নেত্রকোনা ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীমঙ্গলে উপজেলা আ’লীগের কাউন্সিল সভাপতি প্রত্যাশী বীর মুক্তিযোদ্ধা আছকির মিয়া

  • আপডেট : ০৪:৩৫:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০১৯
  • ৪৭২

দীর্ঘ এক যুগ পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে তৎপর হয়ে উঠেছেন পদ প্রত্যাশীরা। দিন যতো ঘনিয়ে আসছে নেতাকর্মীদের তৎপরতা ততোই বাড়ছে।

আগামী ১৩ অক্টোবর মৌলভীবাজারে শ্রীমঙ্গলে উপজেলা আওয়ামী লীগে কাউন্সিলে সভাপতি পদ প্রত্যাশী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.আছকির মিয়া। তিনি বর্তমানে উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।

১৯৬৮সালে এসএসসি পাস করে মৌলভীবাজার কলেজ ছাত্রলীগে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। ৬৯ সালে উপজেলার ফুলছড়া মোহাজেরাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকুরীতে যোগ দেন। চাকুরীরত অবস্থায় দেশব্যাপী গণ অভ্যুত্থান শুরু হলে তিনি সে আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ৭০ সালে ভূনবীর ইউনিয়নে সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি হিসেবে মনোনীত হন। ৭১ সালে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে জাতিক জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৭ই মার্চের ভাষণে ছয়তারা টুপি মাথায় বাঁশের লাঠি নিয়ে সেখানে সেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

৭১ সালে ২৫ শে মার্চ কালোরাত্রিতে বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে হৃদয় বিদারক ঘটনার পর ২৬ শে মার্চ থেকে স্থাণীয়ভাবে সংঘঠিত হয়ে প্রতিরোধ যোদ্ধা হিসাবে পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। কিছুদিন প্রতিরোধের পর পাকিস্তানীরা মানুষ হত্যার শুরু করে।

তখন ভারতের খোয়াই অঞ্চলে আশ্রয় নেন। সেখানে মুজিব বাহিনীর সাথে যুক্ত হয়ে গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে সল্প ট্রেনিং নিয়ে ৭১ এর আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন জায়গায় বেইজ ক্যাম্প সৃষ্টি করেন। মুজিব বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে চোরাগুপ্তা হামলা চালান।

বেইজ ক্যাম্পে মুজিব বাহিনীর প্রতিরোধ যোদ্ধা হিসেবে তার সঙ্গে যারা ছিলেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মৃত মো.মছদ্দর আলীর ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.আব্দুল মুকিত একই উপজেলার মৃত কিরণ মনি কর’র ছেলে কৃপেশ রঞ্জণ কর রানু, একই উপজেলার বর্ষিজোরা গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে আব্দুস শহীদ,শ্রীমঙ্গল উপজেলার মৃত সুধীর কুমার সোম’র ছেলে সমীর সোম,রাজনগর উপজেলার টেংরা গ্রামের মৃত সারধা চন্দ্র দেব’র ছেলে সুদর্শন দেব,কুলাউড়া উপজেলার বটুলী গ্রামের মৃত সুরেশ চন্দ্র পালের ছেলে সুখময় পাল যুদ্ধকালীন সময়ে গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শহীদ হন।

৭১ সালের ৬ই ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গল থানা শত্রু মুক্ত হলে উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নের বাদে-আলিশা গ্রামে গঙ্গেশ রঞ্জণ দেব রায়ের বাড়িতে অস্থায়ী ক্যাম্প করেন। সেখানে তার নেতৃত্বে স্থানীয়ভাবে শান্তি শৃঙ্খলার চেষ্টা চালান।
১৯৭২ সালে ১০ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে অস্ত্র সমর্পণ করে প্রত্যেকে যার যার কাজে যোগদান করার আহবান জানালে ৩০ জানুয়ারী সিলেট শহরের রেজিষ্টারী মাঠে তৎকালীন মন্ত্রী দেওয়ান ফরিদ গাজীর নিকট মুজিব বাহিনীর অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে অস্ত্র সমর্পণ করেন। ৭২ সালে ফেব্রুয়ারী মাসে পূনরায় পূর্বের পেশায় প্রাইমারী বিদ্যালয়ে যোগ দেন।

