নেত্রকোনা ০৩:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীবরদীতে কিশোরী অপহরণের অভিযোগে দাদা-নাতি গ্রেফতার

  • আপডেট : ০৯:২৬:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৯
  • ২১৪

মো. আব্দুল বাতেন, শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি :

এক কিশোরিকে ফুসলিয়ে চাচার বাড়ি থেকে অপহরনের অভিযোগে দাদা ও নাতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার তাদেরকে গ্রেফতার করে কোর্টে সোপর্দ করলে কোর্ট তাদেরকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়নের চরশিমুলচড়া গ্রামে ।

জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় চরশিমুলচুড়া গ্রামের শাজাহান মন্ডলের মেয়ে অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বাড়ির পাশে তার চাচার বাড়িতে বেড়াতে যায়। এ সময় একই গ্রামের জহুরুল হকের ছেলে সজিব মিয়া (১৮) ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে বাড়িতে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে ওই কিশোরির বাবা সজিবের দাদা মকছেদ আলী (৬০), সজিবের বাবা জহুরুল হক, সজিব মিয়া (১৮) সহ সজিবের মা ও চাচাকে আসামী করে থানায় অভিয়োগ করে। পরে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই বাড়ি থেকে ওই কিশোরিকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার এসআই আনোয়ার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সজিব মিয়া (১৮) ও তার দাদা মকছেদ আলীকে আটক করে।

কিশোরির বাবা শাহজাহান মন্ডল জানায়, তার মেয়ে বাড়ির পাশে একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে লেখাপড়া করত। তার মেয়ে স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রায়ই সজিব ইভটিজিং করত। এ কারণে ইভটিজিংয়ের ভয়ে তাকে অন্য আরেকটি স্কুলে ভর্তি করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্রীবরদী থানার এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, এজাহার নামীয় ৫ আসামীর মধ্যে ২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

মেয়েটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। বুধবার আদালতে মেয়েটির ২২ ধারা জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শ্রীবরদী থানার ওসি রুহুল আমিন তালুকদার বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থল থেকে ২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

শ্রীবরদীতে কিশোরী অপহরণের অভিযোগে দাদা-নাতি গ্রেফতার

আপডেট : ০৯:২৬:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৯

মো. আব্দুল বাতেন, শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি :

এক কিশোরিকে ফুসলিয়ে চাচার বাড়ি থেকে অপহরনের অভিযোগে দাদা ও নাতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার তাদেরকে গ্রেফতার করে কোর্টে সোপর্দ করলে কোর্ট তাদেরকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়নের চরশিমুলচড়া গ্রামে ।

জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় চরশিমুলচুড়া গ্রামের শাজাহান মন্ডলের মেয়ে অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বাড়ির পাশে তার চাচার বাড়িতে বেড়াতে যায়। এ সময় একই গ্রামের জহুরুল হকের ছেলে সজিব মিয়া (১৮) ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে বাড়িতে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে ওই কিশোরির বাবা সজিবের দাদা মকছেদ আলী (৬০), সজিবের বাবা জহুরুল হক, সজিব মিয়া (১৮) সহ সজিবের মা ও চাচাকে আসামী করে থানায় অভিয়োগ করে। পরে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই বাড়ি থেকে ওই কিশোরিকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার এসআই আনোয়ার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সজিব মিয়া (১৮) ও তার দাদা মকছেদ আলীকে আটক করে।

কিশোরির বাবা শাহজাহান মন্ডল জানায়, তার মেয়ে বাড়ির পাশে একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে লেখাপড়া করত। তার মেয়ে স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রায়ই সজিব ইভটিজিং করত। এ কারণে ইভটিজিংয়ের ভয়ে তাকে অন্য আরেকটি স্কুলে ভর্তি করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্রীবরদী থানার এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, এজাহার নামীয় ৫ আসামীর মধ্যে ২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

মেয়েটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। বুধবার আদালতে মেয়েটির ২২ ধারা জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শ্রীবরদী থানার ওসি রুহুল আমিন তালুকদার বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থল থেকে ২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।