নেত্রকোনা ০৮:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপির আন্দোলন রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা হবে-ওবায়দুল কাদের

  • আপডেট : ১১:৪২:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৯
  • ১৮৩

আন্দোলনের নামে বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালালে সমুচিত জবাব দেয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটের খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মৎস্যজীবী লীগের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির আন্দোলন রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি স্পষ্ট বলে দিচ্ছি– তারা যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে চায়, আন্দোলনের নামে সহিংসতা করে; তবে জবাব দেয়া হবে। আন্দোলনের নামে সহিংসতা হলে পরিষ্কারভাবে বলতে চাই– আমরা কিন্তু তার সমুচিত জবাব দিয়ে দেব।

বিএনপি সব কিছুতে ব্যর্থ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা জনগণের কাছ থেকে প্রত্যাখাত হয়েছে। তারা ভোটে ব্যর্থ, আন্দোলনে ব্যর্থ। এখন বিদেশিদের কাছে নালিশ করে বেড়ায়। তারা ‘বাংলাদেশ নালিশ পার্টি’তে পরিণত হয়েছে।

আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভাঙচুরের নিন্দা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য, আদালতের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে, আদালত প্রাঙ্গণে ভাঙচুর করেছে, পুলিশের ওপর হামলা করেছে, ইটপাটকেল ছুড়েছে। এ অবস্থায় বিএনপি যদি কখনও ক্ষমতায় আসে তা হলে পরিণতি কী হবে সেটি সহজেই বুঝতে পারা যায়। তাদের কাছে আইনের শাসন, বিচারব্যবস্থা ও আদালত নিরাপদ নয়।

নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, চক্রান্ত এখনও চলমান আছে। শেখ হাসিনার জনপ্রিয় সরকারকে হটানোর ষড়যন্ত্র চলছে। আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে।

মৎস্যজীবী লীগের নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই সংগঠনে কিছু বিশৃঙ্খলা আছে, আমাদের এতগুলো সংগঠনের সম্মেলন হলো, সুশৃঙ্খলভাবে তারা সম্মেলন করেছে, কিন্তু এখানে দেখছি কর্মীর চেয়ে নেতা বেশি। এটি হলে সংগঠন টিকবে না। সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে নেতৃত্বের দাপট দেখিয়ে চাঁদাবাজি, এটি হবে না। অফিসে অফিসে গিয়ে চাঁদাবাজি করবেন, এ রকম নেতা আমরা চাই না।

আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতাদের সতর্ক করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যাদের নেতৃত্বের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে বা হয়েছে, কারও বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অনিয়মের কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে এবং তা প্রমাণ হলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের বাদ দেয়া হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আবদুস সোবহান গোলাপ, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।

পূর্বধলায় নিজ মেয়েকে হত্যা করে শেষ রক্ষা হলো না মায়ের

বিএনপির আন্দোলন রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা হবে-ওবায়দুল কাদের

আপডেট : ১১:৪২:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৯

আন্দোলনের নামে বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালালে সমুচিত জবাব দেয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটের খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মৎস্যজীবী লীগের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির আন্দোলন রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি স্পষ্ট বলে দিচ্ছি– তারা যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে চায়, আন্দোলনের নামে সহিংসতা করে; তবে জবাব দেয়া হবে। আন্দোলনের নামে সহিংসতা হলে পরিষ্কারভাবে বলতে চাই– আমরা কিন্তু তার সমুচিত জবাব দিয়ে দেব।

বিএনপি সব কিছুতে ব্যর্থ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা জনগণের কাছ থেকে প্রত্যাখাত হয়েছে। তারা ভোটে ব্যর্থ, আন্দোলনে ব্যর্থ। এখন বিদেশিদের কাছে নালিশ করে বেড়ায়। তারা ‘বাংলাদেশ নালিশ পার্টি’তে পরিণত হয়েছে।

আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভাঙচুরের নিন্দা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য, আদালতের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে, আদালত প্রাঙ্গণে ভাঙচুর করেছে, পুলিশের ওপর হামলা করেছে, ইটপাটকেল ছুড়েছে। এ অবস্থায় বিএনপি যদি কখনও ক্ষমতায় আসে তা হলে পরিণতি কী হবে সেটি সহজেই বুঝতে পারা যায়। তাদের কাছে আইনের শাসন, বিচারব্যবস্থা ও আদালত নিরাপদ নয়।

নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, চক্রান্ত এখনও চলমান আছে। শেখ হাসিনার জনপ্রিয় সরকারকে হটানোর ষড়যন্ত্র চলছে। আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে।

মৎস্যজীবী লীগের নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই সংগঠনে কিছু বিশৃঙ্খলা আছে, আমাদের এতগুলো সংগঠনের সম্মেলন হলো, সুশৃঙ্খলভাবে তারা সম্মেলন করেছে, কিন্তু এখানে দেখছি কর্মীর চেয়ে নেতা বেশি। এটি হলে সংগঠন টিকবে না। সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে নেতৃত্বের দাপট দেখিয়ে চাঁদাবাজি, এটি হবে না। অফিসে অফিসে গিয়ে চাঁদাবাজি করবেন, এ রকম নেতা আমরা চাই না।

আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতাদের সতর্ক করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যাদের নেতৃত্বের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে বা হয়েছে, কারও বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অনিয়মের কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে এবং তা প্রমাণ হলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের বাদ দেয়া হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আবদুস সোবহান গোলাপ, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।