নেত্রকোনা ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলে মা’দের পা ধুয়ে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালন

টাঙ্গাইলে পতিবছরের মতো এবছরও ভিন্ন আঙ্গিকে পালিত হয়েছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। দিনটিকে স্বরণীয় করে রাখতে মায়েদের পা ধুয়ে ভালোবাসা প্রদান করে পালন করছে হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারী স্কুল নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ভালবাসা দিবস শুধু তরুন তরুনীর যুগল প্রেম নয়। এর বাইরেও কিছু হতে পারে তা দেখিয়ে দিলো টাঙ্গাইলের হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারী স্কুলের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। এ দিনটি মাকে উৎসর্গ করলো তারা। পা ধুয়ে মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাল প্রায় দেড় শতাধিক শিশু,এসময় মাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। টাঙ্গাইল শহরের এসপি পার্কে ১৪ ফেব্রæয়ারি মায়ের প্রতি ভালবাসা ও শ্রদ্ধা জানানোর ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সন্তানের কাছে এমন শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা পেয়ে আবেগে আপ্লæত মায়েরা আর শিশুরা হয়েছে আনন্দিত।

লামিয়া আক্তার নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি মা ও বাবাকে খুব ভালবাসি। মাকে সব সময় পাশে পাই। আজ আমি মায়ের পা ধুয়ে দিয়েছি। আমার খুব ভাল লাগছে।

অংশগ্রহণকারী মোছা. হামিদা আক্তার, রুমা আক্তারসহ একাধিক অভিবাবকরা বলেন, এরকম অনুষ্ঠান একটি সন্তানের মানসিক পরিবর্তন ও গঠনে সঠিক ভুমিকা রাখবে এবং বড় হয়ে তারা জানবে ভালোবাসা দিবস শুধু বন্ধু বান্ধব, প্রেমিক-প্রেমিকার জন্যই নয়। এই দিনে বাবা মাকে সময় দিতে হবে। তাদের প্রতি ভালোবাসা নিবেদন করতে হবে। আর এই অনুষ্ঠান থেকে নতুন প্রজন্মের শিশুরা তাদের পিতা-মাতার প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য ও শ্রদ্ধা করতে শিখবে।

হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারী স্কুলের উপদেষ্টা ও টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ বলেন, এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সন্তানের প্রতি পিতা মাতা এবং পিতা মাতার প্রতি সন্তানের ভালবাসা বৃদ্ধি পাবে। বৃদ্ধ বয়সে পিতা মাতাকে কেউ দূরে রাখবে না। সকলেই কাছে রাখবে ও পিতা মাতাকে খুব সম্মান করবে।

উদ্যোক্তা হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারী স্কুলের চেয়ারম্যান নওশাদ রানা সানভী বলেন, বর্তমান সময়ে দেখা যায় সন্তানদের অবহেলায় বৃদ্ধ বাবা-মা কে বৃদ্ধাশ্রমে যেতে হয়। যা খুবই বেদনার। আমরা মনে করি ভালোবাসা দিবসে ভালোবাসা পাওয়ার প্রথম ভাগিদার বাবা-মা। যদিও তাদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের কোন বিশেষ দিনের প্রয়োজন হয় না। তারপরও বিশেষ এই দিনে শিশুদের মনে বাবা-মায়ের প্রতি অটুট ভালোবাসা এনে দিতেই ১৪ ফেব্রæয়ারি ৪র্থ বারের মতো থাকছে মা দের নিয়ে ভিন্ন আঙ্গিকে আমাদের আয়োজন। শিশুকে যদি বলেন ভালোবাসি, শিশু বলবে ভালোবাসি কারণ শিশু অনুকরন অনুসরন করতে পছন্দ করে। মুলত নৈতিক শিক্ষায় শিশুদের গড়ে তুলতেই আমাদের এই আয়োজন।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল সদর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. মোশারফ হোসেন, সাংবাদিক একরামুল হক তুহিন, কাদির তালুকদার প্রমুখ।  অনুষ্ঠানে শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অংশ নেয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