৭৩ সালে পিটিআই প্রশিক্ষণ শেষ করেন। ৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্ব-পরিবারে নিহত হবার পর শিক্ষাকতা চাকুরী ত্যাগ করে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ৭৬ সালে ভূনবীর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। সে সময়ে তাকে তৎকালীন সরকারের রুশানলে পড়ে একাধিকবার কারাগারে যেতে হয়। ৮৫ সালে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ৮৬ সালে শ্রীমঙ্গল উপজেলার জাতীয় পার্টির কার্যকরি কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হন। ৮৭ সালে নারী শিক্ষা প্রসারে শ্রীমঙ্গল শহরে তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় উদয়ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।

৯৬ সালে উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি নিযুক্ত হন। ২০০১ সালে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। পরবর্তীতে ২০০২ সালে জুলাই মাসে তার অনুসারী আড়াই শতাধিক জন নেতাকর্মী নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন।

২০০৫ সালে ২৩ সেপ্টেম্বর শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির সহসভাপতি নিযুক্ত হন। পরবর্তী ২০১৮ সালের মে মাস হতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্রীমঙ্গল উপজেলা, পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের কমিটিরসেতাকর্মী নিয়ে ৩৫৮ জন ভোটার সম্মেলনে নেতা নির্বাচন করবেন। এর মধ্যে ইউনিয়ন ও পৌরসভার কমিটিগুলো থেকে ৩১ জন করে মোট ৩১০ জন ভোটার রয়েছেন। উপজেলা কমিটি ছিল ৫৭ সদস্যবিশিষ্ট।

মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো.মিছবাহুর রহমান বলেন,‘শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলকে ঘিরে আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। কোন ধরেন বিশৃঙ্খলা হতে দেব না। কাউন্সিলাদের সিন্ধান্ত অনুযায়ী নেতা নির্বাচিত করে সুন্দর কমিটি উপহার দেয়ার মূল্য লক্ষ্য।’

ঘোষনা : আমাদের পূর্বকন্ঠ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য আপনাকে স্বাগতম। আপনার আশপাশে ঘটে যাওয়া খবরা খবর জানাতে যোগাযোগ করুন ০১৭১৩৫৭৩৫০২এই নাম্বারে। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আপনিও চাইলে পূর্বকন্ঠ অনলাইন প্রকাশনায় লিখতে পারেন কলাম/ মতামত। আপনার গঠনমূলক লেখা ছাপা হবে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে ( অবশ্যই সম্পাদনা সহকারে)। আপনি কি আপনার নিউজপেপার অথবা অনলাইন টিভি, ই-পেপার, ই-কমার্স, কর্পোরেট, বিজনেস, পার্সোনাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য প্রিমিয়াম থিম খুজছেন? আমাদের রয়েছে ১০০+ প্রিমিয়াম ওয়ার্ডপ্রেস থিম। আমাদের রয়েছে নিউজপেপার, অনলাইন টিভি, ই-কমার্স, কর্পোরেট, বিজনেস, পার্সোনাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের থিম। আপনি কি অনলাইন রেডিও কিংবা অনলাইল লাইভ টিভি চ্যানেল বানাতে চান ? অনলাইন টিভিতে আপনি আপনার মনের মতো কনটেন্ট সম্প্রচার করতে পারবেন। আপনার এলাকার সংবাদ, প্রামান্য প্রতিবেদন দিয়ে সাজিয়ে নিন আপনার দৈনিক প্লেলিষ্ট। আপনি চাইলে ইউটিউব/ভিডিও বা সরাসরি কোন লিংক দিয়ে প্লেলিষ্ট বানিয়ে ২৪ ঘন্টা সম্প্রচার করতে পারেন। তাই আজই যোগাযোগ করুন ☎ ০১৭১৩৫৭৩৫০২ এই নাম্বারে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।

