নেত্রকোনা ০৮:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালিয়াকৈরে সেফটি ট্যাংকে স্ত্রীর কঙ্কাল, স্বামীসহ গ্রেফতার ৪

  • আপডেট : ০৭:৩০:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৯
  • ১৮৫

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি বাসার সেফটি ট্যাংকের ভেতর থেকে এক গৃহ বধূর লাশ উদ্ধার করেছে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ।

বুধবার সকালে উপজেলার চান্দরা খাজার টেক এলাকার ইমরান দেওয়ানের বাড়া বাসা থেকে ওই গৃহ বধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত গৃহবধূ পাবনা জেলার আতাইখোলা উপজেলার শ্রীপুর এলাকার মনসুর আলীর স্ত্রী ফরিদা(৩৬)।

এঘটনায় পুলিশ স্বামী এবং বাড়িওলায়ার স্ত্রীসহ মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।তারা হলেন, পাবনা আতাইখোলা উপজেলার মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে মনসুর আলী(৫০), গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চান্দরা এলাকার বাড়ির মালিক আফতাব দেওয়ানের স্ত্রী খোদেজা বেগম(৪০), পাবনা শ্রীপুর এলাকার মনসুর আলীর ১ম স্ত্রী(নিহতের শতিন)রেখা বেগম(৩৪) এবং তার ছেলে স্বপন(২০)।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,মনসুর আলীর ৩য় স্ত্রী হলেন ফরিদা বেগম। তার পূর্বে যেখানে বিয়ে হয়েছিল সেখানকার এক প্রতিবন্ধি সন্তান নিয়ে বিয়ে করে মনসুরকে। বিয়ের পর থেকে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনের অমিল থাকায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া ঝাটি লেগেই থাকত।

বিগত আড়াই মাস পূর্বে নিহত ফরিদাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে নাটক সৃষ্টি করে মনসুর।ফরিদার আত্নীয় স্বজনদের কাছে বলে অন্য কারো সাথে পালিয়ে গেছে।

পরে নিহতের বোন হাসিরা ঘটানাটি সন্দেহ হলে কালিয়াকৈর থানায় অপহরনের দায়ে একটি অভিযোগ করেন। যার নং ৬৪১১১৯।

এঘটনায় গাজীপুর সহকারি পুলিশ সুপার আল মামুন এবং কালিয়াকৈর থানার অপারেশন(ওসি) মনিরুজ্জামানের নেত্বতে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের মাধ্যমে আশুলিয়া থানাধীন গোয়াল বাড়ি দিঘির পাড় এলাকা থেকে প্রধান আসামি মনসুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।পরে মনসুরের জবানবন্দিতে বাড়ির মালিকের স্ত্রী খোদেজা বেগম এ হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলে বুধবার সকালে ওই ভাড়া বাড়ির সেফটি ট্যাংকের ভেতর থেকে ফরিদার কংকাল উদ্ধার করে পুলিশ।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন মজুমদার বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহিদ তাজ উদ্দিন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

কালিয়াকৈরে সেফটি ট্যাংকে স্ত্রীর কঙ্কাল, স্বামীসহ গ্রেফতার ৪

আপডেট : ০৭:৩০:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৯

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি বাসার সেফটি ট্যাংকের ভেতর থেকে এক গৃহ বধূর লাশ উদ্ধার করেছে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ।

বুধবার সকালে উপজেলার চান্দরা খাজার টেক এলাকার ইমরান দেওয়ানের বাড়া বাসা থেকে ওই গৃহ বধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত গৃহবধূ পাবনা জেলার আতাইখোলা উপজেলার শ্রীপুর এলাকার মনসুর আলীর স্ত্রী ফরিদা(৩৬)।

এঘটনায় পুলিশ স্বামী এবং বাড়িওলায়ার স্ত্রীসহ মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।তারা হলেন, পাবনা আতাইখোলা উপজেলার মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে মনসুর আলী(৫০), গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চান্দরা এলাকার বাড়ির মালিক আফতাব দেওয়ানের স্ত্রী খোদেজা বেগম(৪০), পাবনা শ্রীপুর এলাকার মনসুর আলীর ১ম স্ত্রী(নিহতের শতিন)রেখা বেগম(৩৪) এবং তার ছেলে স্বপন(২০)।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,মনসুর আলীর ৩য় স্ত্রী হলেন ফরিদা বেগম। তার পূর্বে যেখানে বিয়ে হয়েছিল সেখানকার এক প্রতিবন্ধি সন্তান নিয়ে বিয়ে করে মনসুরকে। বিয়ের পর থেকে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনের অমিল থাকায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া ঝাটি লেগেই থাকত।

বিগত আড়াই মাস পূর্বে নিহত ফরিদাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে নাটক সৃষ্টি করে মনসুর।ফরিদার আত্নীয় স্বজনদের কাছে বলে অন্য কারো সাথে পালিয়ে গেছে।

পরে নিহতের বোন হাসিরা ঘটানাটি সন্দেহ হলে কালিয়াকৈর থানায় অপহরনের দায়ে একটি অভিযোগ করেন। যার নং ৬৪১১১৯।

এঘটনায় গাজীপুর সহকারি পুলিশ সুপার আল মামুন এবং কালিয়াকৈর থানার অপারেশন(ওসি) মনিরুজ্জামানের নেত্বতে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের মাধ্যমে আশুলিয়া থানাধীন গোয়াল বাড়ি দিঘির পাড় এলাকা থেকে প্রধান আসামি মনসুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।পরে মনসুরের জবানবন্দিতে বাড়ির মালিকের স্ত্রী খোদেজা বেগম এ হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলে বুধবার সকালে ওই ভাড়া বাড়ির সেফটি ট্যাংকের ভেতর থেকে ফরিদার কংকাল উদ্ধার করে পুলিশ।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন মজুমদার বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহিদ তাজ উদ্দিন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।