নেত্রকোনার সর্বত্র শুরু হয়েছে ধান কাটা উৎসব। জেলার সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা মিলিয়ে প্রায় ২০% ধান কর্তন হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু কৃষকরা বলছেন ফলন ভালো হলেও সঠিক দাম না পেলে তাদের লাভ হবে না। দ্রব্য মূল্যের সাথে ধানের দামের সামঞ্জস্য না থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কৃষকেরা।
নেত্রকোনা খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) সালমা আক্তার জানান, এবছর জেলায় রোপা আমন আবাদ হয়েছে এক লক্ষ ৩৪ হাজার ৬২৫ হেক্টর। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ৮৭ মে. ট্রন। এরমাঝে সবচেয়ে বেশি আবাদি জমির ব্রি ধান ৪৯ ফলনে প্রতি হেক্টরে চাল হবে ৩ টন করে। ধানের ভালো ফলন হওয়ায় এবার কৃষকরাও খুশি বলে জানান তিনি।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দৈনিক কামলা খরচের পরে আর কৃষকদের হাতে কিছু থাকে না। এদিকে রোজ হিসেবে যারা কাজ করে তারাও শুধু খেয়ে পড়ে আছে। সারাদিন চার থেকে পাঁচ শত টাকায় কাজ করে দৈনন্দিন সদায় কিনে কোনরকমে জীবন চলে। এক কেজি পেয়াজের দাম আর একজন শ্রমিকরে দাম কাছাকাছিই হওয়ায় কৃষকদের ভাগ্য কোন দিনই বদলাবার নয় বলে জানান পুকুরিয়া গ্রামের ধানকাটা মধ্য বয়সী শ্রমিক আবুল হোসন।