নেত্রকোনা ১০:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ায় মাদক মামলায় ২জনের ফাঁসি

  • আপডেট : ০৩:৩৩:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ২১১

নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া :

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানায় দায়ের করা একটি মাদক মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামিকে ফাঁসি এবং ৮জনকে বেকসুর খালাস আদেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী আদালতে আসামীদের উপস্থিতিতে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) ধারার টেবিলের ১(খ) ক্রমিকে দোষী সাব্যস্ত করে এই রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের খেজমত মন্ডলের ছেলে মোঃ রুবেল (২১) ও একই গ্রামের মৃত মসলেম মন্ডলের ছেলে ভাংগন মন্ডল (২২)।

আদালত সূত্রে জানা যায়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী পদ্মানদী তীরবর্তী মোহাম্মদপুর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানে ঐ গ্রামের মোঃ রুবেল ও ভাংগন মন্ডলের কাছে থাকা ১০০ গ্রামের প্যাকেট করা ৮টি প্যাকেটে ৮০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে আভিযানিক দল। এই ঘটনায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়, কুষ্টিয়ার পরিদর্শক তারেক মাসুদ বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় ৪০ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা নং- ৪৫, তারিখ-১৯/১০/২০১৭ইং। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ২৭ জানুয়ারী, ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) ধারার টেবিলের ১(খ) অভিযোগ এনে ১০জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন পুলিশ।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ও কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী এই রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দীর্ঘ স্বাক্ষ্য শুনানি শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় ২জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড ও অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় ৮জনকে বেকসুর খালাশ দেন।

মৃত্যু দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদ্বয় এ রায়ের বিরুদ্ধে আগামী ৭দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপীল করতে পারবেন বলে জানালেন সরকারী কৌশুলী। মামলাটির আসামী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন এ্যাড. মীর আশরাফুল ইসলাম ও এ্যাড. তরুন সরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

কুষ্টিয়ায় মাদক মামলায় ২জনের ফাঁসি

আপডেট : ০৩:৩৩:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া :

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানায় দায়ের করা একটি মাদক মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামিকে ফাঁসি এবং ৮জনকে বেকসুর খালাস আদেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী আদালতে আসামীদের উপস্থিতিতে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) ধারার টেবিলের ১(খ) ক্রমিকে দোষী সাব্যস্ত করে এই রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের খেজমত মন্ডলের ছেলে মোঃ রুবেল (২১) ও একই গ্রামের মৃত মসলেম মন্ডলের ছেলে ভাংগন মন্ডল (২২)।

আদালত সূত্রে জানা যায়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী পদ্মানদী তীরবর্তী মোহাম্মদপুর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানে ঐ গ্রামের মোঃ রুবেল ও ভাংগন মন্ডলের কাছে থাকা ১০০ গ্রামের প্যাকেট করা ৮টি প্যাকেটে ৮০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে আভিযানিক দল। এই ঘটনায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়, কুষ্টিয়ার পরিদর্শক তারেক মাসুদ বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় ৪০ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা নং- ৪৫, তারিখ-১৯/১০/২০১৭ইং। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ২৭ জানুয়ারী, ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) ধারার টেবিলের ১(খ) অভিযোগ এনে ১০জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন পুলিশ।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ও কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী এই রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দীর্ঘ স্বাক্ষ্য শুনানি শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় ২জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড ও অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় ৮জনকে বেকসুর খালাশ দেন।

মৃত্যু দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদ্বয় এ রায়ের বিরুদ্ধে আগামী ৭দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপীল করতে পারবেন বলে জানালেন সরকারী কৌশুলী। মামলাটির আসামী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন এ্যাড. মীর আশরাফুল ইসলাম ও এ্যাড. তরুন সরকার।