পূর্বধলায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনের দাফন সম্পন্ন

শ্রীমঙ্গলে উপজেলা আ’লীগের কাউন্সিল সভাপতি প্রত্যাশী বীর মুক্তিযোদ্ধা আছকির মিয়া

আপডেট : ০৪:৩৫:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০১৯

দীর্ঘ এক যুগ পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে তৎপর হয়ে উঠেছেন পদ প্রত্যাশীরা। দিন যতো ঘনিয়ে আসছে নেতাকর্মীদের তৎপরতা ততোই বাড়ছে।

আগামী ১৩ অক্টোবর মৌলভীবাজারে শ্রীমঙ্গলে উপজেলা আওয়ামী লীগে কাউন্সিলে সভাপতি পদ প্রত্যাশী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.আছকির মিয়া। তিনি বর্তমানে উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।

১৯৬৮সালে এসএসসি পাস করে মৌলভীবাজার কলেজ ছাত্রলীগে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। ৬৯ সালে উপজেলার ফুলছড়া মোহাজেরাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকুরীতে যোগ দেন। চাকুরীরত অবস্থায় দেশব্যাপী গণ অভ্যুত্থান শুরু হলে তিনি সে আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ৭০ সালে ভূনবীর ইউনিয়নে সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি হিসেবে মনোনীত হন। ৭১ সালে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে জাতিক জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৭ই মার্চের ভাষণে ছয়তারা টুপি মাথায় বাঁশের লাঠি নিয়ে সেখানে সেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

৭১ সালে ২৫ শে মার্চ কালোরাত্রিতে বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে হৃদয় বিদারক ঘটনার পর ২৬ শে মার্চ থেকে স্থাণীয়ভাবে সংঘঠিত হয়ে প্রতিরোধ যোদ্ধা হিসাবে পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। কিছুদিন প্রতিরোধের পর পাকিস্তানীরা মানুষ হত্যার শুরু করে।

তখন ভারতের খোয়াই অঞ্চলে আশ্রয় নেন। সেখানে মুজিব বাহিনীর সাথে যুক্ত হয়ে গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে সল্প ট্রেনিং নিয়ে ৭১ এর আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন জায়গায় বেইজ ক্যাম্প সৃষ্টি করেন। মুজিব বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে চোরাগুপ্তা হামলা চালান।

বেইজ ক্যাম্পে মুজিব বাহিনীর প্রতিরোধ যোদ্ধা হিসেবে তার সঙ্গে যারা ছিলেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মৃত মো.মছদ্দর আলীর ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.আব্দুল মুকিত একই উপজেলার মৃত কিরণ মনি কর’র ছেলে কৃপেশ রঞ্জণ কর রানু, একই উপজেলার বর্ষিজোরা গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে আব্দুস শহীদ,শ্রীমঙ্গল উপজেলার মৃত সুধীর কুমার সোম’র ছেলে সমীর সোম,রাজনগর উপজেলার টেংরা গ্রামের মৃত সারধা চন্দ্র দেব’র ছেলে সুদর্শন দেব,কুলাউড়া উপজেলার বটুলী গ্রামের মৃত সুরেশ চন্দ্র পালের ছেলে সুখময় পাল যুদ্ধকালীন সময়ে গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শহীদ হন।

৭১ সালের ৬ই ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গল থানা শত্রু মুক্ত হলে উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নের বাদে-আলিশা গ্রামে গঙ্গেশ রঞ্জণ দেব রায়ের বাড়িতে অস্থায়ী ক্যাম্প করেন। সেখানে তার নেতৃত্বে স্থানীয়ভাবে শান্তি শৃঙ্খলার চেষ্টা চালান।
১৯৭২ সালে ১০ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে অস্ত্র সমর্পণ করে প্রত্যেকে যার যার কাজে যোগদান করার আহবান জানালে ৩০ জানুয়ারী সিলেট শহরের রেজিষ্টারী মাঠে তৎকালীন মন্ত্রী দেওয়ান ফরিদ গাজীর নিকট মুজিব বাহিনীর অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে অস্ত্র সমর্পণ করেন। ৭২ সালে ফেব্রুয়ারী মাসে পূনরায় পূর্বের পেশায় প্রাইমারী বিদ্যালয়ে যোগ দেন।

