নেত্রকোনা ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেন্দুয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতে ভুয়া বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের এক মাসের জেল

  • আপডেট : ০৩:৫৮:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০১৯
  • ২৯০

সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা প্রতিনিধি) ঃ

চিকিৎসা বিজ্ঞানে লেখাপড়া না করেও যিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে সাইনবোর্ড টানিয়ে সর্বরোগের চিকিৎসা করে সাধারন জনগনের কাছ থেকে বিপুল পরিমান অবৈধ অর্থ উপার্যন করে আসছিলেন, সেই ভুয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নাজিউর হক সোহাগকে (২৫) একমাসের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোছাঃ শিরিন সুলতানা। শনিবার সকালে নেত্রকোনা আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

তার বাড়ী ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার মুক্তাগাছা গ্রামে। তার বাবার নাম নূরুল হক। কেন্দুয়া বাজারের জননী ফার্মেসীর মালিক মাহবুবুর রহমান জানান, প্রতি নতুন রোগীর ক্ষেত্রে ৪০০/- এবং পুরাতন রোগীর ক্ষেত্রে ৩০০/- টাকা ভিজিট নিয়ে সর্বরোগের চিকিৎসা করে রোগীদের প্যাথলজীক্যাল পরীক্ষা নিরিক্ষা করে উচ্চমাত্রার এন্টিবায়োটিক দিয়ে আসছিলেন। প্যারা ম্যাডিকেল কোর্স করে ইন্টার্নি করেছে মর্মে জানিয়ে কেন্দুয়া বাজারের জননী ফার্মেসীতে চেম্বার তৈরি করে অবৈধ অর্থ উপার্জন করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। শুক্রবার বিশ্বস্থ্য সূত্রে খবর পান কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান।

তিনি প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। পরে ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোসাঃ শিরিন সুলতানা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চিকিৎসা নেওয়া লোকদের বক্তব্য শুনে এবং ভুয়া চিকিৎসক গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে সত্যতা স্বীকার করায় ভ্রাম্যমান আদালতে ১ লক্ষটাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের কারাদন্ডাদেশ দেন। এর সত্যতা নিশ্চিত করে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচাজ মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, গ্রেফতারকৃত ভুয়া চিকিৎসক নাজিউর হক সোহাগকে নেত্রকোনা আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি সকলকে এসব তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহŸান জানান।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

কেন্দুয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতে ভুয়া বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের এক মাসের জেল

আপডেট : ০৩:৫৮:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০১৯

সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা প্রতিনিধি) ঃ

চিকিৎসা বিজ্ঞানে লেখাপড়া না করেও যিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে সাইনবোর্ড টানিয়ে সর্বরোগের চিকিৎসা করে সাধারন জনগনের কাছ থেকে বিপুল পরিমান অবৈধ অর্থ উপার্যন করে আসছিলেন, সেই ভুয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নাজিউর হক সোহাগকে (২৫) একমাসের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোছাঃ শিরিন সুলতানা। শনিবার সকালে নেত্রকোনা আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

তার বাড়ী ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার মুক্তাগাছা গ্রামে। তার বাবার নাম নূরুল হক। কেন্দুয়া বাজারের জননী ফার্মেসীর মালিক মাহবুবুর রহমান জানান, প্রতি নতুন রোগীর ক্ষেত্রে ৪০০/- এবং পুরাতন রোগীর ক্ষেত্রে ৩০০/- টাকা ভিজিট নিয়ে সর্বরোগের চিকিৎসা করে রোগীদের প্যাথলজীক্যাল পরীক্ষা নিরিক্ষা করে উচ্চমাত্রার এন্টিবায়োটিক দিয়ে আসছিলেন। প্যারা ম্যাডিকেল কোর্স করে ইন্টার্নি করেছে মর্মে জানিয়ে কেন্দুয়া বাজারের জননী ফার্মেসীতে চেম্বার তৈরি করে অবৈধ অর্থ উপার্জন করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। শুক্রবার বিশ্বস্থ্য সূত্রে খবর পান কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান।

তিনি প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। পরে ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোসাঃ শিরিন সুলতানা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চিকিৎসা নেওয়া লোকদের বক্তব্য শুনে এবং ভুয়া চিকিৎসক গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে সত্যতা স্বীকার করায় ভ্রাম্যমান আদালতে ১ লক্ষটাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের কারাদন্ডাদেশ দেন। এর সত্যতা নিশ্চিত করে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচাজ মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, গ্রেফতারকৃত ভুয়া চিকিৎসক নাজিউর হক সোহাগকে নেত্রকোনা আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি সকলকে এসব তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহŸান জানান।