নেত্রকোনা ১০:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্কুল ব্যাংকিংয়ের আওতায় এসেছে ২০ লাখ শিক্ষার্থী

  • আপডেট : ০৩:৫৮:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ৬১৯

স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ছে। ফলে ব্যাংকগুলোতে এই কার্যক্রমের আওতায় খোলা হিসাবের পাশাপাশি আমানতের পরিমাণও বাড়ছে। এখন পর্যন্ত স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোই এগিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্কুলের প্রায় ২০ লাখ ছেলেমেয়ের এখন ব্যাংক হিসাব রয়েছে। তাদের জমানো অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী চলতি বছরের জুন শেষে স্কুল শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৯৬ হাজার ৩০টি। গত এক বছরে হিসাব সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ১৯৪টি। অর্থাৎ এক বছরে হিসাব সংখ্যার প্রবৃদ্ধি ২৯ দশমিক ৬২ শতাংশ। এই সময়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের জমানো আমানত বেড়েছে ৭৪ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, স্কুল শিক্ষার্থীদের হিসাব সংখ্যা ও টাকা জমার স্থিতির দিক থেকে বেসরকারি ব্যাংকের অবদান সবচেয়ে বেশি। বেসরকারি ব্যাংকগুলো মোট ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ৭২৫টি ব্যাংক হিসাব খুলেছে, যা মোট স্কুল ব্যাংকিং হিসাবের ৬৯ দশমিক ৫২ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, স্কুল ব্যাংকিংয়ের মোট হিসাবের ৩৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ খোলা হয়েছে গ্রামাঞ্চলে। ৬১.৩৭ শতাংশ খোলা হয়েছে শহরাঞ্চলে। শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি হিসাব খুলেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে। এই ব্যাংকে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৬২৩ শিক্ষার্থী হিসাব খুলেছে, যা মোট হিসাবের ১৮ দশমিক ৫২ শতাংশ। অপরদিকে স্কুল শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি টাকা জমা রেখেছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে। এখানে তারা আমানত রেখেছে ৪৬৫ দশমিক ৮৮ কোটি টাকা, যা মোট আমানতের ৩১ দশমিক ১৭ শতাংশ।

ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্কুল ব্যাংকিং সেবাকে জনপ্রিয় করতে কোনো কোনো ব্যাংক আলাদা কাউন্টার বা ডেস্ক খুলেছে। জানা গেছে, স্কুল শিক্ষার্থীদের ব্যাংকিং সুবিধা ও তথ্যপ্রযুক্তিগত সেবার সঙ্গে পরিচিত করানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালের ২ নভেম্বর স্কুল ব্যাংকিং বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করে। এরপর থেকেই স্কুল পড়ুয়া কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করতে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আকর্ষণীয় মুনাফার নানা স্কিম চালু করে। ২০১০ সালে ‘স্কুল ব্যাংকিং’ কার্যক্রম শুরু হলেও শিক্ষার্থীরা টাকা জমা রাখার সুযোগ পায় ২০১১ সাল থেকে। প্রথম বছরে স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খোলা হয় ২৯ হাজার ৮০টি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমার বর্তমান ঠিকানা স্টেশন রোড, পূর্বধলা, নেত্রকোনা। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমার ধর্ম ইসলাম। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।

দুর্গাপুরে আওয়ামী লীগের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

স্কুল ব্যাংকিংয়ের আওতায় এসেছে ২০ লাখ শিক্ষার্থী

আপডেট : ০৩:৫৮:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ছে। ফলে ব্যাংকগুলোতে এই কার্যক্রমের আওতায় খোলা হিসাবের পাশাপাশি আমানতের পরিমাণও বাড়ছে। এখন পর্যন্ত স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোই এগিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্কুলের প্রায় ২০ লাখ ছেলেমেয়ের এখন ব্যাংক হিসাব রয়েছে। তাদের জমানো অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী চলতি বছরের জুন শেষে স্কুল শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৯৬ হাজার ৩০টি। গত এক বছরে হিসাব সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ১৯৪টি। অর্থাৎ এক বছরে হিসাব সংখ্যার প্রবৃদ্ধি ২৯ দশমিক ৬২ শতাংশ। এই সময়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের জমানো আমানত বেড়েছে ৭৪ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, স্কুল শিক্ষার্থীদের হিসাব সংখ্যা ও টাকা জমার স্থিতির দিক থেকে বেসরকারি ব্যাংকের অবদান সবচেয়ে বেশি। বেসরকারি ব্যাংকগুলো মোট ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ৭২৫টি ব্যাংক হিসাব খুলেছে, যা মোট স্কুল ব্যাংকিং হিসাবের ৬৯ দশমিক ৫২ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, স্কুল ব্যাংকিংয়ের মোট হিসাবের ৩৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ খোলা হয়েছে গ্রামাঞ্চলে। ৬১.৩৭ শতাংশ খোলা হয়েছে শহরাঞ্চলে। শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি হিসাব খুলেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে। এই ব্যাংকে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৬২৩ শিক্ষার্থী হিসাব খুলেছে, যা মোট হিসাবের ১৮ দশমিক ৫২ শতাংশ। অপরদিকে স্কুল শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি টাকা জমা রেখেছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে। এখানে তারা আমানত রেখেছে ৪৬৫ দশমিক ৮৮ কোটি টাকা, যা মোট আমানতের ৩১ দশমিক ১৭ শতাংশ।

ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্কুল ব্যাংকিং সেবাকে জনপ্রিয় করতে কোনো কোনো ব্যাংক আলাদা কাউন্টার বা ডেস্ক খুলেছে। জানা গেছে, স্কুল শিক্ষার্থীদের ব্যাংকিং সুবিধা ও তথ্যপ্রযুক্তিগত সেবার সঙ্গে পরিচিত করানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালের ২ নভেম্বর স্কুল ব্যাংকিং বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করে। এরপর থেকেই স্কুল পড়ুয়া কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করতে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আকর্ষণীয় মুনাফার নানা স্কিম চালু করে। ২০১০ সালে ‘স্কুল ব্যাংকিং’ কার্যক্রম শুরু হলেও শিক্ষার্থীরা টাকা জমা রাখার সুযোগ পায় ২০১১ সাল থেকে। প্রথম বছরে স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খোলা হয় ২৯ হাজার ৮০টি।