৭৩ সালে পিটিআই প্রশিক্ষণ শেষ করেন। ৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্ব-পরিবারে নিহত হবার পর শিক্ষাকতা চাকুরী ত্যাগ করে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ৭৬ সালে ভূনবীর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। সে সময়ে তাকে তৎকালীন সরকারের রুশানলে পড়ে একাধিকবার কারাগারে যেতে হয়। ৮৫ সালে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ৮৬ সালে শ্রীমঙ্গল উপজেলার জাতীয় পার্টির কার্যকরি কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হন। ৮৭ সালে নারী শিক্ষা প্রসারে শ্রীমঙ্গল শহরে তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় উদয়ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।

৯৬ সালে উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি নিযুক্ত হন। ২০০১ সালে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। পরবর্তীতে ২০০২ সালে জুলাই মাসে তার অনুসারী আড়াই শতাধিক জন নেতাকর্মী নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন।

২০০৫ সালে ২৩ সেপ্টেম্বর শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির সহসভাপতি নিযুক্ত হন। পরবর্তী ২০১৮ সালের মে মাস হতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্রীমঙ্গল উপজেলা, পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের কমিটিরসেতাকর্মী নিয়ে ৩৫৮ জন ভোটার সম্মেলনে নেতা নির্বাচন করবেন। এর মধ্যে ইউনিয়ন ও পৌরসভার কমিটিগুলো থেকে ৩১ জন করে মোট ৩১০ জন ভোটার রয়েছেন। উপজেলা কমিটি ছিল ৫৭ সদস্যবিশিষ্ট।

মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো.মিছবাহুর রহমান বলেন,‘শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলকে ঘিরে আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। কোন ধরেন বিশৃঙ্খলা হতে দেব না। কাউন্সিলাদের সিন্ধান্ত অনুযায়ী নেতা নির্বাচিত করে সুন্দর কমিটি উপহার দেয়ার মূল্য লক্ষ্য।’

ঘোষনা : আমাদের পূর্বকন্ঠ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য আপনাকে স্বাগতম। আপনার আশপাশে ঘটে যাওয়া খবরা খবর জানাতে যোগাযোগ করুন ০১৭১৩৫৭৩৫০২এই নাম্বারে। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আপনিও চাইলে পূর্বকন্ঠ অনলাইন প্রকাশনায় লিখতে পারেন কলাম/ মতামত। আপনার গঠনমূলক লেখা ছাপা হবে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে ( অবশ্যই সম্পাদনা সহকারে)। আপনি কি আপনার নিউজপেপার অথবা অনলাইন টিভি, ই-পেপার, ই-কমার্স, কর্পোরেট, বিজনেস, পার্সোনাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য প্রিমিয়াম থিম খুজছেন? আমাদের রয়েছে ১০০+ প্রিমিয়াম ওয়ার্ডপ্রেস থিম। আমাদের রয়েছে নিউজপেপার, অনলাইন টিভি, ই-কমার্স, কর্পোরেট, বিজনেস, পার্সোনাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের থিম। আপনি কি অনলাইন রেডিও কিংবা অনলাইল লাইভ টিভি চ্যানেল বানাতে চান ? অনলাইন টিভিতে আপনি আপনার মনের মতো কনটেন্ট সম্প্রচার করতে পারবেন। আপনার এলাকার সংবাদ, প্রামান্য প্রতিবেদন দিয়ে সাজিয়ে নিন আপনার দৈনিক প্লেলিষ্ট। আপনি চাইলে ইউটিউব/ভিডিও বা সরাসরি কোন লিংক দিয়ে প্লেলিষ্ট বানিয়ে ২৪ ঘন্টা সম্প্রচার করতে পারেন। তাই আজই যোগাযোগ করুন ☎ ০১৭১৩৫৭৩৫০২ এই নাম্বারে।