নেত্রকোনা ০৩:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলে তিন স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত দু’জনের স্বীকারোক্তি

টাঙ্গাইলে ঘাটাইলে বনের ভেতর বেড়াতে যাওয়া এক বান্ধবী ও দুই বন্ধুকে গাছের সাথে বেধে নবম শ্রেণির তিন শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনের মধ্যে দু’জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার(২৮ জানুয়ারি) বিকালে দু’জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তারা পৃথকভাবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এছাড়া একই দিন দুপুরে ধর্ষিতা তিন স্কুলছাত্রী ও তাদের অপর এক বান্ধবী টাঙ্গাইলের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওরীন মাহবুব ও ফারজানা হাসনাতের কাছে পৃথকভাবে নিজেদের জবানবন্দি প্রদান করেন। টাঙ্গাইলের সরকারি কৌশুলী(পিপি) এস আকবর খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়নের সাতকুড়া এলাকায় সোমবার(২৬ জানুয়ারি) রাতভর অভিযান চালিয়ে পুলিশ তিন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার সকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, ঘাটাইল উপজেলার দিগর ইউনিয়নের মানাঝি টানপাড়া গ্রামের আনছার আলী খানের ছেলে ইউসুফ আলী খান(২৭), সন্ধানপুর ইউনিয়নের সন্ধানপুর গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে বাবুল হোসেন(২১) ও একই গ্রামের জব্বার আরীর ছেলে সবুজ ওরফে বাবু(৩০)।

পিপি এস আকবর খান আরো জানান, টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলামের কাছে ধর্ষক বাবুল হোসেন এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন কুমার কর্মকারের কাছে ধর্ষক ইউসুফ আলী খান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

প্রকাশ, রোববার(২৬ জানুয়ারি) ঘাটাইল এসি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দোয়া ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান ছিল। সকালে ওই চার ছাত্রী স্কুলের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। বের হয়ে তারা চার বান্ধবী পাহাড়ি এলাকায় ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দুপুর দেড়টার দিকে তারা ঝড়কা বন এলাকায় পেঁছলে তাদের সাথে বন্ধু হৃদয় ও শাহীন যোগ দেয়। পরে তারা অটোরিক্সাযোগে সাতকুয়া এলাকায় গেলে ৫-৭জন ব্যক্তি তাদের ঘিরে ফেলে।

এ সময় তাদের বন্ধু হৃদয় ও শাহীনকে মারধর করে এবং তিনজনকে বনের অন্যত্র নিয়ে ধর্ষণ করে। অপর একজনকে ভাগ্নির মতো দেখা যায় বলে তাকে ধর্ষণ করা থেকে বিরত থাকে। দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আটকে রেখে ওই তিনছাত্রীকে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে ওই চার ছাত্রী তাদের একজনের নানীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে মোবাইল ফোনে অভিভাবকদের বিষয়টি জানালে তারা পুলিশকে অবহিত করে। পরে পুলিশ সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে।
সোমবার(২৭ জানুয়ারি) ধর্ষিত তিনজনের মধ্যে এক ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ৫-৭ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঘাটাইল থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

টাঙ্গাইলে তিন স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত দু’জনের স্বীকারোক্তি

আপডেট : ০৮:১৫:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২০

টাঙ্গাইলে ঘাটাইলে বনের ভেতর বেড়াতে যাওয়া এক বান্ধবী ও দুই বন্ধুকে গাছের সাথে বেধে নবম শ্রেণির তিন শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনের মধ্যে দু’জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার(২৮ জানুয়ারি) বিকালে দু’জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তারা পৃথকভাবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এছাড়া একই দিন দুপুরে ধর্ষিতা তিন স্কুলছাত্রী ও তাদের অপর এক বান্ধবী টাঙ্গাইলের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওরীন মাহবুব ও ফারজানা হাসনাতের কাছে পৃথকভাবে নিজেদের জবানবন্দি প্রদান করেন। টাঙ্গাইলের সরকারি কৌশুলী(পিপি) এস আকবর খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়নের সাতকুড়া এলাকায় সোমবার(২৬ জানুয়ারি) রাতভর অভিযান চালিয়ে পুলিশ তিন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার সকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, ঘাটাইল উপজেলার দিগর ইউনিয়নের মানাঝি টানপাড়া গ্রামের আনছার আলী খানের ছেলে ইউসুফ আলী খান(২৭), সন্ধানপুর ইউনিয়নের সন্ধানপুর গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে বাবুল হোসেন(২১) ও একই গ্রামের জব্বার আরীর ছেলে সবুজ ওরফে বাবু(৩০)।

পিপি এস আকবর খান আরো জানান, টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলামের কাছে ধর্ষক বাবুল হোসেন এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন কুমার কর্মকারের কাছে ধর্ষক ইউসুফ আলী খান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

প্রকাশ, রোববার(২৬ জানুয়ারি) ঘাটাইল এসি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দোয়া ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান ছিল। সকালে ওই চার ছাত্রী স্কুলের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। বের হয়ে তারা চার বান্ধবী পাহাড়ি এলাকায় ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দুপুর দেড়টার দিকে তারা ঝড়কা বন এলাকায় পেঁছলে তাদের সাথে বন্ধু হৃদয় ও শাহীন যোগ দেয়। পরে তারা অটোরিক্সাযোগে সাতকুয়া এলাকায় গেলে ৫-৭জন ব্যক্তি তাদের ঘিরে ফেলে।

এ সময় তাদের বন্ধু হৃদয় ও শাহীনকে মারধর করে এবং তিনজনকে বনের অন্যত্র নিয়ে ধর্ষণ করে। অপর একজনকে ভাগ্নির মতো দেখা যায় বলে তাকে ধর্ষণ করা থেকে বিরত থাকে। দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আটকে রেখে ওই তিনছাত্রীকে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে ওই চার ছাত্রী তাদের একজনের নানীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে মোবাইল ফোনে অভিভাবকদের বিষয়টি জানালে তারা পুলিশকে অবহিত করে। পরে পুলিশ সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে।
সোমবার(২৭ জানুয়ারি) ধর্ষিত তিনজনের মধ্যে এক ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ৫-৭ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঘাটাইল থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।