নেত্রকোনা ০৮:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীমঙ্গলে ’আলোর শক্তি’ সংগঠনের সেচ্ছা শ্রমে ময়লার ভাগাড় থেকে প্রাণ ফিরে পেল শহীদ মিনার

  • আপডেট : ০৭:২১:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০১৯
  • ২৭৬

শ্রীমঙ্গল(মৌলভীবাজার)প্রতিনিধি:
১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর শহিদ মিনারটির আর কেউ খোঁজ নেননি। রেল স্টেশন আর বাজারের ময়লা আবর্জনার স্তুপে হারিয়ে যেতে বসেছিল ভাষা আন্দোলনের স্মারক স্মৃতিসৌধটি। এরপর ২৪ বছর পর স্থানীয় একদল যুবক সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সেচ্ছা শ্রমে জরাজীর্ণ ভাঙ্গা ও পরিত্যক্ত অবস্থায় থেকে শহীদ মিনারটি সংস্কার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলাধীন সাতগাঁও ইউনিয়নে সাতগাঁও রেল স্টেশন এর সামনের ময়লার ভাগাড় থেকে শহিদ মিনারটি উদ্ধার করে সংস্কার করে ওই যুবকরা। স্থানীয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘আলোর শক্তি’ ব্যানারে তারা বৃহস্পতিবার এলাকাটি সাফ সুতরা শেষ করে নিজেরা রংয়ের প্রলেপ লাগিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বজরুল আলম বকুল বলেন, ১৯৯৫ সালে তৈরি করার পর ২০১৪ সালে একবার সংস্কার করা হলেও শহিদ মিনারটি আবারো ঘন জঙ্গল আর ময়লার ভাগাড়ে ঢেকে পড়ে।
‘আলোর শক্তি’ সংগঠনের উপদেষ্টা আবেদ হোসেন, সভাপতি তাসলিম আহমেদ, ছাতলীগ নেতা ইমদাত চৌধুরী ইমু ও সাইফুল ইসলামসহ স্থানীয় যুবকরা এই উদ্যোগের কারনে হারিয়ে যেতে বসা ভাষা শহীদ মিনারটি আবারো প্রাণ ফিরে পেল। এতে এলাকাবাসী তাদের সাধুবাদ জানিয়েছেন।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় পড়ে থাকার খবর পেয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ভাষা শহীদদের সম্মানার্থে এটি আমরা নিজেদের উদ্যোগে সংস্কার করি। জলা জঙ্গল সাফ করে শহিদ মিনারে নিজেরাই নতুন রং করি। এখন এর চার পাশে বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নিয়েছি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।

শ্রীমঙ্গলে ’আলোর শক্তি’ সংগঠনের সেচ্ছা শ্রমে ময়লার ভাগাড় থেকে প্রাণ ফিরে পেল শহীদ মিনার

আপডেট : ০৭:২১:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০১৯

শ্রীমঙ্গল(মৌলভীবাজার)প্রতিনিধি:
১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর শহিদ মিনারটির আর কেউ খোঁজ নেননি। রেল স্টেশন আর বাজারের ময়লা আবর্জনার স্তুপে হারিয়ে যেতে বসেছিল ভাষা আন্দোলনের স্মারক স্মৃতিসৌধটি। এরপর ২৪ বছর পর স্থানীয় একদল যুবক সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সেচ্ছা শ্রমে জরাজীর্ণ ভাঙ্গা ও পরিত্যক্ত অবস্থায় থেকে শহীদ মিনারটি সংস্কার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলাধীন সাতগাঁও ইউনিয়নে সাতগাঁও রেল স্টেশন এর সামনের ময়লার ভাগাড় থেকে শহিদ মিনারটি উদ্ধার করে সংস্কার করে ওই যুবকরা। স্থানীয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘আলোর শক্তি’ ব্যানারে তারা বৃহস্পতিবার এলাকাটি সাফ সুতরা শেষ করে নিজেরা রংয়ের প্রলেপ লাগিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বজরুল আলম বকুল বলেন, ১৯৯৫ সালে তৈরি করার পর ২০১৪ সালে একবার সংস্কার করা হলেও শহিদ মিনারটি আবারো ঘন জঙ্গল আর ময়লার ভাগাড়ে ঢেকে পড়ে।
‘আলোর শক্তি’ সংগঠনের উপদেষ্টা আবেদ হোসেন, সভাপতি তাসলিম আহমেদ, ছাতলীগ নেতা ইমদাত চৌধুরী ইমু ও সাইফুল ইসলামসহ স্থানীয় যুবকরা এই উদ্যোগের কারনে হারিয়ে যেতে বসা ভাষা শহীদ মিনারটি আবারো প্রাণ ফিরে পেল। এতে এলাকাবাসী তাদের সাধুবাদ জানিয়েছেন।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় পড়ে থাকার খবর পেয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ভাষা শহীদদের সম্মানার্থে এটি আমরা নিজেদের উদ্যোগে সংস্কার করি। জলা জঙ্গল সাফ করে শহিদ মিনারে নিজেরাই নতুন রং করি। এখন এর চার পাশে বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নিয়েছি।