নেত্রকোনা ০৩:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহিলা কলেজ এমপিওভুক্তির দাবিতে কমলগঞ্জে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মানববন্ধন

  • আপডেট : ০৫:০৯:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৯
  • ১৯৯

নাঈম আলী, কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:
এমপিওভুক্তির সকল শর্ত পূরণ করেই সম্প্রতি এমপিওভুক্তি হতে পারেনি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার নারী শিক্ষার একমাত্র উচ্চ বিদ্যাপীঠ আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা কলেজ। বিগত ১৯ বছর ধরে কমলগঞ্জে নারী শিক্ষা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও এমপিও বঞ্চিত রয়েছে এ কলেজটি।

পূর্ণ:বিবেচনায় কলেজটিকে এমপিওভূক্তিকরণের দাবিতে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল সোয়া ১১টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কলেজের সামনের রাস্তার দুইধারে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, পরিচালনা পরিষদ, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।পরে কলেজের পক্ষ থেকে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে নির্বাচিত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের (উচ্চ মাধ্যমিক স্তর) এমপিওভূক্তির আওতায় আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা কলেজকে এমপিওভূক্তি করণের জন্য কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুলের সভাপতিত্বে ও প্রভাষক শর্মিলা সিনহার সঞ্চালনায় মানবন্ধনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলেজ অধ্যক্ষ মো. হেলাল উদ্দিন। মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমদ, সাব্বির আহমদ ভূঁইয়া, উপজেলা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি অধ্যাপিকা মঞ্জুশ্রী রায়, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন দেব, মণিপুরী থিয়েটারের নির্বাহী প্রধান সুভাশীস সিনহা, কমলগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি এম, এ, ওয়াহিদ রুলু, সাধারণ সম্পাদক শাহীন আহমেদ, যুবলীগ নেতা মোশাহিদ আলী, ইউপি সদস্য রুপেন্দ্র কুমার সিংহ, সমাজসেবক রাসেল হাসান বক্ত, শিক্ষার্থী তিশা মামুন প্রমুখ।

মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে কমলগঞ্জ-আদমপুর সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক ও কমলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাসের নের্তৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে আসেন। এক পর্যায়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মানববন্ধনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক।

পূর্ণ:বিবেচনায় কলেজটিকে এমপিওভুক্তিকরণে হস্তক্ষেপ কামনা করে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি স্মারক লিপি পেশ করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক স্মারকলিপি গ্রহণের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনি যথাযথ কতৃপক্ষের মাধ্যমে স্মারকলিপিটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেরণ করবেন। তিনি আরও বলেন, কমলগঞ্জ উপজেলার একমাত্র মহিলা কলেজ এটি। এটির শিক্ষার মান ও ফলাফল খুবই ভাল। কিন্তু কি কারণে এটি এমপিওভুক্ত হয়নি তা তিনি বুঝতে পারছেন না। তিনি আশাবাদী যে আগামীতে আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা কলেজটি এমপিওভুক্ত হবে।

কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল ও অধ্যক্ষ মো. হেলাল উদ্দিনসহ বক্তারা বলেন, ২০০০ সালে আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা প্রতিষ্ঠা হয়। এখানে মণিপুরী, খাসিয়া, চা শ্রমিকসহ ক্ষুদ্র নৃতাত্তি¡ক জনগোষ্ঠী ও গ্রামাঞ্চলের মেয়েরা পড়াশুনা করছে। ২০০২ সালে কলেজটি একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। ২০০৪ সালে মৌলভীবাজার জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে। ২০০৪ সাল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ভেন্যু হয়েছে। এ কলেজে ১৬ জন শিক্ষক ও ৫ জন কর্মচারী টানা ১৯ বছর ধরে অনেকটা স্বেচ্ছাশ্রমে পাঠদান করছেন। এমপিওভুক্তির নীতিমালা মেনে আবেদন করলেও গত ২৩ অক্টোবর সরকার ঘোষিত এমপিওভুক্তির তালিকায় কলেজটি অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় বিনা পারিশ্রমিকে শিক্ষাদান করে আসা শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ চরম হতাশায় ভেঙে পড়েন। এ অবস্থায় কলেজটির শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা নিতান্তই দুরূহ হয়ে পড়ছে। যা কলেজের ভবিষ্যৎকে এক গভীর সংকটে নিপতিত করবে।

বক্তারা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার। বিশেষ করে নারীশিক্ষার উন্নয়নে এই সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দ্রুত কলেজটিকে এমপিওভুক্ত করা হলে প্রান্তিক পর্যায়ে শিক্ষার অগ্রগতি যেমন বাড়বে, তেমনি বাংলাদেশে নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠীর নারীশিক্ষার ধারাও বেগবান হবে।

তাই ২০১৯ – ২০২০ অর্থবছরে নির্বাচিত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের (উচ্চ মাধ্যমিক স্তর) এমপিওভূক্তির আওতায় আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা কলেজকে অন্তভূক্তিকরণের বিষয়টি বিশেষ বিবেচনা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশুদৃষ্টি কামনা করেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনের দাফন সম্পন্ন

