নেত্রকোনা ০১:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ার মিরপুরে ১০দিন পর কলেজছাত্র ইমনের মরদেহ উত্তোলন

  • আপডেট : ০৪:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৯
  • ১৫৮

কুষ্টিয়ার মিরপুরে ‘সমর্পণ মাদকাসক্তি, মানসিক চিকিৎসা সহায়তা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিহত ইমনকে দাফনের ১০ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় মিরপুর গোবিন্দগুনিয়া গোরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করে পুলিশ।
আদালতের নির্দেশে মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাসের উপস্থিতিতে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস জানান, আদালতের নির্দেশে গোবিন্দগুনিয়া কবরস্থানে দাফন করা ইমনের মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য উত্তোলন করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

গত ১৯ নভেম্বর কুষ্টিয়ার মিরপুরে ‘সমর্পণ মাদকাসক্তি, মানসিক চিকিৎসা সহায়তা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে’ মারা যায় কাদেরপুর গ্রামের এজাজুল আজিম রিপনের ছেলে কলেজছাত্র ইমন (২০)। ওই প্রতিষ্ঠানের সিসি টিভির ফুটেজে ইমনকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে টনক নড়ে প্রশাসনের। ইমনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

এই ঘটনা জানাজানি হলে ভিডিও ফুটেজ দেখার পরে ২৭ নভেম্বর পাঁচজনকে আসামি করে মিরপুর থানায় একটি মামলা করেন নিহত ইমনের চাচা শাজাহান আলী স্বপন। তিনি মামলায় আব্দুল মতিন, মিন্টু বিশ্বাস, হাবিবুর রহমান হাবিব, অশীত কুমার বিশ্বাস ও জিকু বিশ্বাসকে আসামি করেন।

মামলার দিন ২৭ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানের মালিক আব্দুল মতিনসহ মিন্টু বিশ্বাস ও হাবিবুর রহমান হাবিবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবং প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয় উপজেলা প্রশাসন। সেই সঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাধীন ৯ জন রোগীর মধ্যে ৬ জন রোগীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর এবং বাকি তিনজনকে কুষ্টিয়াস্থ ‘ফেরা মাদক নিরাময় কেন্দ্রে’ পাঠিয়ে দেয় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

কুষ্টিয়ার মিরপুরে ১০দিন পর কলেজছাত্র ইমনের মরদেহ উত্তোলন

আপডেট : ০৪:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৯

কুষ্টিয়ার মিরপুরে ‘সমর্পণ মাদকাসক্তি, মানসিক চিকিৎসা সহায়তা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিহত ইমনকে দাফনের ১০ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় মিরপুর গোবিন্দগুনিয়া গোরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করে পুলিশ।
আদালতের নির্দেশে মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাসের উপস্থিতিতে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস জানান, আদালতের নির্দেশে গোবিন্দগুনিয়া কবরস্থানে দাফন করা ইমনের মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য উত্তোলন করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

গত ১৯ নভেম্বর কুষ্টিয়ার মিরপুরে ‘সমর্পণ মাদকাসক্তি, মানসিক চিকিৎসা সহায়তা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে’ মারা যায় কাদেরপুর গ্রামের এজাজুল আজিম রিপনের ছেলে কলেজছাত্র ইমন (২০)। ওই প্রতিষ্ঠানের সিসি টিভির ফুটেজে ইমনকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে টনক নড়ে প্রশাসনের। ইমনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

এই ঘটনা জানাজানি হলে ভিডিও ফুটেজ দেখার পরে ২৭ নভেম্বর পাঁচজনকে আসামি করে মিরপুর থানায় একটি মামলা করেন নিহত ইমনের চাচা শাজাহান আলী স্বপন। তিনি মামলায় আব্দুল মতিন, মিন্টু বিশ্বাস, হাবিবুর রহমান হাবিব, অশীত কুমার বিশ্বাস ও জিকু বিশ্বাসকে আসামি করেন।

মামলার দিন ২৭ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানের মালিক আব্দুল মতিনসহ মিন্টু বিশ্বাস ও হাবিবুর রহমান হাবিবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবং প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয় উপজেলা প্রশাসন। সেই সঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাধীন ৯ জন রোগীর মধ্যে ৬ জন রোগীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর এবং বাকি তিনজনকে কুষ্টিয়াস্থ ‘ফেরা মাদক নিরাময় কেন্দ্রে’ পাঠিয়ে দেয় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।