নেত্রকোনা ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্গাপুরে বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা

  • আপডেট : ০৮:০১:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৫৫

তোবারক হোসেন খোকন, দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) : নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ঘনকুয়াশা, হিমেল হাওয়া ও কনকনে শীত উপক্ষো করে ইরি-বোরো ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। স্থানীয় কৃষাণ-কৃষানিরা নিজেদের খাবার জোগার করতে ধান চাষের জন্য মাঠে নেমেছেন। মাঠের পর মাঠ জুড়ে কেউ চারা তুলছেন, কেউ জমি তৈরির কাজ করছেন আবার কেউবা ক্ষেতে পানি সেচের জন্য শ্যালো মেশিনে সেচ দিচ্ছেন। রোববার উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ সীমান্তবর্তী আদিবাসী এলাকা গুলোতে গিয়ে এমনটাই দেখা গেছে। ,

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরা ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা ১৭ হাজার ৫’শ ৮০ হেক্টর এবং এ পর্যন্ত রোপন হয়েছে প্রায় ৬ হাজার হেক্টরের মতো। উপজেলার কুল্লাগড়া, দুর্গাপুর, গাওকান্দিয়া, চন্ডিগড়, বাকলজোড়া ও কাকৈরগড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ধুম পড়েছে বোরো আবাদের। স্থানীয় জাতের বীজের চেয়ে হাইব্রীড এবং উচ্চ ফলনশীল উপসী ধান আবাদে আগ্রহ প্রকাশ করছেন এলাকার কৃষকগন। ,

গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের কৃষক এইচ এম সাইদুল ইসলাম বলেন, আগাম বন্যা হওয়ার আশঙ্কায় এবার আগে-ভাগেই ধানের ক্ষেত তৈরী করে চারা রোপন শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত সার, কিটনাশক ও ডিজেলের সমস্যায় পড়তে হয়নি। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ আমাদের এলাকায় বোরো আবাদ ভালো করার জন্য সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। অত্র এলাকায় গত আমন ফসল বাম্পার হওয়ায় খুব আগ্রহ নিয়ে বোরো আবাদ শুরু করেছি। আশা করছি এবারেও বাম্পার ফলন হবে। ,

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, এবার বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরা ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা ১৭ হাজার ৫’শ ৮০ হেক্টর এবং এ পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার হেক্টরের মতো রোপন করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রীড এবং উচ্চ ফলনশীল উপসী ধান আবাদে আগ্রহ প্রকাশ করছেন কৃষকগন। এবার শৈত্য প্রবাহ, ঘনকুয়াসা ও হাড় কাঁপানো শীতের মধ্যেও বীজ তলার কোন ক্ষতি হয়নি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ইরি বোরো চারা রোপনের লক্ষ্য মাত্রা শেষ করা যাবে বলে তিনি আশা করছেন। ,

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

দুর্গাপুরে বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা

আপডেট : ০৮:০১:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩

তোবারক হোসেন খোকন, দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) : নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ঘনকুয়াশা, হিমেল হাওয়া ও কনকনে শীত উপক্ষো করে ইরি-বোরো ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। স্থানীয় কৃষাণ-কৃষানিরা নিজেদের খাবার জোগার করতে ধান চাষের জন্য মাঠে নেমেছেন। মাঠের পর মাঠ জুড়ে কেউ চারা তুলছেন, কেউ জমি তৈরির কাজ করছেন আবার কেউবা ক্ষেতে পানি সেচের জন্য শ্যালো মেশিনে সেচ দিচ্ছেন। রোববার উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ সীমান্তবর্তী আদিবাসী এলাকা গুলোতে গিয়ে এমনটাই দেখা গেছে। ,

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরা ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা ১৭ হাজার ৫’শ ৮০ হেক্টর এবং এ পর্যন্ত রোপন হয়েছে প্রায় ৬ হাজার হেক্টরের মতো। উপজেলার কুল্লাগড়া, দুর্গাপুর, গাওকান্দিয়া, চন্ডিগড়, বাকলজোড়া ও কাকৈরগড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ধুম পড়েছে বোরো আবাদের। স্থানীয় জাতের বীজের চেয়ে হাইব্রীড এবং উচ্চ ফলনশীল উপসী ধান আবাদে আগ্রহ প্রকাশ করছেন এলাকার কৃষকগন। ,

গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের কৃষক এইচ এম সাইদুল ইসলাম বলেন, আগাম বন্যা হওয়ার আশঙ্কায় এবার আগে-ভাগেই ধানের ক্ষেত তৈরী করে চারা রোপন শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত সার, কিটনাশক ও ডিজেলের সমস্যায় পড়তে হয়নি। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ আমাদের এলাকায় বোরো আবাদ ভালো করার জন্য সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। অত্র এলাকায় গত আমন ফসল বাম্পার হওয়ায় খুব আগ্রহ নিয়ে বোরো আবাদ শুরু করেছি। আশা করছি এবারেও বাম্পার ফলন হবে। ,

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, এবার বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরা ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা ১৭ হাজার ৫’শ ৮০ হেক্টর এবং এ পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার হেক্টরের মতো রোপন করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রীড এবং উচ্চ ফলনশীল উপসী ধান আবাদে আগ্রহ প্রকাশ করছেন কৃষকগন। এবার শৈত্য প্রবাহ, ঘনকুয়াসা ও হাড় কাঁপানো শীতের মধ্যেও বীজ তলার কোন ক্ষতি হয়নি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ইরি বোরো চারা রোপনের লক্ষ্য মাত্রা শেষ করা যাবে বলে তিনি আশা করছেন। ,