পূর্বধলা (নেত্রকোনা) সংবাদদাতা : নেত্রকোনার পূর্বধলায় পুকুরের পানিতে ফেলে ৩ মাাসের শিশু জনি আক্তারকে হত্যার ঘটনায় শিশুটির চাচি হেনা আক্তারকে (১৪) আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত হেনা আক্তার উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের কৈলাটি গ্রামের স্বাধীন মিয়ার স্ত্রী ও নিহত জনি আক্তার ওই গ্রামের এখলাছ মিয়ার কন্যা।,
পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সোমবার বিকেলে তার কার্যালয়ে এক প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে স্থানীয় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।,
তিনি জানান, গত শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে কৈলাটি গ্রামের মো. এখলাস মিয়ার স্ত্রী নাছিমা খাতুন তাদের ৩মাসের শিশু কন্যা জনি আক্তারকে তার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি শ্বশুড়ের কাছে রেখে কিছু সময়ের জন্য গৃহস্থালীর কাজ করতে যান। ফিরে এসে দেখেন শশুরের কোলে শিশু নেই। জিজ্ঞেস করলে তার শশুর জানান, কেউ একজন তার কাছ থেকে শিশুটিকে নিয়ে গেছে।,
পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির পাশে একটি পুকুরে শিশুটিকে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।,
ওসি আরও জানান, স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এমন রহস্যজনক তথ্য জানতে পেরে তিনি ঘটনার অনুসন্ধানে নামলে বেরিয়ে আসে হত্যা রহস্য। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে আটক হয় শিশুটির ঘাতক চাচি হেনা আক্তার।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত হেনা আক্তার হত্যার দায় স্বীকার করে জানান, তিনি তার শ্বশুরের কোল থেকে শিশুটিকে কোলে নিয়ে তার ঘরে যাচ্ছিলেন। এ সময় ঘরের দরজার চৌকাটে হোচট খেলে শিশুটি তার কোল থেকে পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে শিশুটি মারা গেছে ভেবে তিনি শিশুটিকে পাশের পুকুরে ফেলে দেন। এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।’