
গত ১১/১১/২০২০ ছিলো বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ৪৮বছরের শুরুতেই যুবলীগের সংগ্রামী চেয়ারম্যান সর্বজনাব শেখ ফজলে শামস পরস বজ্রকন্ঠে উচ্চারণ করেছেন “অনুপ্রবেশ কারীদের স্থান যুবলীগে হবে না”।
যথার্থভাবেই উচ্চারিত কথাগুলো আপনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন হতে পারে কারন, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির সুযোগ্য সন্তান হিসাবে দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালনে কোন রকমের শৈতিল্যতা আপনাকে প্রশ্নবিদ্ব করুক এটি অবশ্যই আপনি চান না।
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠালগ্নে এর আদর্শ ও উদ্দেশ্য সামনে রেখে নেতৃবৃন্দ অবিরাম কাজ করে গেছেন-আর বর্তমানে অনুপ্রবেশকারী নেতাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংগঠনটির লোগো ব্যবহার করা হচ্ছে যত্রতত্র।
এটিই আপনার বক্তব্যের যথার্থতা প্রমান করেছে, তাই এটি এখন সময়ের দাবী-।মানুষ বিশ্বাস করে, একজন সৎ,শিক্ষিত,সনামধন্য শিক্ষক, মেধাবী,নির্লোভ,যোগ্য মানুষ হিসাবে এটি আপনার পক্ষেই সম্ভব। জানি এই লিখাটি আপনার দৃষ্টিকে স্পর্শ করবে না, তবুও আশায় বুক বেধেছি ।
অনুপ্রবেশ সকল ক্ষেত্রেই বিপদজনক এটি যুগে যুগে প্রমানীত হয়ে আসছে, তবুও চলছে, তাহলে এরাই শক্তিশালী। যেমন,-যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় দুটি গ্রুপে দুটি মঞ্চে বিভক্ত হয়ে অনুষ্ঠান করেছে ফলে এরা দুগ্রুপই সমাবেশকে সফল করতে মানুষ হাজির করতে মরিয়া হয়ে কাজ করেছে,এখানেই অনুপ্রবেশ ঘটেছে।
যুগে যুগে অনুপ্রবেশ সর্বক্ষেত্রে বৈষম্য, বিভেদ আর আদর্শকে বিপথগামী করে মুল চিন্তা শক্তিকে বাধাগ্রস্ত করেছে। সুতারাং এটি থেকে উত্তোরনের একমাত্র পথ নেতৃত্বে আদর্শিক কর্মীদের প্রতিষ্টা করন। একজন আদর্শিক কর্মী কখনো দলীয় স্বার্থকে উপেক্ষা করে নিজের স্বার্থে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে দলকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলবে না।
সুতারং অনুপ্রবেশ ঠেকাতে দলীয় নেতৃত্ব বাছাইয়ে সতর্ক ভুমিকাই উৎকৃষ্ট পন্থা হতে পারে। অন্যদিকে সম্প্রতি পুর্বধলা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীসভাবেশ আহবান করেছিলো স্হানীয় নেতৃবৃন্দ দেখা গেল নির্ধারিত তারিখে জেলার নেতৃবৃন্দ আসলেন কিন্তু দলীয় কার্যালয় বন্ধ দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে জেলার নেতৃবৃন্দ স্হানীয় ডাকবাংলায় এসে কর্মীদের উদ্দেশ্যে একটি ব্রিফিং করলেন, সেখানে হয়তোবা যৌক্তিক কারনেই পূর্বের কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে সম্মেলন প্রস্তুুতি কমিটি গঠনের লক্ষ্যে স্থানীয় কর্মীদের কাছ থেকে জীবন বৃত্তান্তসহ আবেদনের আহবান করেন।
জানা গেছে শেষদিন পর্যন্ত ২০০ জন পদপ্রার্থী আবেদন করেছে। এটি একটি ভয়ংকর চিত্র এতগুলো মানুষের নেতৃত্বের আখাংকা অঞ্চলটিকে কর্মীশুন্য হওয়ার আশংকায় ফেলেছে। তাই নেতৃবৃন্দকে ভাবা উচিত কর্মীশুন্য দলে এতো নেতার প্রয়োজন আছে কি ?
ছাত্র না হয়ে শিক্ষক হওয়ার ইচ্ছেটা যতটা বেকুবের পরিচয় বহন করে, তার চেয়েও ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনতে পারে অনুপ্রবেশ করে নেতৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিত হলে। তাই তৃনমুল থেকে আদর্শিক কর্মী বাছাইয়ের মাধ্যমে নেতা নির্বাচনে যত্নবান হওয়া বাঞ্ছনীয়।
লেখক: এমদাদুল হক বাবুল, প্রভাষক পূর্বধলা সরকারী কলেজ।