নেত্রকোনা ১২:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মদনে কালর্ভাটের মুখ বন্ধ করে দেয়ায় জলাবদ্ধতা, ৫ একর আমন জমি পতিত থাকার আশঙ্কা

  • আপডেট : ০৫:২১:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০১৯
  • ২২৮

মোতাহার আলম চৌধুরী,মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ

নেত্রকোনার মদনের তিয়শ্রী-ফতেপুর এল জি ই ডি সড়কের রুদ্রশ্রী গ্রামের আবুল কাশেমের জমির উপর বক্স কালর্ভাটের মুখ বন্ধ করায় পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় জলাবদ্ধতায় কৃষকদের দূর্ভোগের অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রায় ৫ একর রোপা আমন জমি পতিত থাকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে প্রকাশ, উপজেলার তিয়শ্রী-ফতেপুর সড়কে রুদ্রশ্রী গ্রামের আবুল কাশেমের জমির উপর নির্মান করা বক্স কালভার্ট দিয়ে এ হাওরের পানি নিষ্কাশন হয়। সম্প্রতি রুদ্রশ্রী গ্রামের আবুল কাশেম উক্ত কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দেওয়ায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। ফলে কালভার্টের মুখের জমিতে অতিরিক্ত পানি জমে থাকায় কৃষকগণ আমন ধান রোপন করতে পারছে না। এ কালভার্টের মুখ অচিরেই খোলে না দিলে এলাকার প্রায় ৫ একর জমি অনাবাদি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

রুদ্রশ্রী গ্রামের কৃষক হাজ্বী জমির উদ্দিন, ফিনজর আলী, রতন ,আনার ও সাদ্দাম জানান, সড়কের কালভার্টের মুখ আবুল কাশেম বন্ধ করে দেয়ায় আমাদের জমিতে অতিরিক্ত পানি জমে থাকায় আমন জমি রোপন করতে পারছি না। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। দ্রæত কালভার্টের মুখ খোলে না দিলে আমাদের প্রায় ৫ একর জমি পতিত থাকবে।

আবুল কাশেমের মা রোকেয়া আক্তার জানান, বক্স কালভার্টটি নির্মাণ করার সময় আমাদের ক্ষতির কারণ দেখিয়ে বাধা দিলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের লোকজন বলেছিল আমরা নিমার্ণ করে যাই পরে আপনারা বন্ধ করে দিয়েন। আমাদের ক্ষতি হয় তাই আমার ছেলে তা বন্ধ করে দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, কালভার্টের মুখ খোলে দেয়ার জন্য আবুল কাশেমকে কয়েক বার বলা হয়েছে। কিন্তু সে তা খোলে না দিয়ে জনদূর্ভোগ বাড়াচ্ছে। এ ব্যাপারে কৃষকগণ কর্তৃপক্ষের বরাবরে অভিযোগ দায়ের করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি সুপারিশ করেছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্তকর্তা মোঃ ওয়ালীউল হাসান জানান, এ ব্যাপারে কৃষকদের একটি অভিযোগ পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট তহসিলের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে দ্রæত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

মদনে কালর্ভাটের মুখ বন্ধ করে দেয়ায় জলাবদ্ধতা, ৫ একর আমন জমি পতিত থাকার আশঙ্কা

আপডেট : ০৫:২১:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০১৯

মোতাহার আলম চৌধুরী,মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ

নেত্রকোনার মদনের তিয়শ্রী-ফতেপুর এল জি ই ডি সড়কের রুদ্রশ্রী গ্রামের আবুল কাশেমের জমির উপর বক্স কালর্ভাটের মুখ বন্ধ করায় পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় জলাবদ্ধতায় কৃষকদের দূর্ভোগের অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রায় ৫ একর রোপা আমন জমি পতিত থাকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে প্রকাশ, উপজেলার তিয়শ্রী-ফতেপুর সড়কে রুদ্রশ্রী গ্রামের আবুল কাশেমের জমির উপর নির্মান করা বক্স কালভার্ট দিয়ে এ হাওরের পানি নিষ্কাশন হয়। সম্প্রতি রুদ্রশ্রী গ্রামের আবুল কাশেম উক্ত কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দেওয়ায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। ফলে কালভার্টের মুখের জমিতে অতিরিক্ত পানি জমে থাকায় কৃষকগণ আমন ধান রোপন করতে পারছে না। এ কালভার্টের মুখ অচিরেই খোলে না দিলে এলাকার প্রায় ৫ একর জমি অনাবাদি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

রুদ্রশ্রী গ্রামের কৃষক হাজ্বী জমির উদ্দিন, ফিনজর আলী, রতন ,আনার ও সাদ্দাম জানান, সড়কের কালভার্টের মুখ আবুল কাশেম বন্ধ করে দেয়ায় আমাদের জমিতে অতিরিক্ত পানি জমে থাকায় আমন জমি রোপন করতে পারছি না। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। দ্রæত কালভার্টের মুখ খোলে না দিলে আমাদের প্রায় ৫ একর জমি পতিত থাকবে।

আবুল কাশেমের মা রোকেয়া আক্তার জানান, বক্স কালভার্টটি নির্মাণ করার সময় আমাদের ক্ষতির কারণ দেখিয়ে বাধা দিলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের লোকজন বলেছিল আমরা নিমার্ণ করে যাই পরে আপনারা বন্ধ করে দিয়েন। আমাদের ক্ষতি হয় তাই আমার ছেলে তা বন্ধ করে দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, কালভার্টের মুখ খোলে দেয়ার জন্য আবুল কাশেমকে কয়েক বার বলা হয়েছে। কিন্তু সে তা খোলে না দিয়ে জনদূর্ভোগ বাড়াচ্ছে। এ ব্যাপারে কৃষকগণ কর্তৃপক্ষের বরাবরে অভিযোগ দায়ের করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি সুপারিশ করেছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্তকর্তা মোঃ ওয়ালীউল হাসান জানান, এ ব্যাপারে কৃষকদের একটি অভিযোগ পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট তহসিলের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে দ্রæত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি।