নেত্রকোনা ০৮:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীমঙ্গলে ইজারার নামে হাওর দখল

  • আপডেট : ০৯:১৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ২১৪

মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গল :

ফিসারির নামে শ্রীমঙ্গলে হাইল হাওর দখল হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া চারপাশের চা ও লেবু বাগানে ব্যবহার করা কীটনাশকে মারা যাচ্ছে মাছসহ হাওরটির জলজ প্রাণী। এতে চরম হুমকির মুখে পড়েছে হাওরের জীববৈচিত্র্য।

অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় ভূমি অফিসসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এই দখল ও দূষণ চলছে।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে হাওরের জীববৈচিত্র্য একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে, বন্ধ হয়ে যাবে হাওরকেন্দ্রিক কয়েক হাজার দরিদ্র মানুষের জীবন জীবিকা।

উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, শ্রীমঙ্গল উপজেলার হাওরটির মোট আয়তন ১০ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে ৪ হাজার হেক্টর প্লাবন ভূমি, ৪ হাজার ৫১৭ হেক্টর হাওর, এক হাজার ৪০০ হেক্টর বিল, ৪০ হেক্টর খাল ও ৫০ হেক্টর নদী।

স্থানীয় মৎস্য অফিস জানায়, হাইল হাওর মৎস্যসম্পদে পরিপূর্ণ জলাভূমি। এখানে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে কয়েক হাজার মানুষ। হাইল হাওরে আগে ৯৮ প্রজাতির মাছের আবাস থাকলেও বর্তমানে ২১ প্রজাতির মাছ পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আরও ১১ প্রজাতির মাছ বিলুপ্তপ্রায়।

এই হাওরে শীত মৌসুমে হাইল হাওরে ২০ হাজারের বেশি দেশীয় এবং অতিথি পাখির আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে হাইল হাওরের বড় একটি অংশ দখল করে ফেলেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। মাটির পাড় তুলে শত শত একর জুড়ে নিশ্চিত করেছে তাদের দখলদারিত্ব।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাওরের ভাড়াউড়া অংশে শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়ের দখলে রয়েছে সাত শত একর, রাজা মিয়ার দখলে পাঁচ হাজার একর, হুজুর হামজা মিয়ার দখলে রয়েছে আট শত একর। এমন করে হাইল হাওরজুড়ে রয়েছে সাত শত দখলদার, প্রত্যেকে গড়ে তুলেছে কথিত বাণিজ্যিক ফিশারিজ।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনের দাফন সম্পন্ন

শ্রীমঙ্গলে ইজারার নামে হাওর দখল

আপডেট : ০৯:১৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গল :

ফিসারির নামে শ্রীমঙ্গলে হাইল হাওর দখল হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া চারপাশের চা ও লেবু বাগানে ব্যবহার করা কীটনাশকে মারা যাচ্ছে মাছসহ হাওরটির জলজ প্রাণী। এতে চরম হুমকির মুখে পড়েছে হাওরের জীববৈচিত্র্য।

অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় ভূমি অফিসসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এই দখল ও দূষণ চলছে।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে হাওরের জীববৈচিত্র্য একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে, বন্ধ হয়ে যাবে হাওরকেন্দ্রিক কয়েক হাজার দরিদ্র মানুষের জীবন জীবিকা।

উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, শ্রীমঙ্গল উপজেলার হাওরটির মোট আয়তন ১০ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে ৪ হাজার হেক্টর প্লাবন ভূমি, ৪ হাজার ৫১৭ হেক্টর হাওর, এক হাজার ৪০০ হেক্টর বিল, ৪০ হেক্টর খাল ও ৫০ হেক্টর নদী।

স্থানীয় মৎস্য অফিস জানায়, হাইল হাওর মৎস্যসম্পদে পরিপূর্ণ জলাভূমি। এখানে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে কয়েক হাজার মানুষ। হাইল হাওরে আগে ৯৮ প্রজাতির মাছের আবাস থাকলেও বর্তমানে ২১ প্রজাতির মাছ পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আরও ১১ প্রজাতির মাছ বিলুপ্তপ্রায়।

এই হাওরে শীত মৌসুমে হাইল হাওরে ২০ হাজারের বেশি দেশীয় এবং অতিথি পাখির আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে হাইল হাওরের বড় একটি অংশ দখল করে ফেলেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। মাটির পাড় তুলে শত শত একর জুড়ে নিশ্চিত করেছে তাদের দখলদারিত্ব।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাওরের ভাড়াউড়া অংশে শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়ের দখলে রয়েছে সাত শত একর, রাজা মিয়ার দখলে পাঁচ হাজার একর, হুজুর হামজা মিয়ার দখলে রয়েছে আট শত একর। এমন করে হাইল হাওরজুড়ে রয়েছে সাত শত দখলদার, প্রত্যেকে গড়ে তুলেছে কথিত বাণিজ্যিক ফিশারিজ।