মো. আব্দুল বাতেন, শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি:
শ্রীবরদীতে এক মৎস্য প্রজেক্টে বিষ প্রয়োগ করে বিপুল পরিমানের মাছ নিধন করেছে দূর্বৃত্তরা। শনিবার দিবাগত রাতে কে বা কারা রাতের আধারে পৌর শহরের তাতিহাটি জালকাটা এলাকায় নুরনবী নামে ওই মৎস্য খামারে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৫/৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন মৎস্য প্রজেক্ট মালিক নুরনবী। এ ঘটনায় রবিবার সকাল থেকে উৎসুক লোকজন ওই মৎস্য প্রজেক্টে গিয়ে মৎস্য নিধন দেখে বলেন “মাছের সাথে শত্রæতা”!
ওই মৎস্য প্রজেক্টের মালিক ও তাতিহাটি জালকাটা গ্রামের বাসিন্দা আমির হামজার ছেলে নুর নবী জানান, তিনি প্রায় ৪/৫ বছর যাবত তাতিহাটি জালকাটা এলাকায় এক একর জমিতে তেলাপিয়া, রই, কাতল, মৃগেল, বাউশ ও দেশীয়সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে আসছেন। এই মাছ চাষের আয় দিয়ে চলছে তার সংসার। কিছু দিন আগে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার মৎস্য প্রজেক্টে নেমে চুরি করে মাছ ধরে নিয়ে যাবার সময় তিনি হাতে নাতে ধরেন। পরে সেখানে মাছ ধরবে না মর্মে তাদেরকে ছেড়ে দেন তিনি। এ বিষয়টি গ্রাম্য মাতাব্বদেরও জানিয়েছেন। এর পর সেখানে মাছ ধরার জন্যে ওইসব দুর্বৃত্তরা তাকে হুমকিও দিয়েছিল। শনিবার দিবাগত রাতে কে বা কারা তার মৎস্য প্রজেক্টের বিষ প্রয়োগ করে বিপুল পরিমানের মাছ নিধন করেছে। তিনি বলেন, এতে আমার প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
নুর নবীর ছোট ভাই নাজমূল হোসাইন জানান, এখানের মাছ ও মাছের খাদ্যসহ প্রায় ৭/৮ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হতো। এখন দুর্বৃত্তরা বিষ প্রয়োগ করে তাদের বিপুল পরিমাণের মাছ নিধন করেছে। এতে তারা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা এর সুষ্ঠ্য বিচার চাই। এ ব্যাপারে নুরনবীর বাবা বলেন, আমরা কারো কোনো ক্ষতি করি নাই। মানুষ কেন আমাদের এতো বড় ক্ষতি করেছে?।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পৌরসভার কমিশনার আনিসুজ্জামান খোকন বলেন, এ ব্যাপারে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এতে তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যেসব দুর্বৃত্ত তাদের মাছ নিধন করেছে প্রশাসন যেন তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা মৎস্য অফিসার কৃষিবিদ সাইদুর রহমান বলেন, এই প্রজেক্টের মাছ বিষ প্রয়োগে মারা গেছে।