নেত্রকোনা ০১:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোনায় অসাম্প্রদায়িকতা, শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় লোক সংগীত অনুষ্ঠান ও পথ নাটক মঞ্চায়ন

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর উপলক্ষ্যে নেত্রকোণায় উগ্রবাদ বা জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ, মাদক সন্ত্রাস নির্মূল ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে লক্ষ্যে জেলার বিভিন্ন স্থানে লোক সংগীতের অনুষ্ঠান ও পথ নাটক মঞ্চায়িত হয়েছে। ইউনাইটেড নেশনস ডেমোক্রেসি ফান্ড (ইউএনডিইএফ) এর সহযোগিতায় বেসরকারী সংগঠন ‘বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ’ (বিএনপিএস) নেত্রকোনা এই সব অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

গত ৭ ডিসেম্বর নেত্রকোণা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে গণজাগরণী লোক সংগীত ও পথ নাটক অনুষ্ঠান শুরু হয়ে ১৭ ডিসেম্বর সুরাইয়া আব্বাছ ডিএমসি উচ্চ বিদ্যালয়ে গণজাগরণী লোক সঙ্গীত ও পথ নাটক মঞ্চায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

১০ দিন ব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন নেত্রকোণা সাহিত্য সমাজের সভাপতি ও জনউদ্যোগের আহ্বায়ক অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন জেলা উদীচীর সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, শিকড় উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি আ ফ ম রফিকুল ইসলাম খান আপেল, জেলা ডায়বেটিক সমিতির সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাচ্চু এবং জেলা প্রেসক্লাবের সম্পাদক শ্যামলেন্দু পাল সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

সুরাইয়া আব্বাছ ডিএমসি উচ্চ বিদ্যালয়ে সমাপনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন নারী প্রগতি সংঘ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রজেক্ট ম্যানেজার সঞ্জয় মজুমদার। গণজাগরণী লোক সংগীত ও পথ নাটকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজে অসাম্প্রদায়িকতা, শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা সহ উগ্রবাদ প্রতিরোধ বিষয়ক বিভিন্ন বার্তা প্রদান করা হয়। সহিংস চরমপন্থা ও উগ্রবাদ এর বিরুদ্ধে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা সহ ভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণ, পেশার মানুষকে পৃথক দৃষ্টিতে না দেখে সমাজে বহুত্ববাদী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করার জন্য নতুন প্রজন্মকে সচেতন করতেইএ ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন। শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন স্কুল ও কমিউনিটিতে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বিপুল পরিমান নারী, পুরুষ, কিশোর কিশোরী ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়।

অনুষ্ঠান সমূহ শুরুর পূর্বে নারী প্রগতি সংঘের ব্যবস্থাপক মৃনাল কান্তি চক্রবর্তী স্বাগত বক্তব্যে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চার মূলনীতির প্রধান ভিত্তি ছিল ধর্ম নিরপেক্ষতা। কিন্তু সেই ধর্ম নিরপেক্ষতাকে আজ ক্ষত বিক্ষত করা হয়েছে। ধর্মীয় ও জাতিগত চরমপন্থা আজ আমাদের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে। লোক সংগীত ও পথ নাটক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিল্পীদের পরিবেশিত লোকজ গান ও অভিনয় নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে জাগ্রত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

উল্লেখ থাকে যে, নেত্রকোনা জেলায় সংগঠনের নেত্রকোনা কেন্দ্রের আওতায় ৫টি এবং বারহাট্রা কেন্দ্রের আওতায় ৪টি সহ মোট ৯টি লোক সংগীত ও পথ নাটক অনুষ্ঠান মঞ্চায়িত হয়। অনুষ্ঠান সমূহে খুঞ্জরী শিল্পী গোষ্ঠী ও আব্দুল মজিদ তালুকদার নাট্যগোষ্ঠী বিষয় ভিত্তিক লোক সংগীত ও পথনাটক পরিবেশন করে উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।

