নেত্রকোনা ০২:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাঙ্গামাটিতে পরিবার কল্যান সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে এ্যাডভোকেসি সভা

  • আপডেট : ০৩:৫২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৯
  • ২৩৭

সারা দেশের ন্যায় রাঙ্গামাটিতেও ৭-১২ ডিসেম্বর পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আয়োজনে অ্যাডভোকেসি ও প্রেস ব্রিফিং সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় স্বাস্থ্য বিভাগের আহŸায়ক ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য হাজী মুঝা মাতব্বর এর সভাপতিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বেড়ম শাহান ওয়াজ এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন ডা. শহীদ তালুকদার, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরীন ইসলাম, রাঙ্গামাটি ডিষ্ট্রিক কনসালটেন্ট ও সহকারী পরিচালক (সিসি) শেখ রোকন উদ্দিন, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের সার্জন ডাঃ লেলিন তালুকদার, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসক ডাঃ বেবী ত্রিপুরা।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, বাল্যবিবাহের অবসান ঘটানোর জন্য প্রচলিত আইনের পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ে সমাজে সচেতনতা বাড়াতে হবে। সামাজিক সচেতনতার কাজটি প্রথমে পরিবার থেকে শুরু করতে হবে। সামাজিক মূল্যবোধ ও মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে। তিনি বলেন, বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সকল পর্যায়ে প্রচারাভিযান চালিয়ে যেতে হবে। অল্প বয়সে বিয়ে না দিয়ে মেয়েদেরকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে।

আমাদের মেয়েদের ভবিষ্যত নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। মেয়েদের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে তাদেরকে সুযোগ করে দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নারীদের পাশাপাশি পুরুষদের এগিয়ে আসতে হবে। মাতৃমৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ বাল্যবিবাহ, বাল্যবিবাহ মেয়েদেরকে বিপদের মধ্যে ঠেলে দেয়, মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং শিক্ষার সুযোগ কমে যায়।

চেয়ারম্যান বলেন, অপরিণত বয়সে বিয়ের মানসিক আঘাত পরবর্তী প্রজন্মের উপরেও প্রভাব ফেলে। মেয়েটি তার নিজের বাল্যকাল হারিয়ে ফেলার কারণে মানসিকভাবে তার সন্তানদেরকে কখনোই যথাযথভাবে গড়ে তুলতে পারে না এবং অপরিণত বয়সে বিয়ে হওয়ার কারণে সেই মানসিক আঘাত কাটিয়ে ওঠার জন্য মানসিকভাবে সক্ষম থাকে না। সকলক্ষেত্রে নারী পুরূষের সমতা সৃষ্টি করতে হবে। বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তোলার মাধ্যমে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ ও দেশের উন্নয়ন ঘটিয়ে রূপকল্প -২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে অপার সম্ভাবনার দেশ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনারবাংলা গড়তে তৃণমূল পর্যায়ের সকলকে নির্বিশেষে সকলে এগিয়ে আসার আহবান জানান চেয়ারম্যান।

চেয়ারম্যান স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দেশে বক্তারা বলেন, সেবা গ্রহিতাদের মাঝে আস্থা তৈরি করতে হবে। তারা যেন, সেবা কেন্দ্রে আসে, সে-পথ আপনাদের তৈরি করতে হবে। মুখে মুখে বলতে হবে, নিরাপদ প্রসবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে আসুন।

পরে প্রেস ব্রিফিং এ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বেড়ম শাহান ওয়াজ জানান, ‘পরিবার পরিকল্পনা সেবা গ্রহণ করি, কৈশোরকালীন মাতৃত্ব রোধ করি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সপ্তাহব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। এবার এই সপ্তাহের সকল কর্মসূচি হবে মানুষের মাঝে।

আমরা মানুষকে সচেতন করতে মাকে সচেতন করতে হাসপাতাল, সকল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, স্যাটেলাইট ক্লিনিকে সভা করা হবে। এছাড়া মা দের সচেতন করার জন্য গ্রামে উঠান বৈঠক ও মা সমাবেশ করার উদ্যোগ গ্রঞন করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

