নেত্রকোনা ১০:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সমাবর্তনে অংশ নিতে পারেনি রাবি চারুকলার শিক্ষার্থীরা

  • আপডেট : ০৪:৪৫:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৯
  • ১৮২

সেশনজট, চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে দেরি ও ফল প্রকাশ না হওয়ায় রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের একাদশ সমাবর্তনে অংশ নিতে পারেনি চারুকলা অনুষদের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থীরা। সমাবর্তনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২০১৫-১৬ সালে স্নাতকোত্তর, পিএইচডি ও এমফিল ডিগ্রিধারীরা চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিবন্ধনের সুযোগ পেয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চারুকলা বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালে। তবে সেশনজট থাকায় তিন বছর পর ২০১৯ সালে তা অনুষ্ঠিত হয় এবং এখন পর্যন্ত ফলাফল প্রকাশ হয়নি। ফলে গত দশম সমাবর্তন ও এবারের সমাবর্তনেও অংশ নিতে পারেননি তারা।

চারুকলা অনুষদ সূত্রে জানা যায়, ২০১১-১২ সেশনের মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ হয় চলতি বছরের আগস্ট মাসে। তবে নন-থিসিস শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশিত হলেও থিসিসকারীরা পরীক্ষা-পরবর্তী তিন মাস পর থিসিস জমা দিলে এখনো ফল প্রকাশ হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২০১১-১২ সেশনের এক শিক্ষার্থী বলেন, দশম সমাবর্তনে সেশনজটের কারণে আমরা অংশগ্রহণ করতে পারিনি। একাদশ সমাবর্তনেও আমরা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত। পরবর্তী কোনো সমাবর্তনে অংশ নিতে পারবো কিনা জানিনা। বিষয়টি লিখিতভাবে বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টাকে জানানো হয়েছে।
চারুকলা অনুষদের মৃৎশিল্প ও ভাষ্কর্য বিভাগের অধ্যাপক মোস্তফা শরীফ আনোয়ার বলেন, ২০১৬ সালে যাদের চূড়ান্ত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তাদের ক্লাস ই শুরু হয়েছে দুই বছর পর।

এ বছর তাদের চূড়ান্ত পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে কিন্তু এখনো থিথিস জমা দেয় নি। সমাবর্তনের বিষয়টি সম্পর্কে আমি কিছু বলতে পারছি না।

ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু বলেন, তাদের এখনো ফলাফল প্রকাশ হয়নি। ফলাফল প্রকাশ না হলে তো সমাবর্তনে অংশ নিতে পারবে না। তবে চারুকলা অনুষদের ডীন ও শিক্ষকদের সাথে প্রশাসনের কথা হয়েছে। তারা খুব দ্রæত সেশনজট নিরসন করবেন বলে আশ^াস দেন।

 

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।

পূর্বধলায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনের দাফন সম্পন্ন

সমাবর্তনে অংশ নিতে পারেনি রাবি চারুকলার শিক্ষার্থীরা

আপডেট : ০৪:৪৫:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৯

সেশনজট, চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে দেরি ও ফল প্রকাশ না হওয়ায় রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের একাদশ সমাবর্তনে অংশ নিতে পারেনি চারুকলা অনুষদের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থীরা। সমাবর্তনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২০১৫-১৬ সালে স্নাতকোত্তর, পিএইচডি ও এমফিল ডিগ্রিধারীরা চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিবন্ধনের সুযোগ পেয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চারুকলা বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালে। তবে সেশনজট থাকায় তিন বছর পর ২০১৯ সালে তা অনুষ্ঠিত হয় এবং এখন পর্যন্ত ফলাফল প্রকাশ হয়নি। ফলে গত দশম সমাবর্তন ও এবারের সমাবর্তনেও অংশ নিতে পারেননি তারা।

চারুকলা অনুষদ সূত্রে জানা যায়, ২০১১-১২ সেশনের মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ হয় চলতি বছরের আগস্ট মাসে। তবে নন-থিসিস শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশিত হলেও থিসিসকারীরা পরীক্ষা-পরবর্তী তিন মাস পর থিসিস জমা দিলে এখনো ফল প্রকাশ হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২০১১-১২ সেশনের এক শিক্ষার্থী বলেন, দশম সমাবর্তনে সেশনজটের কারণে আমরা অংশগ্রহণ করতে পারিনি। একাদশ সমাবর্তনেও আমরা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত। পরবর্তী কোনো সমাবর্তনে অংশ নিতে পারবো কিনা জানিনা। বিষয়টি লিখিতভাবে বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টাকে জানানো হয়েছে।
চারুকলা অনুষদের মৃৎশিল্প ও ভাষ্কর্য বিভাগের অধ্যাপক মোস্তফা শরীফ আনোয়ার বলেন, ২০১৬ সালে যাদের চূড়ান্ত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তাদের ক্লাস ই শুরু হয়েছে দুই বছর পর।

এ বছর তাদের চূড়ান্ত পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে কিন্তু এখনো থিথিস জমা দেয় নি। সমাবর্তনের বিষয়টি সম্পর্কে আমি কিছু বলতে পারছি না।

ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু বলেন, তাদের এখনো ফলাফল প্রকাশ হয়নি। ফলাফল প্রকাশ না হলে তো সমাবর্তনে অংশ নিতে পারবে না। তবে চারুকলা অনুষদের ডীন ও শিক্ষকদের সাথে প্রশাসনের কথা হয়েছে। তারা খুব দ্রæত সেশনজট নিরসন করবেন বলে আশ^াস দেন।