নেত্রকোনা ০৫:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও’র বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বরাদ্দ থেকে যন্ত্রপাতি কেনার নামে ১৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা লুটপাট করেছেন আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডাঃ তাপস কুমার সরকার।

এরই মধ্যে প্রাথমিক তদন্তে ডাঃ তাপস কুমারের দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। যন্ত্রপাতি কেনার নামে ১৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা লুটপাট করার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ডাঃ তাপস কুমারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করা হয়েছে।

গত ৩০ অক্টোবর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে ডাঃ তাপস কুমারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করা হয়। একই সঙ্গে দুর্নীতির বিষয়টি প্রমানিত হওয়ায় কেন বিধি মোতাবেক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে না মর্মে নোটিশ প্রাপ্তির ১০ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে হসপিটাল সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট (এইচএসএম) অপারেশন প্ল্যানে আরপিএ (জিওবি) খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তিতে ছাড়কৃত ১৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকার অনিয়ম হয়েছে। যন্ত্রপাতি কেনার নামে ১৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা লুটপাট করেছেন মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডাঃ তাপস কুমার সরকার। এমএসআর সামগ্রী ও ভারী যন্ত্রপাতি কেনার অনিয়মের সঙ্গে জড়িত চিকিৎসক ডাঃ তাপস কুমার। বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, যেহেতু আপনার বিরুদ্ধে উল্লেখিত কার্যকলাপ সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার পরিপন্থী এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ৩ (খ) ও ৩ (ঘ) অনুযায়ী দুর্নীতি হিসেবে গণ্য। সেহেতু দুর্নীতির দায়ে আপনাকে অভিযুক্ত করা হলো।

একই সঙ্গে আপনাকে ওই বিধিমালার অধীনে কেন যথোপযুক্ত দন্ড দেয়া হবে না- নোটিশ প্রাপ্তির ১০ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হলো। পাশাপাশি আপনি ব্যক্তিগত শুনানি চান কি-না তা জানাতেও নির্দেশ দেয়া হলো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডাঃ তাপস কুমার সরকার বলেন, এ মর্মে আমি নোটিশ পেয়েছি। আমি আমার মতো করে নোটিশের জবাব দিয়েছি। বাকিটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখবে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ নুরুন নাহার বেগম বলেন, শুধু আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা নন, যন্ত্রপাতি কেনায় জড়িত ঠিকাদারসহ আরও চারজনকে নোটিশ দেয়া হয়েছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি এ ব্যাপারে তদন্ত করে গেছেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডাঃ তাপস কুমার সরকার চার বছরের বেশি সময় ধরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। কয়েক দফায় প্রমোশন হলেও তা গ্রহণ না করে আরএমওর চেয়ারে বসে আছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।

পূর্বধলায় উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও’র বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

আপডেট : ০২:৪২:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বরাদ্দ থেকে যন্ত্রপাতি কেনার নামে ১৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা লুটপাট করেছেন আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডাঃ তাপস কুমার সরকার।

এরই মধ্যে প্রাথমিক তদন্তে ডাঃ তাপস কুমারের দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। যন্ত্রপাতি কেনার নামে ১৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা লুটপাট করার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ডাঃ তাপস কুমারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করা হয়েছে।

গত ৩০ অক্টোবর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে ডাঃ তাপস কুমারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করা হয়। একই সঙ্গে দুর্নীতির বিষয়টি প্রমানিত হওয়ায় কেন বিধি মোতাবেক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে না মর্মে নোটিশ প্রাপ্তির ১০ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে হসপিটাল সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট (এইচএসএম) অপারেশন প্ল্যানে আরপিএ (জিওবি) খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তিতে ছাড়কৃত ১৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকার অনিয়ম হয়েছে। যন্ত্রপাতি কেনার নামে ১৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা লুটপাট করেছেন মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডাঃ তাপস কুমার সরকার। এমএসআর সামগ্রী ও ভারী যন্ত্রপাতি কেনার অনিয়মের সঙ্গে জড়িত চিকিৎসক ডাঃ তাপস কুমার। বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, যেহেতু আপনার বিরুদ্ধে উল্লেখিত কার্যকলাপ সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার পরিপন্থী এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ৩ (খ) ও ৩ (ঘ) অনুযায়ী দুর্নীতি হিসেবে গণ্য। সেহেতু দুর্নীতির দায়ে আপনাকে অভিযুক্ত করা হলো।

একই সঙ্গে আপনাকে ওই বিধিমালার অধীনে কেন যথোপযুক্ত দন্ড দেয়া হবে না- নোটিশ প্রাপ্তির ১০ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হলো। পাশাপাশি আপনি ব্যক্তিগত শুনানি চান কি-না তা জানাতেও নির্দেশ দেয়া হলো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডাঃ তাপস কুমার সরকার বলেন, এ মর্মে আমি নোটিশ পেয়েছি। আমি আমার মতো করে নোটিশের জবাব দিয়েছি। বাকিটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখবে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ নুরুন নাহার বেগম বলেন, শুধু আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা নন, যন্ত্রপাতি কেনায় জড়িত ঠিকাদারসহ আরও চারজনকে নোটিশ দেয়া হয়েছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি এ ব্যাপারে তদন্ত করে গেছেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডাঃ তাপস কুমার সরকার চার বছরের বেশি সময় ধরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। কয়েক দফায় প্রমোশন হলেও তা গ্রহণ না করে আরএমওর চেয়ারে বসে আছেন।