রাঙ্গামাটিতে পরিবার কল্যান সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে এ্যাডভোকেসি সভা

আপডেট : ০৩:৫২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৯

সারা দেশের ন্যায় রাঙ্গামাটিতেও ৭-১২ ডিসেম্বর পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আয়োজনে অ্যাডভোকেসি ও প্রেস ব্রিফিং সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় স্বাস্থ্য বিভাগের আহŸায়ক ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য হাজী মুঝা মাতব্বর এর সভাপতিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বেড়ম শাহান ওয়াজ এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন ডা. শহীদ তালুকদার, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরীন ইসলাম, রাঙ্গামাটি ডিষ্ট্রিক কনসালটেন্ট ও সহকারী পরিচালক (সিসি) শেখ রোকন উদ্দিন, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের সার্জন ডাঃ লেলিন তালুকদার, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসক ডাঃ বেবী ত্রিপুরা।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, বাল্যবিবাহের অবসান ঘটানোর জন্য প্রচলিত আইনের পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ে সমাজে সচেতনতা বাড়াতে হবে। সামাজিক সচেতনতার কাজটি প্রথমে পরিবার থেকে শুরু করতে হবে। সামাজিক মূল্যবোধ ও মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে। তিনি বলেন, বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সকল পর্যায়ে প্রচারাভিযান চালিয়ে যেতে হবে। অল্প বয়সে বিয়ে না দিয়ে মেয়েদেরকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে।

আমাদের মেয়েদের ভবিষ্যত নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। মেয়েদের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে তাদেরকে সুযোগ করে দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নারীদের পাশাপাশি পুরুষদের এগিয়ে আসতে হবে। মাতৃমৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ বাল্যবিবাহ, বাল্যবিবাহ মেয়েদেরকে বিপদের মধ্যে ঠেলে দেয়, মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং শিক্ষার সুযোগ কমে যায়।

চেয়ারম্যান বলেন, অপরিণত বয়সে বিয়ের মানসিক আঘাত পরবর্তী প্রজন্মের উপরেও প্রভাব ফেলে। মেয়েটি তার নিজের বাল্যকাল হারিয়ে ফেলার কারণে মানসিকভাবে তার সন্তানদেরকে কখনোই যথাযথভাবে গড়ে তুলতে পারে না এবং অপরিণত বয়সে বিয়ে হওয়ার কারণে সেই মানসিক আঘাত কাটিয়ে ওঠার জন্য মানসিকভাবে সক্ষম থাকে না। সকলক্ষেত্রে নারী পুরূষের সমতা সৃষ্টি করতে হবে। বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তোলার মাধ্যমে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ ও দেশের উন্নয়ন ঘটিয়ে রূপকল্প -২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে অপার সম্ভাবনার দেশ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনারবাংলা গড়তে তৃণমূল পর্যায়ের সকলকে নির্বিশেষে সকলে এগিয়ে আসার আহবান জানান চেয়ারম্যান।

চেয়ারম্যান স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দেশে বক্তারা বলেন, সেবা গ্রহিতাদের মাঝে আস্থা তৈরি করতে হবে। তারা যেন, সেবা কেন্দ্রে আসে, সে-পথ আপনাদের তৈরি করতে হবে। মুখে মুখে বলতে হবে, নিরাপদ প্রসবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে আসুন।

পরে প্রেস ব্রিফিং এ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বেড়ম শাহান ওয়াজ জানান, ‘পরিবার পরিকল্পনা সেবা গ্রহণ করি, কৈশোরকালীন মাতৃত্ব রোধ করি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সপ্তাহব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। এবার এই সপ্তাহের সকল কর্মসূচি হবে মানুষের মাঝে।

আমরা মানুষকে সচেতন করতে মাকে সচেতন করতে হাসপাতাল, সকল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, স্যাটেলাইট ক্লিনিকে সভা করা হবে। এছাড়া মা দের সচেতন করার জন্য গ্রামে উঠান বৈঠক ও মা সমাবেশ করার উদ্যোগ গ্রঞন করা হয়েছে।