নেত্রকোনা ১০:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মদনে ফসলি জমিতে তৈরী হচ্ছে ইট ভাটা পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা

  • আপডেট : ০৬:১৮:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৯
  • ১৯৭

মোতাহার আলম চৌধুরী,মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ

সরকারি নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে নেত্রকোনার মদন উপজেলায় মদন গ্রামের সামনে দু’ফসলি জমি নষ্ট করে তৈরি হচ্ছে ইট ভাটা।

নেত্রকোনার পৌর-সদরের শামছুল কবিরের ছেলে হুমায়ূন কবীর লিটন মদন মৌজার ৬৫১ নং দাগে ১ একর ৮৪ শতাংশ ফসলি জমিতে ইটের ভাটা তৈরি করার উদ্যেগ গ্রহণ করে।

কাজটির প্রতিবাদে ওই হাওরের কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপি মাবনবন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। ইট ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে কৃষি কর্মকর্তা বরাবর স্বারকলিপিও প্রদান করেন।

কার্যক্রম কয়েকদিন বন্ধ রেখে এলাকার লোকজনকে ম্যানেজ করে পূনরায় ইটভাটার হাউজ ও চিমনি নির্মাণের কাজ দ্রæত গতিতে সম্পন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে মালিক কর্তৃপক্ষ।

ফসলি জমিতে ইটভাটা তৈরি হচ্ছে খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন এর কার্যক্রম বৃহস্পতিবার থেকে এটি বন্ধ করে দেন। সুচতুর ইটভাটার মালিক লিটন এ ঘটনার পর ইটভাটার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন স্থানে জোড়ালো ভাবে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন বলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এ প্রতিনিধিকে জানান।

এ হাওরের কৃষক সালাম, রফিক ও সাইদুল জানান, এলাকার তিনটি গ্রামের মানুষ এ হাওরের জমিতে দু-টি ফসল উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। এখানে ইটভাটা গড়ে উঠলে ফসলের যেমন ক্ষতি হবে তেমনি পরিবেশের বিপর্যয়সহ শিশু সন্তানদের নিয়ে অভিভাবকগণ থাকবেন আতংকে।

এ জন্য ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য এলাকাবাসী নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনের সড়কে মানববন্ধনসহ স্বারকলিপি প্রদান করেন। কৃষকদের ফসলি জমি রক্ষার্থে ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের জন্য সরকারের কাছে জোড় দাবি জানিয়েছেন তারা।

ইটভাটা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্টানটির মালিক হুমায়ুন কবির লিটন জানান, “আমি এ হাওরে কতক জমি ক্রয় ও উচ্চ মূল্যে বন্ধক নিয়ে ইটভাটা তৈরির জন্য প্রায় কোটি টাকা খরচ করেছি।

ইটভাটার সমস্ত কাগজপত্র আমার চাচাতো ভাই আবুল কাশেমের নামে করার জন্য প্রস্তুতি চলছে। প্রশাসন কাজ বন্ধ রাখলেও কাগজপত্র পেলে এর কাজ শুরু করা হবে।

ইউএনও মোঃ ওয়ালীউল হাসান জানান,ইটভাটাটির বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। ভাটাটি কৃষি জমিতে হওয়ায় আমরা এরকাজ একেবারে বন্ধ করে দিয়েছি। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কোনো ইট ভাটা চলবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।

মদনে ফসলি জমিতে তৈরী হচ্ছে ইট ভাটা পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা

আপডেট : ০৬:১৮:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৯

মোতাহার আলম চৌধুরী,মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ

সরকারি নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে নেত্রকোনার মদন উপজেলায় মদন গ্রামের সামনে দু’ফসলি জমি নষ্ট করে তৈরি হচ্ছে ইট ভাটা।

নেত্রকোনার পৌর-সদরের শামছুল কবিরের ছেলে হুমায়ূন কবীর লিটন মদন মৌজার ৬৫১ নং দাগে ১ একর ৮৪ শতাংশ ফসলি জমিতে ইটের ভাটা তৈরি করার উদ্যেগ গ্রহণ করে।

কাজটির প্রতিবাদে ওই হাওরের কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপি মাবনবন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। ইট ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে কৃষি কর্মকর্তা বরাবর স্বারকলিপিও প্রদান করেন।

কার্যক্রম কয়েকদিন বন্ধ রেখে এলাকার লোকজনকে ম্যানেজ করে পূনরায় ইটভাটার হাউজ ও চিমনি নির্মাণের কাজ দ্রæত গতিতে সম্পন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে মালিক কর্তৃপক্ষ।

ফসলি জমিতে ইটভাটা তৈরি হচ্ছে খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন এর কার্যক্রম বৃহস্পতিবার থেকে এটি বন্ধ করে দেন। সুচতুর ইটভাটার মালিক লিটন এ ঘটনার পর ইটভাটার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন স্থানে জোড়ালো ভাবে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন বলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এ প্রতিনিধিকে জানান।

এ হাওরের কৃষক সালাম, রফিক ও সাইদুল জানান, এলাকার তিনটি গ্রামের মানুষ এ হাওরের জমিতে দু-টি ফসল উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। এখানে ইটভাটা গড়ে উঠলে ফসলের যেমন ক্ষতি হবে তেমনি পরিবেশের বিপর্যয়সহ শিশু সন্তানদের নিয়ে অভিভাবকগণ থাকবেন আতংকে।

এ জন্য ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য এলাকাবাসী নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনের সড়কে মানববন্ধনসহ স্বারকলিপি প্রদান করেন। কৃষকদের ফসলি জমি রক্ষার্থে ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের জন্য সরকারের কাছে জোড় দাবি জানিয়েছেন তারা।

ইটভাটা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্টানটির মালিক হুমায়ুন কবির লিটন জানান, “আমি এ হাওরে কতক জমি ক্রয় ও উচ্চ মূল্যে বন্ধক নিয়ে ইটভাটা তৈরির জন্য প্রায় কোটি টাকা খরচ করেছি।

ইটভাটার সমস্ত কাগজপত্র আমার চাচাতো ভাই আবুল কাশেমের নামে করার জন্য প্রস্তুতি চলছে। প্রশাসন কাজ বন্ধ রাখলেও কাগজপত্র পেলে এর কাজ শুরু করা হবে।

ইউএনও মোঃ ওয়ালীউল হাসান জানান,ইটভাটাটির বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। ভাটাটি কৃষি জমিতে হওয়ায় আমরা এরকাজ একেবারে বন্ধ করে দিয়েছি। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কোনো ইট ভাটা চলবে না।