নেত্রকোনা ০১:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ায় মাদক মামলায় দুই যুবকের ও স্কুল ছাত্রী ধর্ষন দায়ে আরেক মামলায় অপর দুই যুবকের যাবজ্জীবন

  • আপডেট : ০৫:৩৪:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০১৯
  • ২৪১

নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া :

কুষ্টিয়া মডেল থানার একটি মাদক মামলায় দুই যুবকের এবং মিরপুর থানার স্কুল ছাত্রী ধর্ষন অভিযোগে পৃথক মামলায় দুই যুবকের যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশসহ অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী একজন আসামীর উপস্থিতিতে মাদক মামলায় এবং বেলা ১২টায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সি মো: মশিয়ার রহমান দুই আসামীর উপস্থিতিতে জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষনা করেন।

মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও প্রত্যেকের ৫০হাজার টাকা অর্থদন্ডপ্রাপ্ত হলেন-চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুরহুদার শিবনগর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে সাদিকুল ইসলাম ওরফে সাদিক(৩০) এবং পলাকতক আসামী চন্দবাস গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে হবি।

এছাড়া স্কুলছাত্রী ধর্ষন মামলায় যাবজ্জীন সাজাপ্রাপ্ত এবং প্রত্যেকের ১লক্ষ টাকা অর্থদন্ডপ্রাপ্ত আসামীদ্বয় হলেন- কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের শহীদ উদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানা(২৬) এবং খলিল উদ্দিনের ছেলে তরিকুল ইসলাম ওরফে গোসাই(২৮)।

আদালত সূত্রে জানায়, ২০১৭ সালের ১৩ অক্টোবর দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের চাউলের বর্ডার এলাকা থেকে ৩’শ বোতল ফেন্সিডিলসহ আসামীদের গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ কুষ্টিয়া মডেল থানায় সৌপর্দ করেন। একই বছর ২৮ডিসেম্বর তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশীট দেয় পুলিশ।

অন্যদিকে ২০১৩ সালের ৩০সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে স্কুলছাত্রী মিরপুুর উপজেলার ভাড়ল গ্রাম থেকে নানী বাড়ি চিথলিয়া গ্রামে যাওয়ার পথে আসামীরা ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায় এবং উপজেলার কাটদহচর এলাকায় মাঠের মধ্যে একটি হ্যাচারীর পাশের্^ ওড়না ও গামছা দিয়ে হাত/মুখ বেঁধে জোড়পূর্বক ধর্ষন করেন।

এঘটনায ওই ছাত্রীর নানী সামেলা খাতুন বাদি হয়ে মিপুর থানায় ধর্ষন মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৪সালের ১জানুয়ারী আদালতে চার্জশীট দেয় পুলিশ।
আদালতের এই রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের পিপি এ্যাড. মেহেদী হাসান।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।

পূর্বধলায় উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী

কুষ্টিয়ায় মাদক মামলায় দুই যুবকের ও স্কুল ছাত্রী ধর্ষন দায়ে আরেক মামলায় অপর দুই যুবকের যাবজ্জীবন

আপডেট : ০৫:৩৪:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০১৯

নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া :

কুষ্টিয়া মডেল থানার একটি মাদক মামলায় দুই যুবকের এবং মিরপুর থানার স্কুল ছাত্রী ধর্ষন অভিযোগে পৃথক মামলায় দুই যুবকের যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশসহ অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী একজন আসামীর উপস্থিতিতে মাদক মামলায় এবং বেলা ১২টায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সি মো: মশিয়ার রহমান দুই আসামীর উপস্থিতিতে জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষনা করেন।

মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও প্রত্যেকের ৫০হাজার টাকা অর্থদন্ডপ্রাপ্ত হলেন-চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুরহুদার শিবনগর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে সাদিকুল ইসলাম ওরফে সাদিক(৩০) এবং পলাকতক আসামী চন্দবাস গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে হবি।

এছাড়া স্কুলছাত্রী ধর্ষন মামলায় যাবজ্জীন সাজাপ্রাপ্ত এবং প্রত্যেকের ১লক্ষ টাকা অর্থদন্ডপ্রাপ্ত আসামীদ্বয় হলেন- কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের শহীদ উদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানা(২৬) এবং খলিল উদ্দিনের ছেলে তরিকুল ইসলাম ওরফে গোসাই(২৮)।

আদালত সূত্রে জানায়, ২০১৭ সালের ১৩ অক্টোবর দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের চাউলের বর্ডার এলাকা থেকে ৩’শ বোতল ফেন্সিডিলসহ আসামীদের গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ কুষ্টিয়া মডেল থানায় সৌপর্দ করেন। একই বছর ২৮ডিসেম্বর তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশীট দেয় পুলিশ।

অন্যদিকে ২০১৩ সালের ৩০সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে স্কুলছাত্রী মিরপুুর উপজেলার ভাড়ল গ্রাম থেকে নানী বাড়ি চিথলিয়া গ্রামে যাওয়ার পথে আসামীরা ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায় এবং উপজেলার কাটদহচর এলাকায় মাঠের মধ্যে একটি হ্যাচারীর পাশের্^ ওড়না ও গামছা দিয়ে হাত/মুখ বেঁধে জোড়পূর্বক ধর্ষন করেন।

এঘটনায ওই ছাত্রীর নানী সামেলা খাতুন বাদি হয়ে মিপুর থানায় ধর্ষন মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৪সালের ১জানুয়ারী আদালতে চার্জশীট দেয় পুলিশ।
আদালতের এই রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের পিপি এ্যাড. মেহেদী হাসান।