নেত্রকোনা ০৮:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাঙ্গামাটিতে সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনা কৃষক মাঠ স্কুল বিষয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালা

  • আপডেট : ০৩:৫৮:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ১৭৩

মহুয়া জান্নাত মনি,রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেছেন, কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার ভর্তুকি দিয়ে কৃষককে সার, বীজ ও কৃষি যন্ত্রপাতি দিচ্ছে। স্বল্পসুদে ও সহজ শর্তে কৃষি ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করেছে।

সোমবার সকালে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্প (৩য় পর্যায়) সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনা কৃষক মাঠ স্কুল বিষয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্ট্রেনদেনিং ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ইন সিএইচটি (এসআইডি-সিএইচটি)-ইউএনডিপি’র বাস্তবায়নে এবং ড্যানিডা’র অর্থায়নে জেলা পরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা।

এ সময় কর্মশালায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সাধন মনি চাকমা, পরিষদের সদস্য সান্তনা চাকমা, বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরত্তোম তংচঙ্গ্যা, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দূর্গেশ^র চাকমা, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা’সহ বিভিন্ন উপজেলার কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পের জেলা কর্মকর্তা সুকিরন চাকমা।

কর্মশালায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, পার্বত্য জেলার সাধারণ জনগনের শান্তি ও উন্নয়নের কথা চিন্তা করে আওয়ামীলীগ সরকার ১৯৯৭সালে পার্বত্য চুক্তি করেছিল। যার সুফল এখনো পার্বত্যবাসী ভোগ করছে। তিনি বলেন, পার্বত্য জেলায় সরকারের পাশাপাশি ইউএনডিপি’র বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষক ও কৃষির উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে পশ্চাদপদ গ্রামীণ অর্থনীতিতে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। যার ফলে এখন এ জেলার গবাদি পশু, মৎস্য, ফল ফলাদি নিজ জেলার আমিষ ও পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলায়ও রপ্তানি হচ্ছে। যা পূর্বে কখনো হয়নি। জেলার উন্নয়নের গতি অব্যাহৃত রাখতে তিনি ইউএনডিপি’র কার্যক্রমে সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা এ জেলার ভৌগলিক পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিকরনে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।

রাঙ্গামাটিতে সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনা কৃষক মাঠ স্কুল বিষয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালা

আপডেট : ০৩:৫৮:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯

মহুয়া জান্নাত মনি,রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেছেন, কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার ভর্তুকি দিয়ে কৃষককে সার, বীজ ও কৃষি যন্ত্রপাতি দিচ্ছে। স্বল্পসুদে ও সহজ শর্তে কৃষি ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করেছে।

সোমবার সকালে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্প (৩য় পর্যায়) সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনা কৃষক মাঠ স্কুল বিষয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্ট্রেনদেনিং ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ইন সিএইচটি (এসআইডি-সিএইচটি)-ইউএনডিপি’র বাস্তবায়নে এবং ড্যানিডা’র অর্থায়নে জেলা পরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা।

এ সময় কর্মশালায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সাধন মনি চাকমা, পরিষদের সদস্য সান্তনা চাকমা, বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরত্তোম তংচঙ্গ্যা, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দূর্গেশ^র চাকমা, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা’সহ বিভিন্ন উপজেলার কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পের জেলা কর্মকর্তা সুকিরন চাকমা।

কর্মশালায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, পার্বত্য জেলার সাধারণ জনগনের শান্তি ও উন্নয়নের কথা চিন্তা করে আওয়ামীলীগ সরকার ১৯৯৭সালে পার্বত্য চুক্তি করেছিল। যার সুফল এখনো পার্বত্যবাসী ভোগ করছে। তিনি বলেন, পার্বত্য জেলায় সরকারের পাশাপাশি ইউএনডিপি’র বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষক ও কৃষির উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে পশ্চাদপদ গ্রামীণ অর্থনীতিতে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। যার ফলে এখন এ জেলার গবাদি পশু, মৎস্য, ফল ফলাদি নিজ জেলার আমিষ ও পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলায়ও রপ্তানি হচ্ছে। যা পূর্বে কখনো হয়নি। জেলার উন্নয়নের গতি অব্যাহৃত রাখতে তিনি ইউএনডিপি’র কার্যক্রমে সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা এ জেলার ভৌগলিক পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিকরনে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।