নেত্রকোনা ১০:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোহনগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২ বসত ঘরসহ ১০টি দোকান পুড়ে ছাই

  • আপডেট : ০৬:৫৮:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৯
  • ২২৫

এ কে এম আব্দুল্লাহ, নেত্রকোনা ঃ নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ পৌর শহরে সিনেমা হল রোডে সোমবার শেষ রাতে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে দুইটি বসত ঘর সহ ১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, সোমবার দিরাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে মোহনগঞ্জ পৌর শহরের সিনেমা হল রোডের জ্যোতি সাহার ওয়ার্ক শর্প থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। মূহুর্তে আগুনের লেলিহান শিখা চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে মোহনগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ও নেত্রকোনা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

ততক্ষণে মানিক সাহার ওয়ার্ক শর্প, আব্দুর রাশিদের মেশিনারী পার্সের দোকান, দুদু মিয়ার বস্তার গোদাম, পরিমলের মুদির গোদাম, নূর আহম্মদের সুতা জাল ও ত্রিপালের গোদাম, লালন মিয়ার সুতা জাল ও ত্রিপালের দোকান, সোহরাব মিয়ার সুতা জাল ও ত্রিপালের দোকান, রবির মুদির দোকান এবং হাসান শেখের বসত ঘর ও হ্যাপী চৌধুরীর বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
পাটের খালি বস্তা ব্যবসায়ী দুদু মিয়া কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার গোদাম ঘরে প্রায় ১৪/১৫ লাখ টাকা মূল্যের পাটের খালি বস্তা মজুত রাখা ছিল। আগুনে পুড়ে আমার সব শেষ হয়ে গেছে।

মোহনগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ইনচার্জ মোঃ মকবুল হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জ্যোতি সাহার ওয়ার্ক শর্পের বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুণের সূত্রপাত হয়েছে। চারে চার ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে মোহনগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মী শফিকুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান আহত হন। অগ্নিকান্ডে দুইটি বসতঘরসহ ১০টি দোকান পুড়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, আগুণে পুড়ে যাওয়া ঘর ও মালামালের ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান প্রায় কোটি টাকার মতো হবে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।

মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফুজ্জামান বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অগ্নিকান্ডে ক্ষয়-ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নিরুপণ করার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনের দাফন সম্পন্ন

মোহনগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২ বসত ঘরসহ ১০টি দোকান পুড়ে ছাই

আপডেট : ০৬:৫৮:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৯

এ কে এম আব্দুল্লাহ, নেত্রকোনা ঃ নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ পৌর শহরে সিনেমা হল রোডে সোমবার শেষ রাতে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে দুইটি বসত ঘর সহ ১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, সোমবার দিরাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে মোহনগঞ্জ পৌর শহরের সিনেমা হল রোডের জ্যোতি সাহার ওয়ার্ক শর্প থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। মূহুর্তে আগুনের লেলিহান শিখা চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে মোহনগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ও নেত্রকোনা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

ততক্ষণে মানিক সাহার ওয়ার্ক শর্প, আব্দুর রাশিদের মেশিনারী পার্সের দোকান, দুদু মিয়ার বস্তার গোদাম, পরিমলের মুদির গোদাম, নূর আহম্মদের সুতা জাল ও ত্রিপালের গোদাম, লালন মিয়ার সুতা জাল ও ত্রিপালের দোকান, সোহরাব মিয়ার সুতা জাল ও ত্রিপালের দোকান, রবির মুদির দোকান এবং হাসান শেখের বসত ঘর ও হ্যাপী চৌধুরীর বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
পাটের খালি বস্তা ব্যবসায়ী দুদু মিয়া কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার গোদাম ঘরে প্রায় ১৪/১৫ লাখ টাকা মূল্যের পাটের খালি বস্তা মজুত রাখা ছিল। আগুনে পুড়ে আমার সব শেষ হয়ে গেছে।

মোহনগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ইনচার্জ মোঃ মকবুল হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জ্যোতি সাহার ওয়ার্ক শর্পের বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুণের সূত্রপাত হয়েছে। চারে চার ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে মোহনগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মী শফিকুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান আহত হন। অগ্নিকান্ডে দুইটি বসতঘরসহ ১০টি দোকান পুড়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, আগুণে পুড়ে যাওয়া ঘর ও মালামালের ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান প্রায় কোটি টাকার মতো হবে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।

মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফুজ্জামান বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অগ্নিকান্ডে ক্ষয়-ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নিরুপণ করার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।