নেত্রকোনার দুর্গাপুরে কাঁকৈরগড়া ইউনিয়নের বসনকোনা গ্রামের পল্লীতে ৮ম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার কাঁকৈরগড়া ইউনিয়নের বসনকোনা গ্রামের ৮ম শ্রেনীতে পড়–য়া এক শিক্ষার্থী গত মঙ্গলবার ঝানজাইল তার নানার বাড়ীতে বেড়াতে যায়। গত শুক্রবার দুপুরে নানার বাড়ী থেকে নিজবাড়ীতে ফেরার পথে ভাউরতলা এলাকায় তাকে একা পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মীর নূর মোহাম্মদ এর পুত্র মীর আবুল কাইয়ুম (২১) জোরপূর্বক ওই শিক্ষার্থীকে তার বাড়ীতে নিয়ে আসে এবং মীর মোকতাদির এর বসতঘরে আটকিয়ে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করে শনিবার ভোরে বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। ঐদিন থেকেই ধর্ষিতা বিয়ের দাবীতে ঐ বাড়ীতেই অবস্থান করছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি মিট মিমাংসার জন্য একটি চক্র চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। শনিবার রাতে খবরপেয়ে ওসি (তদন্ত) মীর মাহবুবুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ধর্ষিতাকে থানায় নিয়ে আসে।
এরই প্রেক্ষিতে রোববার ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে মীর কাইয়ুমকে প্রধান আসামী করে ৩ জনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেণ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মীর মাহবুবুর রহমান যুগান্তর কে বলেন, ধর্ষিতার বাবা’র অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় সহায়তাকারী কাইয়ুমের চাচাতো ভাই মোকতাদিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামীদেরকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলার চেষ্টা করতে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।