নেত্রকোনা ১০:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আশার আলো দেখছে নন্দীগ্রামের সবজি চাষিরা

  • আপডেট : ০১:০৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৫২

বগুড়া: দেরিতে হলেও ভারী বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে জেলার নন্দী গ্রামের কৃষকদের মাঝে। ভরা বর্ষায় বৃষ্টি না হওয়ায় জমিতে সেচ দিয়ে আমন ধানের চাষাবাদ শুরু করে কৃষকরা। বৃষ্টির পানি পেয়ে সতেজ হয়ে উঠেছে আমন ধানের ক্ষেত। অপরদিকে শরতের এই ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে পরেছিল উপজেলার শাকসবজি চাষিরা। বৃষ্টির কারণে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, বেগুন, টমেটো ও কাঁচা মরিচের গাছ নষ্ট হয়ে যাবার উপক্রম হয়।,

পরে আবহাওয়া অনুকূলে আসায় তা সতেজ হয়ে উঠেছে। তাই আশার আলো দেখছে সবজি চাষিরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে এ উপজেলায় ১৯ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ হয়েছে। আর এ বছর ২০০ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন শাকসবজির চাষাবাদ হয়। উপজেলার দলগাছ গ্রামের কৃষক মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির দেখা না পাওয়ায় আমরা জমিতে পানি সেচ দিয়ে আমন ধানের চাষাবাদ করেছি।,

এতে আমন ধান চাষে ব্যয় বেড়েছে। তবে গত কয়েকদিন টানা বৃষ্টি হওয়ায় এখন আমন ধানের ক্ষেত দেখে আমাদের মন ভরে উঠেছে।’ উপজেলার বাদলাশন গ্রামের কৃষক জুয়েল রানা বলেন, ‘বাড়তি লাভের আশায় প্রতি বছর আগাম জাতের শাকসবজি চাষ করে থাকি। এবারও আড়াই বিঘা জমিতে ফুলকপি ও চার বিঘা জমিতে কাঁচা মরিচের চাষ করেছি।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে আমন ধান অনেক ভালো হবে।,

কৃষি অফিস হতে শাকসবজি চাষিদের জমি থেকে বৃষ্টির পানি দ্রুত বের করে দেওয়ার পরামর্শ প্রদান করা হয়। যে কারণে শাকসবজির ক্ষেত সতেজ হয়ে উঠেছে।’

 

The post appeared first on Sarabangla http://dlvr.it/SZ3X74

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

আশার আলো দেখছে নন্দীগ্রামের সবজি চাষিরা

আপডেট : ০১:০৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

বগুড়া: দেরিতে হলেও ভারী বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে জেলার নন্দী গ্রামের কৃষকদের মাঝে। ভরা বর্ষায় বৃষ্টি না হওয়ায় জমিতে সেচ দিয়ে আমন ধানের চাষাবাদ শুরু করে কৃষকরা। বৃষ্টির পানি পেয়ে সতেজ হয়ে উঠেছে আমন ধানের ক্ষেত। অপরদিকে শরতের এই ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে পরেছিল উপজেলার শাকসবজি চাষিরা। বৃষ্টির কারণে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, বেগুন, টমেটো ও কাঁচা মরিচের গাছ নষ্ট হয়ে যাবার উপক্রম হয়।,

পরে আবহাওয়া অনুকূলে আসায় তা সতেজ হয়ে উঠেছে। তাই আশার আলো দেখছে সবজি চাষিরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে এ উপজেলায় ১৯ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ হয়েছে। আর এ বছর ২০০ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন শাকসবজির চাষাবাদ হয়। উপজেলার দলগাছ গ্রামের কৃষক মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির দেখা না পাওয়ায় আমরা জমিতে পানি সেচ দিয়ে আমন ধানের চাষাবাদ করেছি।,

এতে আমন ধান চাষে ব্যয় বেড়েছে। তবে গত কয়েকদিন টানা বৃষ্টি হওয়ায় এখন আমন ধানের ক্ষেত দেখে আমাদের মন ভরে উঠেছে।’ উপজেলার বাদলাশন গ্রামের কৃষক জুয়েল রানা বলেন, ‘বাড়তি লাভের আশায় প্রতি বছর আগাম জাতের শাকসবজি চাষ করে থাকি। এবারও আড়াই বিঘা জমিতে ফুলকপি ও চার বিঘা জমিতে কাঁচা মরিচের চাষ করেছি।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে আমন ধান অনেক ভালো হবে।,

কৃষি অফিস হতে শাকসবজি চাষিদের জমি থেকে বৃষ্টির পানি দ্রুত বের করে দেওয়ার পরামর্শ প্রদান করা হয়। যে কারণে শাকসবজির ক্ষেত সতেজ হয়ে উঠেছে।’

 

The post appeared first on Sarabangla http://dlvr.it/SZ3X74