পূর্বধলায় উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী

নেত্রকোনায় অসাম্প্রদায়িকতা, শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় লোক সংগীত অনুষ্ঠান ও পথ নাটক মঞ্চায়ন

আপডেট : ০২:৫১:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর উপলক্ষ্যে নেত্রকোণায় উগ্রবাদ বা জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ, মাদক সন্ত্রাস নির্মূল ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে লক্ষ্যে জেলার বিভিন্ন স্থানে লোক সংগীতের অনুষ্ঠান ও পথ নাটক মঞ্চায়িত হয়েছে। ইউনাইটেড নেশনস ডেমোক্রেসি ফান্ড (ইউএনডিইএফ) এর সহযোগিতায় বেসরকারী সংগঠন ‘বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ’ (বিএনপিএস) নেত্রকোনা এই সব অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

গত ৭ ডিসেম্বর নেত্রকোণা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে গণজাগরণী লোক সংগীত ও পথ নাটক অনুষ্ঠান শুরু হয়ে ১৭ ডিসেম্বর সুরাইয়া আব্বাছ ডিএমসি উচ্চ বিদ্যালয়ে গণজাগরণী লোক সঙ্গীত ও পথ নাটক মঞ্চায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

১০ দিন ব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন নেত্রকোণা সাহিত্য সমাজের সভাপতি ও জনউদ্যোগের আহ্বায়ক অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন জেলা উদীচীর সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, শিকড় উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি আ ফ ম রফিকুল ইসলাম খান আপেল, জেলা ডায়বেটিক সমিতির সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাচ্চু এবং জেলা প্রেসক্লাবের সম্পাদক শ্যামলেন্দু পাল সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

সুরাইয়া আব্বাছ ডিএমসি উচ্চ বিদ্যালয়ে সমাপনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন নারী প্রগতি সংঘ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রজেক্ট ম্যানেজার সঞ্জয় মজুমদার। গণজাগরণী লোক সংগীত ও পথ নাটকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজে অসাম্প্রদায়িকতা, শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা সহ উগ্রবাদ প্রতিরোধ বিষয়ক বিভিন্ন বার্তা প্রদান করা হয়। সহিংস চরমপন্থা ও উগ্রবাদ এর বিরুদ্ধে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা সহ ভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণ, পেশার মানুষকে পৃথক দৃষ্টিতে না দেখে সমাজে বহুত্ববাদী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করার জন্য নতুন প্রজন্মকে সচেতন করতেইএ ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন। শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন স্কুল ও কমিউনিটিতে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বিপুল পরিমান নারী, পুরুষ, কিশোর কিশোরী ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়।

অনুষ্ঠান সমূহ শুরুর পূর্বে নারী প্রগতি সংঘের ব্যবস্থাপক মৃনাল কান্তি চক্রবর্তী স্বাগত বক্তব্যে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চার মূলনীতির প্রধান ভিত্তি ছিল ধর্ম নিরপেক্ষতা। কিন্তু সেই ধর্ম নিরপেক্ষতাকে আজ ক্ষত বিক্ষত করা হয়েছে। ধর্মীয় ও জাতিগত চরমপন্থা আজ আমাদের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে। লোক সংগীত ও পথ নাটক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিল্পীদের পরিবেশিত লোকজ গান ও অভিনয় নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে জাগ্রত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

উল্লেখ থাকে যে, নেত্রকোনা জেলায় সংগঠনের নেত্রকোনা কেন্দ্রের আওতায় ৫টি এবং বারহাট্রা কেন্দ্রের আওতায় ৪টি সহ মোট ৯টি লোক সংগীত ও পথ নাটক অনুষ্ঠান মঞ্চায়িত হয়। অনুষ্ঠান সমূহে খুঞ্জরী শিল্পী গোষ্ঠী ও আব্দুল মজিদ তালুকদার নাট্যগোষ্ঠী বিষয় ভিত্তিক লোক সংগীত ও পথনাটক পরিবেশন করে উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে।