
সাংগঠনিক অচলাবস্থার ও দলের অভ্যন্তরীন কোন্দলের চরম খেসারত গুনলো কমলগঞ্জ বিএনপি। পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর শোচনীয় পরাজয়ের পর এই আলোচনা এখন ঝড় তুলছে সর্বত্র।
শনিবার সম্পন্ন হওয়া নির্বাচনে সর্বনিম্ন ৩০১ ভোট পেয়ে চতুর্থ অবস্থানে থাকেন দলীয় প্রার্থী আবুল হোসেন। বিএনপি প্রার্থী থেকে কয়েক ভাগ ভোট বেশি পেয়ে ২য় বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. জুয়েল আহমদ।
গত শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয়। পরে গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন কমলগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার।
ফলাফলে দেখা গেছে, ২৪৫১ ভোটের ব্যবধানে ২য় বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মো: জুয়েল আহমদ। তিনি (নৌকা) পেয়েছেন ৫ হাজার ২৫৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র প্রার্থী) মো: হেলাল মিয়া পেয়েছেন (জগ) ২ হাজার ৮০৬ ভোট। এছাড়া আওয়ামীলীগের আরেক বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র প্রার্থী) মো: আনোয়ার হোসেন (নারিকেল গাছ) পেয়েছেন ২ হাজার ৭৮৭ ভোট ও বিএনপি’র প্রার্থী মোহাম্মদ আবুল হোসেন (ধানের শীষ) পেয়েছেন ৩০১ ভোট।
কমলগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডের ৯টি কেন্দ্রে ১৩ হাজার ৯০৫ জন ভোটারের মধ্যে ১১ হাজার ২৯০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। বাতিল হয় ১৩৯টি ভোট। এখানে মেয়র পদে ৪ জন, কাউন্সিলর পদে ৩১ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এদিকে দলীয় প্রার্থীর শোচনীয় ভরাডুবির পর সাংগঠনিক তৎপরতার বিষয়টি উচ্চারিত হচ্ছে নেতাকর্মীদের মধ্যে। জেলা নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করে উপজেলা বিএনপির জনৈক নেতা বলেন, কমলগঞ্জে দলীয় কোন্দল এবং অন্তর্দ্বন্দ্ব একটি প্রধান সমস্যা। যার প্রভাব পড়েছে মেয়র নির্বাচনে। এই অবস্থায় দল এবং মানুষের আস্থা অর্জনে সর্বাগ্রে বিরোধ নিস্পত্তিতে এগিয়ে আসতে হবে।
ইউনিয়ন পর্যায়ের এক নেতা বলেন, বিগত নির্বাচনে দলের নেতাকর্মীরা যেভাবে একযোগে কাজ করছিলো তা এবার শূণ্যের কোটায়৷ সাংগঠনিক কার্যক্রম এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে বিএনপির নাম এবং সকল অর্জন ভুলে যাবে উপজেলার মানুষ। তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, কোন্দল থাকলে দলীয় কার্যক্রম বাধাঁগ্রস্থ হয়। ফলে সংগঠন হয়ে পড়ে গতিহীন।