নেত্রকোনা ০২:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৫ বছরেও এমপিও ভুক্ত হয়নি রাজস্থলীর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়

  • আপডেট : ০৯:৪২:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৯
  • ২১২

রাজস্থলী প্রতিনিধি:

দীর্ঘ ২৫ বছরেও এমপিও ভুক্ত থেকে বঞ্চিত রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলার ঘিলাছড়ি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। সম্প্রতি সরকার যে এমপিও নিবন্ধন দিয়েছে তাতেও এ বিদ্যালয়ের নাম না থাকায় চরম হতাশ শিক্ষক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। জানা যায়,১৯৯৫ সালে বাবু সুদত্ত বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা ও এলাকার বিত্তবানদের সহযোগিতায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন।

অনেক স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা করে বিদ্যালয়টি। ১/১/০৮ইং তারিখ হইতে নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ে একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করলেও আদৌ এমপিও হয়নি।ফলে মানবেতর জীবন যাপনের পথ দীর্ঘ হয় বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের। তবুও দীর্ঘ প্রতিক্ষার পরও বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ২৫ বছর পর গত ১৮ অক্টোবর ২০১৯ রোজ বুধবার প্রকাশিত এমপিও ভুক্তির নিবন্ধনের তালিকা এ প্রতিষ্ঠানের নাম না থাকায় সংশ্লিষ্ট সকলে হতাশ। ৬ষ্ঠ শ্রেণী হতে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত সর্বমোট ২৫০জন ছাত্র ছাত্রী রয়েছে।এতে বিদ্যালয়ের ফলাফলও ভাল। ৪ জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারী দিয়ে চলছে বিদ্যালয়টি।

অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্র বলেন, স্যারদের মনে আনন্দ দেখলে ভাল লাগে।কিন্তু দুঃখের বিষয় বিনা বেতনে স্যারেরা শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজল কুমার তঞ্চঙ্গা জানান,এমপিও ভুক্তের আশায় শুরু থেকে বিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। অনেক স্বপ্ন দেখেছি।আমরা অনেকবার বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্তির জন্য আবেদন করে যাচ্ছি। কিন্তু দুর্ভাগ্য এবারেও হয়নি। সর্বশেষ ২০১৮ সালে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন ফরম পুরন করে জমা দিয়েছি।বিদ্যালয়ের অবকাঠামো স্বয়ং সম্পূর্ণ। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জানান,কেন এমপিও ভুক্ত হল না।

তা আমাদের জানা নেই।এমপিও ভুক্ত না হওয়ায় আমরা খুবই হতাশাগ্রস্থ।যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল,তারা এমপিও ভুক্তিরআশায় ছিল।এখন কি করব তা আমরা বুঝে উঠতে পারছিনা।চাপও দিতে পারছি না। যেন সবার মাঝে হতাশা কাজ করছে।সব কিছু মিলিয়ে ঝিমিয়ে পড়ার অবস্থা।এথেকে উত্তরনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সদয় হলে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হওয়া থেকে মুক্তি পাবে।এলাকাবাসীরা জানান,বিদ্যালয়ের পাশে অবকাঠামো উন্নয়নে একটি বিল্ডিং স্থাপন করা হচ্ছে।বিদ্যালয়টি যদি এমপিও ভুক্তি করা নাহলে ভবিষ্যতে বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে,তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিদ্যালয়টিকে এমপিও ভুক্ত করার জন্য জোড়ালো দাবি জানান।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।

পূর্বধলায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনের দাফন সম্পন্ন

২৫ বছরেও এমপিও ভুক্ত হয়নি রাজস্থলীর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়

আপডেট : ০৯:৪২:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৯

রাজস্থলী প্রতিনিধি:

দীর্ঘ ২৫ বছরেও এমপিও ভুক্ত থেকে বঞ্চিত রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলার ঘিলাছড়ি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। সম্প্রতি সরকার যে এমপিও নিবন্ধন দিয়েছে তাতেও এ বিদ্যালয়ের নাম না থাকায় চরম হতাশ শিক্ষক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। জানা যায়,১৯৯৫ সালে বাবু সুদত্ত বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা ও এলাকার বিত্তবানদের সহযোগিতায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন।

অনেক স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা করে বিদ্যালয়টি। ১/১/০৮ইং তারিখ হইতে নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ে একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করলেও আদৌ এমপিও হয়নি।ফলে মানবেতর জীবন যাপনের পথ দীর্ঘ হয় বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের। তবুও দীর্ঘ প্রতিক্ষার পরও বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ২৫ বছর পর গত ১৮ অক্টোবর ২০১৯ রোজ বুধবার প্রকাশিত এমপিও ভুক্তির নিবন্ধনের তালিকা এ প্রতিষ্ঠানের নাম না থাকায় সংশ্লিষ্ট সকলে হতাশ। ৬ষ্ঠ শ্রেণী হতে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত সর্বমোট ২৫০জন ছাত্র ছাত্রী রয়েছে।এতে বিদ্যালয়ের ফলাফলও ভাল। ৪ জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারী দিয়ে চলছে বিদ্যালয়টি।

অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্র বলেন, স্যারদের মনে আনন্দ দেখলে ভাল লাগে।কিন্তু দুঃখের বিষয় বিনা বেতনে স্যারেরা শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজল কুমার তঞ্চঙ্গা জানান,এমপিও ভুক্তের আশায় শুরু থেকে বিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। অনেক স্বপ্ন দেখেছি।আমরা অনেকবার বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্তির জন্য আবেদন করে যাচ্ছি। কিন্তু দুর্ভাগ্য এবারেও হয়নি। সর্বশেষ ২০১৮ সালে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন ফরম পুরন করে জমা দিয়েছি।বিদ্যালয়ের অবকাঠামো স্বয়ং সম্পূর্ণ। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জানান,কেন এমপিও ভুক্ত হল না।

তা আমাদের জানা নেই।এমপিও ভুক্ত না হওয়ায় আমরা খুবই হতাশাগ্রস্থ।যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল,তারা এমপিও ভুক্তিরআশায় ছিল।এখন কি করব তা আমরা বুঝে উঠতে পারছিনা।চাপও দিতে পারছি না। যেন সবার মাঝে হতাশা কাজ করছে।সব কিছু মিলিয়ে ঝিমিয়ে পড়ার অবস্থা।এথেকে উত্তরনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সদয় হলে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হওয়া থেকে মুক্তি পাবে।এলাকাবাসীরা জানান,বিদ্যালয়ের পাশে অবকাঠামো উন্নয়নে একটি বিল্ডিং স্থাপন করা হচ্ছে।বিদ্যালয়টি যদি এমপিও ভুক্তি করা নাহলে ভবিষ্যতে বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে,তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিদ্যালয়টিকে এমপিও ভুক্ত করার জন্য জোড়ালো দাবি জানান।