জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে মৃত বঙ্গবন্ধু অনেক বেশী শক্তিশালী। তার আদর্শে হাজারো যুবক জীবন গঠন করেছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ষড়যন্ত্রকারীরা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলেও তারা দেশের কোন উন্নয়ণ না করে জনগণের সম্পদ লুটপাট করেছে। সীমা লঙ্গনকারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না। খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে খেয়েছে বলেই আজকে জেলে রয়েছে । গতকাল শনিবার বিকালে গাজীপুরের কালীগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি স্বাধীনতা পদক-২০১৯ এ ভূষিত হওয়ায় ও মেহের আফরোজ চুমকি এমপি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় উপজেলা আওয়ামীলীগ কর্তৃক গণ সংর্বধনা প্রদান এবং মুক্তিযুদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি।
তিনি আরো বলেন, ড. কামাল হোসেনের মুখোশ দেশবাসীর সামনে উন্মোচিত হয়েছে। তাঁদের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে দেশ অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছিল। বিএনপির অপচেষ্টা কখনো সফল হবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।
কালীগঞ্জ আর আর এন পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত গণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মতিন সরকার ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবু বকর চৌধুরী। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এস.এম নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. মেহেদী হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর আলী, দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দেলু, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সাহাবুদ্দিন আহমেদ, উপজেলা চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ, ভাইস চেয়ারম্যান এড. মাকসুদুল আলম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিবলী সাদিক, অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক মিজান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি পরিমল চন্দ্র ঘোষ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গণি ভুইয়া, কেন্দ্রীয় তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আমজাদ হোসেন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম রবিন হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলামসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্ভোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি ও মেহের আফরোজ চুমকি এমপি। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। প্রায় আড়াই বছর পর নির্মাণ কাজ শেষে শনিবার দুপুরে কমপ্লেক্সের উদ্ভোধন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করে।