শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীবরদীতে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধনের অভিযোগ

  • আপডেট : ০৪:১২:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০১৯
  • ১২২৪ বার পঠিত

মো. আব্দুল বাতেন, শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি:

শ্রীবরদীতে এক মৎস্য প্রজেক্টে বিষ প্রয়োগ করে বিপুল পরিমানের মাছ নিধন করেছে দূর্বৃত্তরা। শনিবার দিবাগত রাতে কে বা কারা রাতের আধারে পৌর শহরের তাতিহাটি জালকাটা এলাকায় নুরনবী নামে ওই মৎস্য খামারে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৫/৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন মৎস্য প্রজেক্ট মালিক নুরনবী। এ ঘটনায় রবিবার সকাল থেকে উৎসুক লোকজন ওই মৎস্য প্রজেক্টে গিয়ে মৎস্য নিধন দেখে বলেন “মাছের সাথে শত্রæতা”!

ওই মৎস্য প্রজেক্টের মালিক ও তাতিহাটি জালকাটা গ্রামের বাসিন্দা আমির হামজার ছেলে নুর নবী জানান, তিনি প্রায় ৪/৫ বছর যাবত তাতিহাটি জালকাটা এলাকায় এক একর জমিতে তেলাপিয়া, রই, কাতল, মৃগেল, বাউশ ও দেশীয়সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে আসছেন। এই মাছ চাষের আয় দিয়ে চলছে তার সংসার। কিছু দিন আগে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার মৎস্য প্রজেক্টে নেমে চুরি করে মাছ ধরে নিয়ে যাবার সময় তিনি হাতে নাতে ধরেন। পরে সেখানে মাছ ধরবে না মর্মে তাদেরকে ছেড়ে দেন তিনি। এ বিষয়টি গ্রাম্য মাতাব্বদেরও জানিয়েছেন। এর পর সেখানে মাছ ধরার জন্যে ওইসব দুর্বৃত্তরা তাকে হুমকিও দিয়েছিল। শনিবার দিবাগত রাতে কে বা কারা তার মৎস্য প্রজেক্টের বিষ প্রয়োগ করে বিপুল পরিমানের মাছ নিধন করেছে। তিনি বলেন, এতে আমার প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

নুর নবীর ছোট ভাই নাজমূল হোসাইন জানান, এখানের মাছ ও মাছের খাদ্যসহ প্রায় ৭/৮ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হতো। এখন দুর্বৃত্তরা বিষ প্রয়োগ করে তাদের বিপুল পরিমাণের মাছ নিধন করেছে। এতে তারা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা এর সুষ্ঠ্য বিচার চাই। এ ব্যাপারে নুরনবীর বাবা বলেন, আমরা কারো কোনো ক্ষতি করি নাই। মানুষ কেন আমাদের এতো বড় ক্ষতি করেছে?।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পৌরসভার কমিশনার আনিসুজ্জামান খোকন বলেন, এ ব্যাপারে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এতে তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যেসব দুর্বৃত্ত তাদের মাছ নিধন করেছে প্রশাসন যেন তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা মৎস্য অফিসার কৃষিবিদ সাইদুর রহমান বলেন, এই প্রজেক্টের মাছ বিষ প্রয়োগে মারা গেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমার বর্তমান ঠিকানা স্টেশন রোড, পূর্বধলা, নেত্রকোনা। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমার ধর্ম ইসলাম। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। প্রয়োজনে: ০১৭১৩৫৭৩৫০২

নেত্রকোণায় চালের বস্তার উপর জাত উৎপাদন ও মিলগেট মুল্যসহ মুদ্রিতকরণ উদ্বোধন

শ্রীবরদীতে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধনের অভিযোগ

আপডেট : ০৪:১২:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০১৯

মো. আব্দুল বাতেন, শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি:

শ্রীবরদীতে এক মৎস্য প্রজেক্টে বিষ প্রয়োগ করে বিপুল পরিমানের মাছ নিধন করেছে দূর্বৃত্তরা। শনিবার দিবাগত রাতে কে বা কারা রাতের আধারে পৌর শহরের তাতিহাটি জালকাটা এলাকায় নুরনবী নামে ওই মৎস্য খামারে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৫/৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন মৎস্য প্রজেক্ট মালিক নুরনবী। এ ঘটনায় রবিবার সকাল থেকে উৎসুক লোকজন ওই মৎস্য প্রজেক্টে গিয়ে মৎস্য নিধন দেখে বলেন “মাছের সাথে শত্রæতা”!

ওই মৎস্য প্রজেক্টের মালিক ও তাতিহাটি জালকাটা গ্রামের বাসিন্দা আমির হামজার ছেলে নুর নবী জানান, তিনি প্রায় ৪/৫ বছর যাবত তাতিহাটি জালকাটা এলাকায় এক একর জমিতে তেলাপিয়া, রই, কাতল, মৃগেল, বাউশ ও দেশীয়সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে আসছেন। এই মাছ চাষের আয় দিয়ে চলছে তার সংসার। কিছু দিন আগে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার মৎস্য প্রজেক্টে নেমে চুরি করে মাছ ধরে নিয়ে যাবার সময় তিনি হাতে নাতে ধরেন। পরে সেখানে মাছ ধরবে না মর্মে তাদেরকে ছেড়ে দেন তিনি। এ বিষয়টি গ্রাম্য মাতাব্বদেরও জানিয়েছেন। এর পর সেখানে মাছ ধরার জন্যে ওইসব দুর্বৃত্তরা তাকে হুমকিও দিয়েছিল। শনিবার দিবাগত রাতে কে বা কারা তার মৎস্য প্রজেক্টের বিষ প্রয়োগ করে বিপুল পরিমানের মাছ নিধন করেছে। তিনি বলেন, এতে আমার প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

নুর নবীর ছোট ভাই নাজমূল হোসাইন জানান, এখানের মাছ ও মাছের খাদ্যসহ প্রায় ৭/৮ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হতো। এখন দুর্বৃত্তরা বিষ প্রয়োগ করে তাদের বিপুল পরিমাণের মাছ নিধন করেছে। এতে তারা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা এর সুষ্ঠ্য বিচার চাই। এ ব্যাপারে নুরনবীর বাবা বলেন, আমরা কারো কোনো ক্ষতি করি নাই। মানুষ কেন আমাদের এতো বড় ক্ষতি করেছে?।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পৌরসভার কমিশনার আনিসুজ্জামান খোকন বলেন, এ ব্যাপারে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এতে তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যেসব দুর্বৃত্ত তাদের মাছ নিধন করেছে প্রশাসন যেন তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা মৎস্য অফিসার কৃষিবিদ সাইদুর রহমান বলেন, এই প্রজেক্টের মাছ বিষ প্রয়োগে মারা গেছে।