
দীর্ঘপথ পরিক্রমায় জীবনের সকল ক্ষেত্রেই অনবদ্য সৃজনশীল চিন্তায় মানবিক কল্যান,ন্যায় প্রতিষ্টার সংগ্রামে অনঢ় ব্যক্তিত্ব –যিনি কর্মজীবন শুরু করেছিলেন শিক্ষকতা দিয়ে।
বাঙালির গৌরবময় অধ্যায়গুলোর অর্জনে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে গেছেন-দেশমাতৃকার সেবায় নিজের কর্মদক্ষতার পরিচয়ে সমাদৃত হয়েছেন দেশ, বিদেশে। মাহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্টায় অগ্রনী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করে বিভিন্ন প্রতিকুল পরিবেশেও অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি –মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্টার সংগ্রামে কর্মজীবনে সকল বাধা অতিক্রম করে লক্ষে পৌঁছেছেন।
গৌরবময় কর্মদক্ষতার সাফল্যে পুরষ্কৃত হয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কর্মজীবন শুরু করেছেন -বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে, -সেখানেও অসীম সাহসীকতার পরিচয় দিয়ে সবচাইতে ঘৃনীত অপরাধীদের বিচার কাজের সহায়ক শক্তি হিসাবে কাজ করে –অপরাধীদের অপরাধকে প্রমান করে বাঙালীকে ঋনমুক্ত করেছেন।
তিনি আমাদের পূর্বধলার মোঃ আব্দুল হান্নান খান (আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা,সমন্বয়ক,পুলিশের আইজি পদমর্যাদায়),বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, নেত্রকোনা জেলা সমিতি, ঢাকার সভাপতি,সাবেক ডিআইজি , সর্বজন শ্রদ্ধেয় বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক জনাব মুহ. আবদুল হাননান খান পিপিএম আজ ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে পরো পারে চলে গেলেন। ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।
এই মানুষটি উনার জীবদ্দশায় এত বড় পদে অধিষ্ঠিত থেকেও শত ব্যস্ততার মাঝে নিজ এলাকার মানুষের উপকারে সকল কৃপনতার উর্ধ্বে থেকে পুর্বধলাবাসীকে ঋনী করে গেছেন।
এলাকার অসংখ্য পরিবারকে চাকুরী প্রদান সহ নানান সহযোগিতা করে এলাকাবাসীর হৃদয়ে অম্লান হয়ে আছেন এবং থাকবেন।
মরহুমের মৃত্যুতে পূর্বধলায় সর্বস্তরের মানুষের মাঝে যে শুন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা অপুরনীয় –বাংলাদেশ হারালো একজন সুদক্ষ আন্তর্জাতিক মানের একজন কীর্তিমান কর্মকর্তা, আর পুর্বধলা বাসী হারালো তাদের একজন সুযোগ্য অভিভাবককে।
পরম করুনাময় আল্লাহ পাক উনাকে পরকালে জান্নাতবাসী করুন, সেই সাথে উনার পরিবারের সকল সদস্যকে এই শোক সইবার তৌফিক দান করুন। আমিন।
লেখক: মোঃ এমদাদুল হক বাবুল, প্রভাষক,পুর্বধলা ডিগ্রি কলেজ, পূর্বধলা, নেত্রকোনা।