নেত্রকোনা ০১:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মদনে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার-১

নেত্রকোনার মদনে ধর্ষণ মামলার অভিযোগে রিপন মিয়া (২৫) নামের এক ধর্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর থানা থেকে গ্রেফতার করে তাকে মদন থানায় নিয়ে আসা হয়।

উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের লাছারকান্দা গ্রামের কেনু মিয়ার ছেলে রিপন মিয়ার পরকীয়া করে একই ইউনিয়নের দেওয়ান পাড়া (গুয়াইসপুর) গ্রামের বিবাহিত এক নারীকে নিয়ে ঢাকায় পালিয়ে যায়। সেখানে কোর্টে এফিডেভিট মূলে বিয়ে করে স্বামী স্ত্রী হিসাবে দুই মাস ঘরসংসার করে। এরই মধ্যে নারী বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসলে তার খোঁজখবর না নেওয়ায় সে পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করতে থাকে। অনশনের বিষয়টি ছেলের বাবা থানায় জানালে শুক্রবার পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে নারীকে থানায় নিয়ে যায়। ওই রাতে ভিক্টিম থানায় পরকীয়া স্বামী রিপনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা থেকে রিপন মিয়াকে গ্রেফতার করে শনিবার রাতে থানায় নিয়ে আসে।

সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, রিপন মিয়ার পরকীয়ায় গুয়াইসপুর গ্রামের বিবাহিত ওই নারী ঘর ছেড়ে দুই মাস স্বামী-স্ত্রী হিসাবে ঢাকায় বসবাস করার খবর পেয়েছি। মেয়েটি যখন ছেলের বাবার বাড়িতে লাছারকান্দায় বিয়ের দাবিতে অনশন করছিল তখন বিষয়টি ছেলের বাবাকে থানায় জানাতে পরামর্শ দেই। এরই প্রেক্ষিতে পুলিশ ওই নারীকে থানায় নিয়ে যায় এবং রিপনের বিরুদ্ধে সে ধর্ষণ মামলা করে। পুলিশ রিপনকে গ্রেফতার করেছে বলে শুনেছি।

মদন থানার ওসি মোঃ রমিজুল হক জানান, ফতেপুর ইউনিয়নের বিবাহিত নারী শুক্রবার মদন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৭/৯ (১) ধারায় অপহরন পূর্বক ধর্ষণ করার অপরাধে একটি মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে শনিবার রাতে পুলিশ ব্রাহ্মণবাড়য়া থেকে রিপনকে গ্রেফতার করে। সোমবার তাকে নেত্রকোনা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

মদনে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার-১

আপডেট : ০৮:২০:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০

নেত্রকোনার মদনে ধর্ষণ মামলার অভিযোগে রিপন মিয়া (২৫) নামের এক ধর্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর থানা থেকে গ্রেফতার করে তাকে মদন থানায় নিয়ে আসা হয়।

উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের লাছারকান্দা গ্রামের কেনু মিয়ার ছেলে রিপন মিয়ার পরকীয়া করে একই ইউনিয়নের দেওয়ান পাড়া (গুয়াইসপুর) গ্রামের বিবাহিত এক নারীকে নিয়ে ঢাকায় পালিয়ে যায়। সেখানে কোর্টে এফিডেভিট মূলে বিয়ে করে স্বামী স্ত্রী হিসাবে দুই মাস ঘরসংসার করে। এরই মধ্যে নারী বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসলে তার খোঁজখবর না নেওয়ায় সে পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করতে থাকে। অনশনের বিষয়টি ছেলের বাবা থানায় জানালে শুক্রবার পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে নারীকে থানায় নিয়ে যায়। ওই রাতে ভিক্টিম থানায় পরকীয়া স্বামী রিপনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা থেকে রিপন মিয়াকে গ্রেফতার করে শনিবার রাতে থানায় নিয়ে আসে।

সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, রিপন মিয়ার পরকীয়ায় গুয়াইসপুর গ্রামের বিবাহিত ওই নারী ঘর ছেড়ে দুই মাস স্বামী-স্ত্রী হিসাবে ঢাকায় বসবাস করার খবর পেয়েছি। মেয়েটি যখন ছেলের বাবার বাড়িতে লাছারকান্দায় বিয়ের দাবিতে অনশন করছিল তখন বিষয়টি ছেলের বাবাকে থানায় জানাতে পরামর্শ দেই। এরই প্রেক্ষিতে পুলিশ ওই নারীকে থানায় নিয়ে যায় এবং রিপনের বিরুদ্ধে সে ধর্ষণ মামলা করে। পুলিশ রিপনকে গ্রেফতার করেছে বলে শুনেছি।

মদন থানার ওসি মোঃ রমিজুল হক জানান, ফতেপুর ইউনিয়নের বিবাহিত নারী শুক্রবার মদন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৭/৯ (১) ধারায় অপহরন পূর্বক ধর্ষণ করার অপরাধে একটি মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে শনিবার রাতে পুলিশ ব্রাহ্মণবাড়য়া থেকে রিপনকে গ্রেফতার করে। সোমবার তাকে নেত্রকোনা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হবে।