টাঙ্গাইলে মা’দের পা ধুয়ে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালন

আপডেট : ০৯:৪৭:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০

টাঙ্গাইলে পতিবছরের মতো এবছরও ভিন্ন আঙ্গিকে পালিত হয়েছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। দিনটিকে স্বরণীয় করে রাখতে মায়েদের পা ধুয়ে ভালোবাসা প্রদান করে পালন করছে হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারী স্কুল নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ভালবাসা দিবস শুধু তরুন তরুনীর যুগল প্রেম নয়। এর বাইরেও কিছু হতে পারে তা দেখিয়ে দিলো টাঙ্গাইলের হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারী স্কুলের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। এ দিনটি মাকে উৎসর্গ করলো তারা। পা ধুয়ে মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাল প্রায় দেড় শতাধিক শিশু,এসময় মাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। টাঙ্গাইল শহরের এসপি পার্কে ১৪ ফেব্রæয়ারি মায়ের প্রতি ভালবাসা ও শ্রদ্ধা জানানোর ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সন্তানের কাছে এমন শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা পেয়ে আবেগে আপ্লæত মায়েরা আর শিশুরা হয়েছে আনন্দিত।

লামিয়া আক্তার নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি মা ও বাবাকে খুব ভালবাসি। মাকে সব সময় পাশে পাই। আজ আমি মায়ের পা ধুয়ে দিয়েছি। আমার খুব ভাল লাগছে।

অংশগ্রহণকারী মোছা. হামিদা আক্তার, রুমা আক্তারসহ একাধিক অভিবাবকরা বলেন, এরকম অনুষ্ঠান একটি সন্তানের মানসিক পরিবর্তন ও গঠনে সঠিক ভুমিকা রাখবে এবং বড় হয়ে তারা জানবে ভালোবাসা দিবস শুধু বন্ধু বান্ধব, প্রেমিক-প্রেমিকার জন্যই নয়। এই দিনে বাবা মাকে সময় দিতে হবে। তাদের প্রতি ভালোবাসা নিবেদন করতে হবে। আর এই অনুষ্ঠান থেকে নতুন প্রজন্মের শিশুরা তাদের পিতা-মাতার প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য ও শ্রদ্ধা করতে শিখবে।

হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারী স্কুলের উপদেষ্টা ও টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ বলেন, এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সন্তানের প্রতি পিতা মাতা এবং পিতা মাতার প্রতি সন্তানের ভালবাসা বৃদ্ধি পাবে। বৃদ্ধ বয়সে পিতা মাতাকে কেউ দূরে রাখবে না। সকলেই কাছে রাখবে ও পিতা মাতাকে খুব সম্মান করবে।

উদ্যোক্তা হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারী স্কুলের চেয়ারম্যান নওশাদ রানা সানভী বলেন, বর্তমান সময়ে দেখা যায় সন্তানদের অবহেলায় বৃদ্ধ বাবা-মা কে বৃদ্ধাশ্রমে যেতে হয়। যা খুবই বেদনার। আমরা মনে করি ভালোবাসা দিবসে ভালোবাসা পাওয়ার প্রথম ভাগিদার বাবা-মা। যদিও তাদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের কোন বিশেষ দিনের প্রয়োজন হয় না। তারপরও বিশেষ এই দিনে শিশুদের মনে বাবা-মায়ের প্রতি অটুট ভালোবাসা এনে দিতেই ১৪ ফেব্রæয়ারি ৪র্থ বারের মতো থাকছে মা দের নিয়ে ভিন্ন আঙ্গিকে আমাদের আয়োজন। শিশুকে যদি বলেন ভালোবাসি, শিশু বলবে ভালোবাসি কারণ শিশু অনুকরন অনুসরন করতে পছন্দ করে। মুলত নৈতিক শিক্ষায় শিশুদের গড়ে তুলতেই আমাদের এই আয়োজন।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল সদর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. মোশারফ হোসেন, সাংবাদিক একরামুল হক তুহিন, কাদির তালুকদার প্রমুখ।  অনুষ্ঠানে শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অংশ নেয়।