মহিলা কলেজ এমপিওভুক্তির দাবিতে কমলগঞ্জে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মানববন্ধন

আপডেট : ০৫:০৯:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৯

নাঈম আলী, কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:
এমপিওভুক্তির সকল শর্ত পূরণ করেই সম্প্রতি এমপিওভুক্তি হতে পারেনি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার নারী শিক্ষার একমাত্র উচ্চ বিদ্যাপীঠ আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা কলেজ। বিগত ১৯ বছর ধরে কমলগঞ্জে নারী শিক্ষা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও এমপিও বঞ্চিত রয়েছে এ কলেজটি।

পূর্ণ:বিবেচনায় কলেজটিকে এমপিওভূক্তিকরণের দাবিতে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল সোয়া ১১টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কলেজের সামনের রাস্তার দুইধারে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, পরিচালনা পরিষদ, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।পরে কলেজের পক্ষ থেকে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে নির্বাচিত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের (উচ্চ মাধ্যমিক স্তর) এমপিওভূক্তির আওতায় আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা কলেজকে এমপিওভূক্তি করণের জন্য কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুলের সভাপতিত্বে ও প্রভাষক শর্মিলা সিনহার সঞ্চালনায় মানবন্ধনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলেজ অধ্যক্ষ মো. হেলাল উদ্দিন। মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমদ, সাব্বির আহমদ ভূঁইয়া, উপজেলা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি অধ্যাপিকা মঞ্জুশ্রী রায়, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন দেব, মণিপুরী থিয়েটারের নির্বাহী প্রধান সুভাশীস সিনহা, কমলগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি এম, এ, ওয়াহিদ রুলু, সাধারণ সম্পাদক শাহীন আহমেদ, যুবলীগ নেতা মোশাহিদ আলী, ইউপি সদস্য রুপেন্দ্র কুমার সিংহ, সমাজসেবক রাসেল হাসান বক্ত, শিক্ষার্থী তিশা মামুন প্রমুখ।

মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে কমলগঞ্জ-আদমপুর সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক ও কমলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাসের নের্তৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে আসেন। এক পর্যায়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মানববন্ধনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক।

পূর্ণ:বিবেচনায় কলেজটিকে এমপিওভুক্তিকরণে হস্তক্ষেপ কামনা করে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি স্মারক লিপি পেশ করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক স্মারকলিপি গ্রহণের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনি যথাযথ কতৃপক্ষের মাধ্যমে স্মারকলিপিটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেরণ করবেন। তিনি আরও বলেন, কমলগঞ্জ উপজেলার একমাত্র মহিলা কলেজ এটি। এটির শিক্ষার মান ও ফলাফল খুবই ভাল। কিন্তু কি কারণে এটি এমপিওভুক্ত হয়নি তা তিনি বুঝতে পারছেন না। তিনি আশাবাদী যে আগামীতে আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা কলেজটি এমপিওভুক্ত হবে।

কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল ও অধ্যক্ষ মো. হেলাল উদ্দিনসহ বক্তারা বলেন, ২০০০ সালে আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা প্রতিষ্ঠা হয়। এখানে মণিপুরী, খাসিয়া, চা শ্রমিকসহ ক্ষুদ্র নৃতাত্তি¡ক জনগোষ্ঠী ও গ্রামাঞ্চলের মেয়েরা পড়াশুনা করছে। ২০০২ সালে কলেজটি একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। ২০০৪ সালে মৌলভীবাজার জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে। ২০০৪ সাল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ভেন্যু হয়েছে। এ কলেজে ১৬ জন শিক্ষক ও ৫ জন কর্মচারী টানা ১৯ বছর ধরে অনেকটা স্বেচ্ছাশ্রমে পাঠদান করছেন। এমপিওভুক্তির নীতিমালা মেনে আবেদন করলেও গত ২৩ অক্টোবর সরকার ঘোষিত এমপিওভুক্তির তালিকায় কলেজটি অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় বিনা পারিশ্রমিকে শিক্ষাদান করে আসা শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ চরম হতাশায় ভেঙে পড়েন। এ অবস্থায় কলেজটির শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা নিতান্তই দুরূহ হয়ে পড়ছে। যা কলেজের ভবিষ্যৎকে এক গভীর সংকটে নিপতিত করবে।

বক্তারা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার। বিশেষ করে নারীশিক্ষার উন্নয়নে এই সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দ্রুত কলেজটিকে এমপিওভুক্ত করা হলে প্রান্তিক পর্যায়ে শিক্ষার অগ্রগতি যেমন বাড়বে, তেমনি বাংলাদেশে নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠীর নারীশিক্ষার ধারাও বেগবান হবে।

তাই ২০১৯ – ২০২০ অর্থবছরে নির্বাচিত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের (উচ্চ মাধ্যমিক স্তর) এমপিওভূক্তির আওতায় আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা কলেজকে অন্তভূক্তিকরণের বিষয়টি বিশেষ বিবেচনা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশুদৃষ্টি কামনা করেন।