নেত্রকোনা ১১:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীবরদীতে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার লাঞ্চিত

  • আপডেট : ০৮:৪৬:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ২৩৪

মো. আব্দুল বাতেন,শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি:

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আসাদুল­াহ কে লাঞ্চিত করেছে বহিরাগত দুই যুবক।  ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেলে পৌর শহরের থানার পার্শ্বে হাইস্কুলের পিছনের সড়কে।

এ ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। লাঞ্চনার শিকার উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আসাদুল­াহ সোমবার সন্ধ্যায় জানায়, আজ দুপুরে হাসপাতালে রোগী দেখার সময় মোবাইল ফোনে তাকে সাতানী শ্রীবরদীর শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা লেডিস টেইলার্সের মালিক লুৎফর রহমানের ছেলে হাসান নামের এক যুবক তার অসুস্থ্য দাদীকে দেখতে তার বাসায় যেতে বলে।

কিন্তু সরকারী ডিউটি থাকায় এবং হাসপাতালে প্রচন্ড রোগীর ভিড় থাকায় আমি যেতে অপরাগতা প্রকাশ করি এবং রোগী হাসপাতালের কাছাকাছি থাকায় রোগীকে হাসপাতালে আনতে বলি। ডিউটি শেষে দুপুরে শেরপুরে যাওয়ার পথে হাইস্কুলের সামনে আমার মোটর সাইকেলের গতি রোধ করে হাসান ও শাহিন নামের দুই যুবক।

পরে আমাকে গাড়ী থেকে নামিয়ে হাইস্কুলের পিছনের সড়কে নিয়ে গিয়ে এলোপাথারীভাবে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে লাঞ্চিত করে। ঘটনাটি আমি আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করব।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি ছুটিতে রয়েছি। বিষয়টি আমাকে মোবাইল ফোনে জানিয়েছে। আসাদকে নাকি দুই বহিরাগত যুবক লাঞ্চিত করেছে।

শ্রীবরদী থানার ওসি’র দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত বন্দে আলী মিয়া বলেন, মৌখিক খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল।

এ বিষয়ে কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শ্রীবরদী থানার ওসি রুহুল আমিন তালুকদার বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। পুলিশও পাঠিয়েছি। তাদের কাছে অভিযোগ চাওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।

পূর্বধলায় উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী

শ্রীবরদীতে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার লাঞ্চিত

আপডেট : ০৮:৪৬:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

মো. আব্দুল বাতেন,শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি:

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আসাদুল­াহ কে লাঞ্চিত করেছে বহিরাগত দুই যুবক।  ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেলে পৌর শহরের থানার পার্শ্বে হাইস্কুলের পিছনের সড়কে।

এ ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। লাঞ্চনার শিকার উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আসাদুল­াহ সোমবার সন্ধ্যায় জানায়, আজ দুপুরে হাসপাতালে রোগী দেখার সময় মোবাইল ফোনে তাকে সাতানী শ্রীবরদীর শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা লেডিস টেইলার্সের মালিক লুৎফর রহমানের ছেলে হাসান নামের এক যুবক তার অসুস্থ্য দাদীকে দেখতে তার বাসায় যেতে বলে।

কিন্তু সরকারী ডিউটি থাকায় এবং হাসপাতালে প্রচন্ড রোগীর ভিড় থাকায় আমি যেতে অপরাগতা প্রকাশ করি এবং রোগী হাসপাতালের কাছাকাছি থাকায় রোগীকে হাসপাতালে আনতে বলি। ডিউটি শেষে দুপুরে শেরপুরে যাওয়ার পথে হাইস্কুলের সামনে আমার মোটর সাইকেলের গতি রোধ করে হাসান ও শাহিন নামের দুই যুবক।

পরে আমাকে গাড়ী থেকে নামিয়ে হাইস্কুলের পিছনের সড়কে নিয়ে গিয়ে এলোপাথারীভাবে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে লাঞ্চিত করে। ঘটনাটি আমি আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করব।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি ছুটিতে রয়েছি। বিষয়টি আমাকে মোবাইল ফোনে জানিয়েছে। আসাদকে নাকি দুই বহিরাগত যুবক লাঞ্চিত করেছে।

শ্রীবরদী থানার ওসি’র দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত বন্দে আলী মিয়া বলেন, মৌখিক খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল।

এ বিষয়ে কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শ্রীবরদী থানার ওসি রুহুল আমিন তালুকদার বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। পুলিশও পাঠিয়েছি। তাদের কাছে অভিযোগ চাওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।