নেত্রকোনা ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গৌরীপুরে সুদের টাকার জন্য এক নারীর মাথা ফাটিয়ে দিলেন দাদন ব্যবসায়ী !

  • আপডেট : ০৩:৫৯:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ৩২০

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় বাড়িতে হামলা চালিয়ে দাদন ব্যবসায়ী স্থানীয় আর্শেদ আলীর (৪৫) লোকজন সাবিনা বেগম (৩৫) নামে এক নারীর মাথা ফাটিয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় ময়মনসিংহের গৌরীপুরে রামগোপালপুর ইউনিয়নে বাহাদুরপুর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত সাবিনা বেগম বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সাবিনা বেগমের ছোট বোন গার্মেন্টস কর্মী সুলতানা আক্তার জানান, একই গ্রামের প্রতিবেশী দাদন ব্যবসায়ী আর্শেদ আলীর মেয়ে শরিফার (২৫) কাছ থেকে প্রায় ৮ মাস পূর্বে মাসিক সুদে ৫০ হাজার টাকা ধার নেন তার স্বামী মিন্টু মিয়া। টাকা ধার নেয়ার পর তাকে (সুলতানা আক্তারকে) ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায় মিন্টু মিয়া। এদিকে স্বামী আত্মগোপনে চলে যাওয়ার পর আর্শেদ আলী ও তার লোকজন ধারকৃত সুদের টাকা পরিশোধের জন্য তার ওপর নানা হুমকীসহ চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন।
উক্ত টাকা পরিশোধ না করতে পারায় ঘটনারদিন সকালে আর্শেদ আলী ও তার লোকজন লাঠি সোটা নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে সুলতানা আক্তারকে মারধর করেন। এসময় তার বড় বোন সাবিনা বেগমর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেন হামলাকারীরা।
তিনি আরো বলেন, তার স্বামীকে সুদে টাকা দেয়ার সময় শরিফা তাকে এ ঘটনা জানাননি। স্বামী আত্মগোপনে চলে যাওয়ার পর টাকা পরিশোধের জন্য সুলতানার ওপর চাপ সৃষ্টি করছিল শরিফার বাবা আর্শেদ আলী। বর্তমানে স্বামী মিন্টু মিয়ার সাথে তার কোন যোগাযোগ নেই বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আর্শেদ আলী জানান, প্রায় ৮ মাস পূর্বে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর গড়গড়ীয় মাস্টারবাড়ী এলাকায় গার্মেন্টসে চাকুরিকালে তার মেয়ে শরীফা জামিনদার হয়ে জনৈক এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ধার নিয়ে মিন্টু মিয়াকে দিয়েছিলেন। টাকার ধার নেয়ার কিছুদিন পর মিন্টু মিয়া সেখান থেকে আত্মগোপন করেন। পরবর্তীতে এ টাকা পরিশোধের জন্য তার স্ত্রী সুলতানা আক্তারকে জানানো হলে তিনি টাকা পরিশোধের জন্য একের পর এক তারিখ করে তাদেরকে ঘুরাতে থাকেন। এ নিয়ে সম্প্রতি এলাকায় একটি গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করা হলে এতে সুলতানা আক্তার উপস্থিত হননি।
তিনি আরো জানান, ঘটনারদিন সকালে সালিশে উপস্থিত না হওয়ার কারন জানতে আর্শেদ আলী সুলতানার বাড়িতে যান। এসময় সুলতানা তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন করেন। একপর্যায়ে সুলতানা চাচা কবির লাঠি দিয়ে তাদেরকে আঘাত করার সময় সেই আঘাত গিয়ে লাগে সাবিনা বেগমের ওপর।
এদিকে আর্শেদৃ আলীর এ বক্তব্যকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন সুলতানা আক্তার।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

গৌরীপুরে সুদের টাকার জন্য এক নারীর মাথা ফাটিয়ে দিলেন দাদন ব্যবসায়ী !

আপডেট : ০৩:৫৯:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় বাড়িতে হামলা চালিয়ে দাদন ব্যবসায়ী স্থানীয় আর্শেদ আলীর (৪৫) লোকজন সাবিনা বেগম (৩৫) নামে এক নারীর মাথা ফাটিয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় ময়মনসিংহের গৌরীপুরে রামগোপালপুর ইউনিয়নে বাহাদুরপুর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত সাবিনা বেগম বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সাবিনা বেগমের ছোট বোন গার্মেন্টস কর্মী সুলতানা আক্তার জানান, একই গ্রামের প্রতিবেশী দাদন ব্যবসায়ী আর্শেদ আলীর মেয়ে শরিফার (২৫) কাছ থেকে প্রায় ৮ মাস পূর্বে মাসিক সুদে ৫০ হাজার টাকা ধার নেন তার স্বামী মিন্টু মিয়া। টাকা ধার নেয়ার পর তাকে (সুলতানা আক্তারকে) ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায় মিন্টু মিয়া। এদিকে স্বামী আত্মগোপনে চলে যাওয়ার পর আর্শেদ আলী ও তার লোকজন ধারকৃত সুদের টাকা পরিশোধের জন্য তার ওপর নানা হুমকীসহ চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন।
উক্ত টাকা পরিশোধ না করতে পারায় ঘটনারদিন সকালে আর্শেদ আলী ও তার লোকজন লাঠি সোটা নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে সুলতানা আক্তারকে মারধর করেন। এসময় তার বড় বোন সাবিনা বেগমর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেন হামলাকারীরা।
তিনি আরো বলেন, তার স্বামীকে সুদে টাকা দেয়ার সময় শরিফা তাকে এ ঘটনা জানাননি। স্বামী আত্মগোপনে চলে যাওয়ার পর টাকা পরিশোধের জন্য সুলতানার ওপর চাপ সৃষ্টি করছিল শরিফার বাবা আর্শেদ আলী। বর্তমানে স্বামী মিন্টু মিয়ার সাথে তার কোন যোগাযোগ নেই বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আর্শেদ আলী জানান, প্রায় ৮ মাস পূর্বে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর গড়গড়ীয় মাস্টারবাড়ী এলাকায় গার্মেন্টসে চাকুরিকালে তার মেয়ে শরীফা জামিনদার হয়ে জনৈক এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ধার নিয়ে মিন্টু মিয়াকে দিয়েছিলেন। টাকার ধার নেয়ার কিছুদিন পর মিন্টু মিয়া সেখান থেকে আত্মগোপন করেন। পরবর্তীতে এ টাকা পরিশোধের জন্য তার স্ত্রী সুলতানা আক্তারকে জানানো হলে তিনি টাকা পরিশোধের জন্য একের পর এক তারিখ করে তাদেরকে ঘুরাতে থাকেন। এ নিয়ে সম্প্রতি এলাকায় একটি গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করা হলে এতে সুলতানা আক্তার উপস্থিত হননি।
তিনি আরো জানান, ঘটনারদিন সকালে সালিশে উপস্থিত না হওয়ার কারন জানতে আর্শেদ আলী সুলতানার বাড়িতে যান। এসময় সুলতানা তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন করেন। একপর্যায়ে সুলতানা চাচা কবির লাঠি দিয়ে তাদেরকে আঘাত করার সময় সেই আঘাত গিয়ে লাগে সাবিনা বেগমের ওপর।
এদিকে আর্শেদৃ আলীর এ বক্তব্যকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন সুলতানা আক্তার।