নেত্রকোনা ০৭:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘পাহাড়ে অরক্ষিত সীমান্ত কারণে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না’

  • আপডেট : ১০:২২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২০
  • ১৮৩

মহুয়া জান্নাত মনি,রাঙামাটি প্রতিনিধি:
পাহাড়ে অরক্ষিত সীমান্তে কারণে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা বলে মন্তব্য করেছেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর । তিনি বলেন, পার্বত্যাঞ্চলের সীমান্তগুলো নিয়ন্ত্রণ করা গেলে মাদক পাচার অনেকটা বন্ধ হয়ে যাবে। তিন পার্বত্য জেলার অনেক দুর্গম সীমান্ত রয়েছে। যেগুলো এখনো অরক্ষিত। আর এসব অরক্ষিত সীমানাকে মাদক পাচারের নিরাপদ সড়ক হিসেবে ব্যবহার করছে মাদক ব্যবসায়ীরা। আর এ মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে যুব সমাজের কাছে। মাদকের কারণে এখন যুব সমাজ ধ্বংসের পথে। এসময় তিনি যার যার অবস্থান থেকে মাদকের বিরুদ্ধে সচেতন হওয়ার আহবান জানান।

বৃহষ্পতিবার বিকাল ৪টায় রাঙামাটি জিমনেশিয়াম চত্বরে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৩০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর এসব কথা বলেন।

রাঙামাটি মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে এতে রাঙামাটি ডিজিএফআই এর প্রধান কর্ণেল মো. শামসুল আলম, রাঙামাটি জেলা পুলিম সুপার মো. আলমগীর কবির, রাঙামাটি পৌর মেয়র মো. আকবর হোসেন চৌধূরী , রাঙামাটি জেল সুপার মো. মতিউর রহমান ও রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. সাখাওয়াৎ হোসনে রুবেল উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হামিদ বলেন, রাঙামাটি জেলাতে বর্তমানে মাদক পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলেও অনেক কমে এসেছে। গত ৬মাসে রাঙামাটি মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এরই মধ্যে ২০০টির অধিক অভিযান পরিচালনা হয়েছে। এর মধ্যে ৫০টির অধিক মামলা করা হয়েছে।

পরে আনুষ্ঠানিকভাবে কেক কেটে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৩০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সূচনা করেন আমন্ত্রীত অতিথিরা। অন্যাদিকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৩০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী নানা কর্মসূচী পালন করছে রাঙামাটি জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

‘পাহাড়ে অরক্ষিত সীমান্ত কারণে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না’

আপডেট : ১০:২২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২০

মহুয়া জান্নাত মনি,রাঙামাটি প্রতিনিধি:
পাহাড়ে অরক্ষিত সীমান্তে কারণে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা বলে মন্তব্য করেছেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর । তিনি বলেন, পার্বত্যাঞ্চলের সীমান্তগুলো নিয়ন্ত্রণ করা গেলে মাদক পাচার অনেকটা বন্ধ হয়ে যাবে। তিন পার্বত্য জেলার অনেক দুর্গম সীমান্ত রয়েছে। যেগুলো এখনো অরক্ষিত। আর এসব অরক্ষিত সীমানাকে মাদক পাচারের নিরাপদ সড়ক হিসেবে ব্যবহার করছে মাদক ব্যবসায়ীরা। আর এ মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে যুব সমাজের কাছে। মাদকের কারণে এখন যুব সমাজ ধ্বংসের পথে। এসময় তিনি যার যার অবস্থান থেকে মাদকের বিরুদ্ধে সচেতন হওয়ার আহবান জানান।

বৃহষ্পতিবার বিকাল ৪টায় রাঙামাটি জিমনেশিয়াম চত্বরে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৩০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর এসব কথা বলেন।

রাঙামাটি মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে এতে রাঙামাটি ডিজিএফআই এর প্রধান কর্ণেল মো. শামসুল আলম, রাঙামাটি জেলা পুলিম সুপার মো. আলমগীর কবির, রাঙামাটি পৌর মেয়র মো. আকবর হোসেন চৌধূরী , রাঙামাটি জেল সুপার মো. মতিউর রহমান ও রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. সাখাওয়াৎ হোসনে রুবেল উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হামিদ বলেন, রাঙামাটি জেলাতে বর্তমানে মাদক পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলেও অনেক কমে এসেছে। গত ৬মাসে রাঙামাটি মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এরই মধ্যে ২০০টির অধিক অভিযান পরিচালনা হয়েছে। এর মধ্যে ৫০টির অধিক মামলা করা হয়েছে।

পরে আনুষ্ঠানিকভাবে কেক কেটে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৩০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সূচনা করেন আমন্ত্রীত অতিথিরা। অন্যাদিকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৩০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী নানা কর্মসূচী পালন করছে রাঙামাটি জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।