফুট এবং প্রসস্থ ৮ ফুট হতে অর্ধেকেরও বেশি রাস্তার মাটি কেটে চাষের জমিতে পরিনত করা হয়। এতে এলাকায় সাধারণ কৃষক ও জনগণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ওই এলাকার কৃষক ফরিদ, তাপস, কায়েস, তৌহিদ মিয়া, আবুল ইসলাম ডেন্ডু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ বছরেই ১৩০০ মিটার রাস্তাটি কৃষকের ফসলে জমির ধান উঠানোর জন্য নির্মান করে সরকার। কিন্তু রাতে অন্ধকারে রাস্তার পাশে জমি দাতারা কেনইবা কেটে ফেললো আর এর আগে কেনইবা মাটি কেটে রাস্তা নির্মান করা হলো। এখন আবার তা কেটে নিল তাতে আমরা দিশেহারা হয়ে পরেছি। কিছু দিনের মধ্যেই আমাদের জমির ধান কাটা শুরু হবে। কিভাবে আমরা রাস্তা ছাড়া ধান ঘরে তুলবো তা নিয়ে চিন্তায় আছি। তাই আমাদের দাবি ফসলি জমি কাটার আগেই যেন রাস্তাটি নির্মান করে দেওয়া হয়।

এব্যাপারে কাইটাইল ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লাহ রয়েল জানান, একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ওই রাস্তাটির কাজ সরকারি হালট পযর্ন্ত নির্মান করা হয়। বাকি রাস্তাটি কৃষক ও বিলের মাছ চাষিরা নিজেদের অর্থে নির্মান করেছে।

মদন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়ালিউল হাসান বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে উপজেলা বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা ও ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।