নেত্রকোনা ০২:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শমশেরনগর-মৌলভীবাজার সড়কের বেহাল অবস্থা

  • আপডেট : ০৯:৫৯:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০১৯
  • ৩২৩

নাঈম আলী: শমশেরনগর-মৌলভীবাজার সড়কের বেহাল অবস্থা হয়ে গিয়েছে যেন দেখার কেউ নেই, গর্ত আর খানা খন্দে যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে । এই সড়কটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক কিন্তু গত চার বছর যাবত সড়ক ও জনপথ বিভাগের মৌলভীবাজার-শমশেরনগর সড়কে গর্তগুলো এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ২০ কিলোমিটার ঐ রাস্তায় ত্রিশ মিনিটের স্থলে এখন সোয়া ঘণ্টায়ও গন্তব্যে পৌঁছা দায়। অতিরিক্ত সময় ব্যয় আর যানবাহনগুলোর শোচনীয় অবস্থায় সড়কে যাতায়াতকারী লোকদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। গত দুই বছর যাবত মেরামতের দাবি জানানো হলেও মেরামত তো দূরের কথা, সড়কের পুরো অংশই এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পর্যটন জেলা ও প্রবাসী অধ্যুষিত জনগুরুত্বপূর্ণ শমশেরনগর-মৌলভীবাজার সড়ক ভেঙে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শমশেরনগর বাজার থেকে ভারতের সাথে সংযুক্ত চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন সড়কের আরো ১৪ কিলোমিটার এলাকা গর্ত আর খানাখন্দে ভরে গেছে। ব্যাহত হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি। বৃষ্টির সময় সড়কে পানি জমে গর্ত ভরাট হওয়ার কারণে চালকরা দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। নিরাপদে গাড়ি চালাতে চালকদের যেমন সতর্ক থাকতে হচ্ছে, তেমনি যাত্রীরা যানবাহনে সারাক্ষণই থাকেন ঝাঁকুনির মধ্যে। ২০ কিলোমিটার সড়কে দুই বছর ধরেই ইট-সুরকি দিয়ে ভরাট করার চেষ্টা চলছে। তবে বৃষ্টির কারণে আর অত্যধিক যানবাহনের চাপে সড়ক থেকে ইট-সুরকি ছিটকে পড়ছে। চাতলা স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের উত্তর ত্রিপুরায় পণ্য ও মালামাল আমদানি-রপ্তানি ছাড়াও এই সড়কে প্রতিদিন কমলগঞ্জ উপজেলার একাংশের হাজারো শিক্ষার্থী, কর্মজীবী ও সাধারণ মানুষ জেলা সদরে আসা-যাওয়া করেন।

এ বিষয়ে সওজ মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল আলম বলেন, ‘সড়কের ২০ কিলোমিটার টেন্ডারের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। অনুমোদন হয়ে গেলেই ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হবে। এর কিছুদিন পর কাজ শুরু হওয়ার আশাবাদী। তবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কাজ বেড়ে গেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমার বর্তমান ঠিকানা স্টেশন রোড, পূর্বধলা, নেত্রকোনা। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমার ধর্ম ইসলাম। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।

দুর্গাপুরে আওয়ামী লীগের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

শমশেরনগর-মৌলভীবাজার সড়কের বেহাল অবস্থা

আপডেট : ০৯:৫৯:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০১৯

নাঈম আলী: শমশেরনগর-মৌলভীবাজার সড়কের বেহাল অবস্থা হয়ে গিয়েছে যেন দেখার কেউ নেই, গর্ত আর খানা খন্দে যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে । এই সড়কটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক কিন্তু গত চার বছর যাবত সড়ক ও জনপথ বিভাগের মৌলভীবাজার-শমশেরনগর সড়কে গর্তগুলো এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ২০ কিলোমিটার ঐ রাস্তায় ত্রিশ মিনিটের স্থলে এখন সোয়া ঘণ্টায়ও গন্তব্যে পৌঁছা দায়। অতিরিক্ত সময় ব্যয় আর যানবাহনগুলোর শোচনীয় অবস্থায় সড়কে যাতায়াতকারী লোকদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। গত দুই বছর যাবত মেরামতের দাবি জানানো হলেও মেরামত তো দূরের কথা, সড়কের পুরো অংশই এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পর্যটন জেলা ও প্রবাসী অধ্যুষিত জনগুরুত্বপূর্ণ শমশেরনগর-মৌলভীবাজার সড়ক ভেঙে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শমশেরনগর বাজার থেকে ভারতের সাথে সংযুক্ত চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন সড়কের আরো ১৪ কিলোমিটার এলাকা গর্ত আর খানাখন্দে ভরে গেছে। ব্যাহত হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি। বৃষ্টির সময় সড়কে পানি জমে গর্ত ভরাট হওয়ার কারণে চালকরা দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। নিরাপদে গাড়ি চালাতে চালকদের যেমন সতর্ক থাকতে হচ্ছে, তেমনি যাত্রীরা যানবাহনে সারাক্ষণই থাকেন ঝাঁকুনির মধ্যে। ২০ কিলোমিটার সড়কে দুই বছর ধরেই ইট-সুরকি দিয়ে ভরাট করার চেষ্টা চলছে। তবে বৃষ্টির কারণে আর অত্যধিক যানবাহনের চাপে সড়ক থেকে ইট-সুরকি ছিটকে পড়ছে। চাতলা স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের উত্তর ত্রিপুরায় পণ্য ও মালামাল আমদানি-রপ্তানি ছাড়াও এই সড়কে প্রতিদিন কমলগঞ্জ উপজেলার একাংশের হাজারো শিক্ষার্থী, কর্মজীবী ও সাধারণ মানুষ জেলা সদরে আসা-যাওয়া করেন।

এ বিষয়ে সওজ মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল আলম বলেন, ‘সড়কের ২০ কিলোমিটার টেন্ডারের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। অনুমোদন হয়ে গেলেই ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হবে। এর কিছুদিন পর কাজ শুরু হওয়ার আশাবাদী। তবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কাজ বেড়ে গেছে।