নেত্রকোনা ০২:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মদন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এক মাত্র এম্বুলেন্সটি বিকল, রোগীদের দুর্ভোগ চরমে

  • আপডেট : ০৩:৫৩:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ৩৪৩

মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ

সরকার যখন স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে বদ্দ পরিকর ঠিক সে সময় নেত্রকোনার মদন উপজেলার ৫০ শয্যা হাসপাতালের একমাত্র এম্বুলেন্সটি বিকল হওয়ায় ভর্তি থাকা ও জরুরী রোগী পরিবহনে রোগী সাধারণ হয়রানির স্বীকার হচ্ছে।

বাধ্য হয়ে ভুৃক্তভোগীরা প্রায় সময়েই বাহির থেকে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার বাড়তি টাকা ভাড়া দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও নেত্রকোনার আধুনিক সদর হাপাতালে যেতে হয়। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের আইনশৃঙ্খলা উন্নয়ন কমিটির মাসিক সভায় বার বার উত্তাপন করা হলেও শুধু প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয় কিন্তু বাস্তবে কোনো কাজ হচ্ছে না।

গত ৮মার্চ ২০০৩ সালে এম্বুলেন্সটি মদন হাসপাতালে বরাদ্দ দেয়া হয়। এর পর আর কোনো নতুন এম্বুলেন্স বরাদ্দ না দেয়ায় যান্ত্রিক ত্রæটির কারণে প্রায় সময়েই রাস্তায় বিকল হয়ে রোগী ও তার লোকজন দূর্ভোগে ভুগছে। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর একাধিকবার প্রতিবেদন প্রেরণ করেছেন বলে জানাযায়। কিন্তু অদ্যাবদি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় হাওর এলাকার তিন উপজোলার জরুরী রোগী পরিবহনে জনসাধারণ দারুন দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে মদন হাপাতালের এম্বুলেন্স চালক আবুল হোসাইন মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, এম্বুলেন্সটি নিয়ে গত ৪/৫ বছর যাবত খুইব দূর্ভোগে আছি। জরুরী রোগী নিয়ে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা হাসপাতালে রওনা হলে এম্বুলেন্সটি প্রায়েই রাস্তায় বিকল হয়ে পড়ে। এ সময় রোগীর লোকজনসহ আমি খুবই বেকায়দায় পড়ি। এখানে একটি নতুন এম্বুলেন্স সরবরাহ করার জন্য টিএইচও স্যারের মাধ্যেমে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর একাধিক প্রতিবেদন প্রেরণ করেছি।

মদনের স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ফখরুল হাসান চৌধুরী টিপু জানান, ২০০৩ সালে সরবারহ করা এ এম্বুলেন্সটি পুরাতন হওয়ায় নানা যান্ত্রিক ত্রæটি দেখা দিয়েছে। প্রায় সময়েই রাস্তায় এটি বিকল হয়ে পড়ে থাকে। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের বরাবর একাধিকবার প্রতিবেদন প্রেরণ করেও কোনো সুফল না পাওয়ায় রোগী পরিবহনে দুর্ভোগে রয়েছে লোকজন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।

পূর্বধলায় নিজ মেয়েকে হত্যা করে শেষ রক্ষা হলো না মায়ের

মদন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এক মাত্র এম্বুলেন্সটি বিকল, রোগীদের দুর্ভোগ চরমে

আপডেট : ০৩:৫৩:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ

সরকার যখন স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে বদ্দ পরিকর ঠিক সে সময় নেত্রকোনার মদন উপজেলার ৫০ শয্যা হাসপাতালের একমাত্র এম্বুলেন্সটি বিকল হওয়ায় ভর্তি থাকা ও জরুরী রোগী পরিবহনে রোগী সাধারণ হয়রানির স্বীকার হচ্ছে।

বাধ্য হয়ে ভুৃক্তভোগীরা প্রায় সময়েই বাহির থেকে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার বাড়তি টাকা ভাড়া দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও নেত্রকোনার আধুনিক সদর হাপাতালে যেতে হয়। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের আইনশৃঙ্খলা উন্নয়ন কমিটির মাসিক সভায় বার বার উত্তাপন করা হলেও শুধু প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয় কিন্তু বাস্তবে কোনো কাজ হচ্ছে না।

গত ৮মার্চ ২০০৩ সালে এম্বুলেন্সটি মদন হাসপাতালে বরাদ্দ দেয়া হয়। এর পর আর কোনো নতুন এম্বুলেন্স বরাদ্দ না দেয়ায় যান্ত্রিক ত্রæটির কারণে প্রায় সময়েই রাস্তায় বিকল হয়ে রোগী ও তার লোকজন দূর্ভোগে ভুগছে। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর একাধিকবার প্রতিবেদন প্রেরণ করেছেন বলে জানাযায়। কিন্তু অদ্যাবদি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় হাওর এলাকার তিন উপজোলার জরুরী রোগী পরিবহনে জনসাধারণ দারুন দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে মদন হাপাতালের এম্বুলেন্স চালক আবুল হোসাইন মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, এম্বুলেন্সটি নিয়ে গত ৪/৫ বছর যাবত খুইব দূর্ভোগে আছি। জরুরী রোগী নিয়ে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা হাসপাতালে রওনা হলে এম্বুলেন্সটি প্রায়েই রাস্তায় বিকল হয়ে পড়ে। এ সময় রোগীর লোকজনসহ আমি খুবই বেকায়দায় পড়ি। এখানে একটি নতুন এম্বুলেন্স সরবরাহ করার জন্য টিএইচও স্যারের মাধ্যেমে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর একাধিক প্রতিবেদন প্রেরণ করেছি।

মদনের স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ফখরুল হাসান চৌধুরী টিপু জানান, ২০০৩ সালে সরবারহ করা এ এম্বুলেন্সটি পুরাতন হওয়ায় নানা যান্ত্রিক ত্রæটি দেখা দিয়েছে। প্রায় সময়েই রাস্তায় এটি বিকল হয়ে পড়ে থাকে। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের বরাবর একাধিকবার প্রতিবেদন প্রেরণ করেও কোনো সুফল না পাওয়ায় রোগী পরিবহনে দুর্ভোগে রয়েছে লোকজন।