নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া :
ধুমপান মাদক রাজ্যেরে প্রবেশদ্বার। ধূমপান না করে প্রথমেই মাদক দিয়ে নেশার রাজ্যে প্রবেশ করেছে এমন নগন্য। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন সফল বাস্তবায়ন হলে যুব সমাজ নেশাগ্রস্থ হতো না। যেখানে ১৮ বছরের নিচে কাহারও নিকট সিগারেট বা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিষেধ এবং দন্ডনীয় অপরাধ।
আর পরিবার ও সমাজের মানুষগুলো যদি নিজনিজ জায়গা থেকে সচেতনতা বোধ নিয়ে কাজ না করে তাহলে আমরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রায় পৌঁছাতে বাঁধাগ্রস্থ হবো। তাই গ্রাম-মহল্লা বা পাড়ার মানুষগুলোকে সচেতন করা দরকার, তাদেরকে জাগ্রত করা দরকার। আজ শুক্রবার বিকালে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের তেঘরিয়া গ্রামে পোড়াদহ মাদক প্রতিরোধ কমিটি ও সাফ‘র আয়োজনে ধূমপান ও মাদকবিরোধী গ্রাম-মহল্লা ভিত্তিক সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মাদক প্রতিরোধ কমিটির সেক্রেটারী জহুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি ডা: এম,এ করিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, আহাম্মদপুর পুলিশ ফাঁড়ীর আইসি এসআই মো: সোলাইমান হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, সাফ‘র নির্বাহী পরিচালক ও জেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য মীর আব্দুর রাজ্জাক। প্রধান অতিথি আইসি বলেন, সন্তান আপনার তার ভালমন্দ দেখভাল করার দায়িত্বও আপনার। আপনি যে সমাজে বসবাস করেন সেই সমাজের ভালমন্দ দেখভাল করার দায়িত্বও আপনার।
আজকে আপনি দেখেও না দেখার ভান করে চলবেন আর আপনার সন্তান ও সমাজের যুব সমাজ ধ্বংস হলে আপনার অর্জিত সম্পদ কে ভোগ করবে? আপনার সন্তান চাহিবামাত্র টাকা দিয়ে দিলেন, আপনার সন্তান কোথায় গেল, আপনার সন্তানের বন্ধু কে, কোথায় সময় কাটায় তা দেখার দায়িত্ব আপনার। শিশু অর্থাৎ ১৮ বছরের নিচে কাহারও নিকট সিগারেট কিনতে দিবেন না। আপনারা অনেক সময় বয়স্কদের দেখে সিগারেট লুকান, তার চেয়ে বেশী লুকানো দরকার শিশুদের দেখে।
যাতে তারা আপনাকে অনুকরণ না করে এবং পরোক্ষ ধূমপানের শিকার না হয়। ধূমপান নিয়ন্ত্রণ এবং না করার মাধ্যমে আমরা মাদককে গুডবাই জানাতে চাই। তিনি বলেন আজকেও পোড়াদহের চিথলিয়া ও খয়েরচারা গ্রামের দুই জনের ছয় মাস করে মিরপুর উপজেলার বিজ্ঞ নির্বাহী অফিসার ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জেল দিয়েছেন। তাই বলবো ধূমপান এবং মাদকমুক্ত সমাজ ও পরিবার, হোক আমাদের অঙ্গিকার।