নেত্রকোনা ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংরক্ষিত বনের গাছ কাটার প্রতিবাদে লাউয়াছড়া জীববৈচিত্র্য রক্ষা আন্দোলনের মানববন্ধন

মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুরের চাউতলী বনবিটের আওতাধীন শতবর্ষী বৃক্ষসহ ৬ হাজার গাছ কর্তনের প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে লাউয়াছড়া জীব বৈচিত্র রক্ষা আন্দোলন কমিটির ব্যানারে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চাউতলি এলাকায় উপরকারভোগির নামে কর্তন করার নিমিত্তে বনবিভাগ শতবর্ষী বৃক্ষসহ ৬ হাজার গাছ কাটার সিন্ধান্ত নেওয়ার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় শ্রীমঙ্গল চৌমুহনা এলাকায় মানব বন্ধন কর্মসূচিতে লাউয়াছড়া জীব বৈচিত্র রক্ষা আন্দোলনের আহবায়ক জলি পালের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সদস্য সচিব প্রিতম দাশ এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এর সহসভাপতি দ্বীপেন্দ্র ভট্টাচার্য, সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আমিরুজ্জামান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম, লাউয়াছড়া জীববৈচিত্র রক্ষা আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক কাজী সামছুল হক, মৌলভীবাজার পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি সৈয়দ মহসিন পারভেজ, কবি জাবেদ ভুঁইয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কোনও অবস্থাতেই লাউয়াছড়া রেইন ফরেস্টকে ধ্বংস করতে দেয়া হবেনা। বনের ভিতর সামাজিক বনায়নের দোহাই দিয়ে গাছ কাটা হয়। প্রতিনিয়তই বনের ভিতরে বন বিধ্বংসী কাজ করা হচ্ছে। আমরা এর তিব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। চাউতলী বিটে যে গাছগুলোকে কাটার জন্য মার্কিং করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে চাপালিশ,লোহা কাঠ, বহেরা, ডুমুর, হরীতকী, আমলকী, জারুল, রিঠা, ডেউয়া, লটকন, কাঠবাদাম, লুকলুকি, কাউফল, বন উরি, কাঁটাজামসহ রয়েছে অর্ধশতাধিক ফল গাছ। যার ওপর নির্ভরশীল বন্য প্রাণী।
এসব গাছ কাটলে প্রাণীরা কোথায় যাবে। বন বিভাগ এখনো সেই গাছগুলো থেকে নাম্বার মুছে ফেলে নি। এর আগে বাংলাদেশ রেলওয়ে রেললাইনের পাশের লাউয়াছড়ার প্রায় ২৫ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। পরিবেশবাদীদের আন্দোলনের মুখে তখন তা বাতিল করা হয়। আর যদি লাউয়াছড়ার গাছ কাটার উদ্যোগ নেয়া হয় আমরা রাস্তায় আন্দোলনে নামবো। পরে জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

সংরক্ষিত বনের গাছ কাটার প্রতিবাদে লাউয়াছড়া জীববৈচিত্র্য রক্ষা আন্দোলনের মানববন্ধন

আপডেট : ১০:৫৮:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯
মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুরের চাউতলী বনবিটের আওতাধীন শতবর্ষী বৃক্ষসহ ৬ হাজার গাছ কর্তনের প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে লাউয়াছড়া জীব বৈচিত্র রক্ষা আন্দোলন কমিটির ব্যানারে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চাউতলি এলাকায় উপরকারভোগির নামে কর্তন করার নিমিত্তে বনবিভাগ শতবর্ষী বৃক্ষসহ ৬ হাজার গাছ কাটার সিন্ধান্ত নেওয়ার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় শ্রীমঙ্গল চৌমুহনা এলাকায় মানব বন্ধন কর্মসূচিতে লাউয়াছড়া জীব বৈচিত্র রক্ষা আন্দোলনের আহবায়ক জলি পালের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সদস্য সচিব প্রিতম দাশ এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এর সহসভাপতি দ্বীপেন্দ্র ভট্টাচার্য, সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আমিরুজ্জামান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম, লাউয়াছড়া জীববৈচিত্র রক্ষা আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক কাজী সামছুল হক, মৌলভীবাজার পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি সৈয়দ মহসিন পারভেজ, কবি জাবেদ ভুঁইয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কোনও অবস্থাতেই লাউয়াছড়া রেইন ফরেস্টকে ধ্বংস করতে দেয়া হবেনা। বনের ভিতর সামাজিক বনায়নের দোহাই দিয়ে গাছ কাটা হয়। প্রতিনিয়তই বনের ভিতরে বন বিধ্বংসী কাজ করা হচ্ছে। আমরা এর তিব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। চাউতলী বিটে যে গাছগুলোকে কাটার জন্য মার্কিং করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে চাপালিশ,লোহা কাঠ, বহেরা, ডুমুর, হরীতকী, আমলকী, জারুল, রিঠা, ডেউয়া, লটকন, কাঠবাদাম, লুকলুকি, কাউফল, বন উরি, কাঁটাজামসহ রয়েছে অর্ধশতাধিক ফল গাছ। যার ওপর নির্ভরশীল বন্য প্রাণী।
এসব গাছ কাটলে প্রাণীরা কোথায় যাবে। বন বিভাগ এখনো সেই গাছগুলো থেকে নাম্বার মুছে ফেলে নি। এর আগে বাংলাদেশ রেলওয়ে রেললাইনের পাশের লাউয়াছড়ার প্রায় ২৫ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। পরিবেশবাদীদের আন্দোলনের মুখে তখন তা বাতিল করা হয়। আর যদি লাউয়াছড়ার গাছ কাটার উদ্যোগ নেয়া হয় আমরা রাস্তায় আন্দোলনে নামবো। পরে জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।