নেত্রকোনা ১১:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জমি নিয়ে জটিলতায় শ্রীবরদীতে প্রাঃ বিদ্যালয়ের ভবন ভেঙে ফেলার অভিযোগ

  • আপডেট : ০৩:৩৪:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০১৯
  • ৩৪৭

মো. আব্দুল বাতেন, শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি:

শ্রীবরদীর কুড়িকাহনীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ভেঙে দিয়েছে পার্শ্ববর্তী কুড়িকাহনীয়া সাউথ উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। এতে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে বলে জানান ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মর্জিনা বেগম। সম্প্রতি নিয়ম নীতি উপেক্ষিত সরকারি স্থাপনা ভেঙে ফেলার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, কুড়িকাহনীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়েছে ১৯৩৮ সালে। পরে ওই বিদ্যালয়ে নির্মাণ হয় দুই কক্ষ বিশিষ্ট একতলা একটি ভবন। এখানে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাশ নেয়া হতো। সম্প্রতি কুড়িকাহনীয়া সাউথ উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ এই ভবনটির একাংশ ভেঙে ফেলে। এতে পুরো ভবনটি হয়ে পড়ে পরিত্যক্ত।

এখানে বন্ধ হয় ক্লাশ পরিচালনা। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুড়িকাহনীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মর্জিনা বেগম বলেন, বিদ্যালয়ের জমির জটিলতার কারণে পাশের কুড়িকাহনীয়া সাউথ উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ওই ভবনটি ভেঙেছে। এখন ছাত্রছাত্রীদের ক্লাশ নেয়া সমস্যা হচ্ছে।

সূত্র মতে, ওই বিদ্যালয়ের পাশে কয়েকটি দোকান ঘর রক্ষা করতে গিয়ে ভাঙতে হলো কুড়িকাহনীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের একাংশ। ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শফিউল আলম মুঠোফোনে জানান, এটা ভাঙার আগে রেজুলেশন করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেঁজুতি ধর ও উপজেলা চেয়ারম্যান এডিএম শহিদুল ইসলামের মৌখিক সম্মতিতে এটা তারা ভেঙে ফেলেছে বলে জানান কুড়িকাহনীয়া সাউথ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবদিন। তিনি বলেন, ওই জমি হাইস্কুলের নামে। হাইস্কুলের ভবন নির্মাণের কারণেই ওই বিদ্যালয়ের একাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেঁজুতি ধর বলেন, উভয় বিদ্যালয়ের লোকজনের সম্মতিতেই ওই বিদ্যালয়ের একাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডিএম শহিদুল ইসলাম বলেন, ওই বিদ্যালয়ের পাশে হাইস্কুলের একটি ভবন নির্মাণ হবে। এর পর প্রয়োজনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ নতুন করে তুলে দেয়া হবে। এ বিষয়টি নিয়ে এলাকায় দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকে বলছেন সরকারি স্থাপনা নিজেদের ইচ্ছে মতো ভেঙে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদানে সমস্যা সৃষ্টি করা হয়েছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।

পূর্বধলায় নিজ মেয়েকে হত্যা করে শেষ রক্ষা হলো না মায়ের

জমি নিয়ে জটিলতায় শ্রীবরদীতে প্রাঃ বিদ্যালয়ের ভবন ভেঙে ফেলার অভিযোগ

আপডেট : ০৩:৩৪:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০১৯

মো. আব্দুল বাতেন, শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি:

শ্রীবরদীর কুড়িকাহনীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ভেঙে দিয়েছে পার্শ্ববর্তী কুড়িকাহনীয়া সাউথ উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। এতে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে বলে জানান ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মর্জিনা বেগম। সম্প্রতি নিয়ম নীতি উপেক্ষিত সরকারি স্থাপনা ভেঙে ফেলার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, কুড়িকাহনীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়েছে ১৯৩৮ সালে। পরে ওই বিদ্যালয়ে নির্মাণ হয় দুই কক্ষ বিশিষ্ট একতলা একটি ভবন। এখানে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাশ নেয়া হতো। সম্প্রতি কুড়িকাহনীয়া সাউথ উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ এই ভবনটির একাংশ ভেঙে ফেলে। এতে পুরো ভবনটি হয়ে পড়ে পরিত্যক্ত।

এখানে বন্ধ হয় ক্লাশ পরিচালনা। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুড়িকাহনীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মর্জিনা বেগম বলেন, বিদ্যালয়ের জমির জটিলতার কারণে পাশের কুড়িকাহনীয়া সাউথ উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ওই ভবনটি ভেঙেছে। এখন ছাত্রছাত্রীদের ক্লাশ নেয়া সমস্যা হচ্ছে।

সূত্র মতে, ওই বিদ্যালয়ের পাশে কয়েকটি দোকান ঘর রক্ষা করতে গিয়ে ভাঙতে হলো কুড়িকাহনীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের একাংশ। ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শফিউল আলম মুঠোফোনে জানান, এটা ভাঙার আগে রেজুলেশন করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেঁজুতি ধর ও উপজেলা চেয়ারম্যান এডিএম শহিদুল ইসলামের মৌখিক সম্মতিতে এটা তারা ভেঙে ফেলেছে বলে জানান কুড়িকাহনীয়া সাউথ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবদিন। তিনি বলেন, ওই জমি হাইস্কুলের নামে। হাইস্কুলের ভবন নির্মাণের কারণেই ওই বিদ্যালয়ের একাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেঁজুতি ধর বলেন, উভয় বিদ্যালয়ের লোকজনের সম্মতিতেই ওই বিদ্যালয়ের একাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডিএম শহিদুল ইসলাম বলেন, ওই বিদ্যালয়ের পাশে হাইস্কুলের একটি ভবন নির্মাণ হবে। এর পর প্রয়োজনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ নতুন করে তুলে দেয়া হবে। এ বিষয়টি নিয়ে এলাকায় দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকে বলছেন সরকারি স্থাপনা নিজেদের ইচ্ছে মতো ভেঙে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদানে সমস্যা সৃষ্টি করা হয়েছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।