
শেরপুর পৌরসভায় উন্নয়ন কাজে পৌর কর্মচারীদের বাধা দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কাউন্সিলর।
গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাদশা মিয়া বলেন, শেরপুর পৌর সভার ৪নং ওর্য়াডে মাধবপুরে এলাকায় চলমান বৈদ্যুতিক আলোর উন্নয়ন কাজে গতিবৃদ্ধি করার জন্য তাগাদা দেন ।
সেখানে দুপুরের দিকে পৌর কর্ম্চারীরা বৈদ্যুতিক খুটির কাজঁ করতে যান এবং সেখানে কাউন্সিলর অত্র এলাকার বৈদ্যুতিক খুটির বাতি লাগাতে তাগাদা দেন । কতিপয় পৌরসভার বিদ্যুত বিভাগের কয়েকজ কর্ম্চারী প্রয়োজনীও বৈদ্যুতিক সরবরাহ না করে কাউন্সিলরের সাথে ধৃষ্টতাপূণ্র্ আচরন করে চলে যায় । বিকেল ৫টার দিকে ৫/৬ জন কর্ম্চারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের ফেসবুকে কাউন্সিলর কে নিয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূল কথা ও অসৎআচরন ও অবাঞ্চিত ঘোষনা করে ও ৪নং ওয়ার্ডে সমস্ত বৈদ্যুতিক খুটির বাতি ২৪ ঘন্টা বন্ধ রাখেন । এতে সাধারন লোকের ভোগান্তির সৃষ্টি হয় ।
এদিকে কাউন্সিলের সাথে ধৃষ্টতাপূণ্র্ আচরন ও ফেসবুকে তাকে নিয়ে বিভিন্ন অসৎআচরন ও অবাঞ্চিত ঘোষনা নিয়ে ওর্য়াডের লোকজনদের বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে সাথে সাথে এলাকায় এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় । এরই মধ্যে এলাকায় লোকজন রাস্তার জড়ো হতে থাকে এবং এককর্সূিকচি ঘোষনা করেন,মঙ্গলবার রাতে মাইক দিয়ে সারা শহর প্রচার করা হয় , ১৩ জানুয়ারী বুধবার সকাল ১১ শেরপুর থানা মোড় বঙ্গবন্ধু স্কায়ার মোড়ে এক প্রতিবাদ সভার । বিষয়টি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নজরে আসে ।
এদিকে পৌর নির্বাচনে ব্যস্থতায় থাকায় ঢাকায় অবস্থানরত শেরপুরের নেতাদের হস্তক্ষেপে রাত ২টায় কাউন্সিলর এবং এলাকাবাসী অবগত করে প্রতিবাদের বিষয়টি স্থগিত করে , সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিতে বলে এবং মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া বিচারের আশ্বাস দেন ।
এ বিষয়ে শেরপুর পৌর সভার বৈদ্যুতিক বিভাগের ইন্জিনিয়ার মোঃ সোরহাব হোসেন ফোন দিয়ে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকার জবাব চাইলে তিনি বলেন এটা পৌর কর্ম্চারী সংগঠনের সিদ্ধান্ত ।
সন্ধ্যা ৭ পৌর মেয়র সাহেব আমাকে ফোন ৪নং ওর্য়াডে বিদ্যুত সংযোগ দিতে বলেন ,আমি সাথে সাথে নারায়ন বাবু পাঠালে অত্র এলাকার লোকজন সংযোগ দিতে বাধা প্রয়োগ করেন ।
সংবাদ সম্মেলনে শেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ শরিফুর রহমান বলেন এ- বিষয়টি বড়ই লজ্জা-জনক এবং ২৪ ঘন্টা বিদ্যুত বন্ধ রাখা ,সাংবাদিক আদিল মাহ্ মুদ উজ্জল, মহিউদিন সোহেল, সোহেল রানা, কাউন্সিলর কে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন এবং পৌরসভার কর্ম্চারীদের এ আচরনের ক্ষোভ প্রকাশ করেন ।