গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি বাসার সেফটি ট্যাংকের ভেতর থেকে এক গৃহ বধূর লাশ উদ্ধার করেছে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ।
বুধবার সকালে উপজেলার চান্দরা খাজার টেক এলাকার ইমরান দেওয়ানের বাড়া বাসা থেকে ওই গৃহ বধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত গৃহবধূ পাবনা জেলার আতাইখোলা উপজেলার শ্রীপুর এলাকার মনসুর আলীর স্ত্রী ফরিদা(৩৬)।
এঘটনায় পুলিশ স্বামী এবং বাড়িওলায়ার স্ত্রীসহ মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।তারা হলেন, পাবনা আতাইখোলা উপজেলার মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে মনসুর আলী(৫০), গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চান্দরা এলাকার বাড়ির মালিক আফতাব দেওয়ানের স্ত্রী খোদেজা বেগম(৪০), পাবনা শ্রীপুর এলাকার মনসুর আলীর ১ম স্ত্রী(নিহতের শতিন)রেখা বেগম(৩৪) এবং তার ছেলে স্বপন(২০)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,মনসুর আলীর ৩য় স্ত্রী হলেন ফরিদা বেগম। তার পূর্বে যেখানে বিয়ে হয়েছিল সেখানকার এক প্রতিবন্ধি সন্তান নিয়ে বিয়ে করে মনসুরকে। বিয়ের পর থেকে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনের অমিল থাকায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া ঝাটি লেগেই থাকত।
বিগত আড়াই মাস পূর্বে নিহত ফরিদাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে নাটক সৃষ্টি করে মনসুর।ফরিদার আত্নীয় স্বজনদের কাছে বলে অন্য কারো সাথে পালিয়ে গেছে।
পরে নিহতের বোন হাসিরা ঘটানাটি সন্দেহ হলে কালিয়াকৈর থানায় অপহরনের দায়ে একটি অভিযোগ করেন। যার নং ৬৪১১১৯।
এঘটনায় গাজীপুর সহকারি পুলিশ সুপার আল মামুন এবং কালিয়াকৈর থানার অপারেশন(ওসি) মনিরুজ্জামানের নেত্বতে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের মাধ্যমে আশুলিয়া থানাধীন গোয়াল বাড়ি দিঘির পাড় এলাকা থেকে প্রধান আসামি মনসুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।পরে মনসুরের জবানবন্দিতে বাড়ির মালিকের স্ত্রী খোদেজা বেগম এ হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলে বুধবার সকালে ওই ভাড়া বাড়ির সেফটি ট্যাংকের ভেতর থেকে ফরিদার কংকাল উদ্ধার করে পুলিশ।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন মজুমদার বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহিদ তাজ উদ্দিন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।