নেত্রকোনা ০২:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বামীর হাতে বাক-প্রতিবন্ধী স্ত্রী খুন

  • আপডেট : ০৪:২৮:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৯
  • ৭৩০

সামসুল হক জুয়েল, গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের কালীগঞ্জে বাক-প্রতিবন্ধী ও তিন সন্তানের জননী স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে শ্বশুর বাড়িতে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। চট্রগ্রামের পাহাড়তলী থানার হালি শহরে এ হত্যাকান্ড ঘটে।

স্থাণীয়রা জানায়, উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চুপাইর গ্রামের সরকার বাড়ীর মৃত আব্দুল আজিজ সরকারের মেয়ে মার্জিয়া আক্তার লিপির একই গ্রামের হাসিমুদ্দিন সরকারের ছেলে মোশারফ হোসেন সরকারের সাথে প্রায় ১৫ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। লিপি স্বামীর সাথে তিন সন্তান নিয়ে চট্রগ্রামের হালিশহরে ভাড়া বাসায় থাকত।

মোশারফ হোসেন সরকার সেখানে ঠিকাদারি কাজ করত। তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। এরই জের ধরে মঙ্গলবার রাতে মোশারফ লিপিকে বাসায় পিটিয়ে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে মোশারফ মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে চুপাইর গ্রামে লিপির বাবার বাড়িতে পাঠায়। এ
ঘটনার পর থেকে লিপির স্বামী মোশারফ হোসেন সরকার পলাতক।

নিহত লিপির মা রহিমা বেগম জানান, চট্রগ্রামে লিপির প্রতিবেশীরা ফোন করে জানান মোশারফ আমার মেয়ে লিপিকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। বিয়ের এক বছর পর থেকেই যৌতুকের জন্য মোশারফ লিপিকে চাপ দিয়ে আসছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার লিপিকে মারধরও করেছে মোশারফ। তিন বছর আগে মোশারফ পিটিয়ে লিপির বাম চোখ নষ্ট করে দিয়েছে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি একেএম মিজানুল হক জানান, বাকপ্রতিবন্ধী লিপি আক্তার তার স্বামীর সঙ্গে চট্রগ্রাম পাহাড়তলী থানার হালিশহরে থাকতো। নিহতের পরিবারের দাবি, লিপির স্বামী তাকে হত্যা করে লাশ বাড়িতে পাঠিয়েছে। খবর পেয়ে বুধবার সকালে কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম নিহতের বাড়িতে গিয়ে লাশের সুরতহাল শেষে ময়না
তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যার অভিযোগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত পাহাড়তলী থানায় পাঠানো হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমার বর্তমান ঠিকানা স্টেশন রোড, পূর্বধলা, নেত্রকোনা। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমার ধর্ম ইসলাম। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।

দুর্গাপুরে আওয়ামী লীগের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

স্বামীর হাতে বাক-প্রতিবন্ধী স্ত্রী খুন

আপডেট : ০৪:২৮:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৯

সামসুল হক জুয়েল, গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের কালীগঞ্জে বাক-প্রতিবন্ধী ও তিন সন্তানের জননী স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে শ্বশুর বাড়িতে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। চট্রগ্রামের পাহাড়তলী থানার হালি শহরে এ হত্যাকান্ড ঘটে।

স্থাণীয়রা জানায়, উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চুপাইর গ্রামের সরকার বাড়ীর মৃত আব্দুল আজিজ সরকারের মেয়ে মার্জিয়া আক্তার লিপির একই গ্রামের হাসিমুদ্দিন সরকারের ছেলে মোশারফ হোসেন সরকারের সাথে প্রায় ১৫ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। লিপি স্বামীর সাথে তিন সন্তান নিয়ে চট্রগ্রামের হালিশহরে ভাড়া বাসায় থাকত।

মোশারফ হোসেন সরকার সেখানে ঠিকাদারি কাজ করত। তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। এরই জের ধরে মঙ্গলবার রাতে মোশারফ লিপিকে বাসায় পিটিয়ে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে মোশারফ মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে চুপাইর গ্রামে লিপির বাবার বাড়িতে পাঠায়। এ
ঘটনার পর থেকে লিপির স্বামী মোশারফ হোসেন সরকার পলাতক।

নিহত লিপির মা রহিমা বেগম জানান, চট্রগ্রামে লিপির প্রতিবেশীরা ফোন করে জানান মোশারফ আমার মেয়ে লিপিকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। বিয়ের এক বছর পর থেকেই যৌতুকের জন্য মোশারফ লিপিকে চাপ দিয়ে আসছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার লিপিকে মারধরও করেছে মোশারফ। তিন বছর আগে মোশারফ পিটিয়ে লিপির বাম চোখ নষ্ট করে দিয়েছে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি একেএম মিজানুল হক জানান, বাকপ্রতিবন্ধী লিপি আক্তার তার স্বামীর সঙ্গে চট্রগ্রাম পাহাড়তলী থানার হালিশহরে থাকতো। নিহতের পরিবারের দাবি, লিপির স্বামী তাকে হত্যা করে লাশ বাড়িতে পাঠিয়েছে। খবর পেয়ে বুধবার সকালে কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম নিহতের বাড়িতে গিয়ে লাশের সুরতহাল শেষে ময়না
তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যার অভিযোগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত পাহাড়তলী থানায় পাঠানো হচ্ছে।