মোতাহার আলম চৌধুরী,মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার মদন উপজেলার মদন আদর্শ কারিগরি কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার ছোয়া নিখোঁজ হওয়ার ৭ দিনেও কোনো সন্ধান মিলেনি। সে উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের এনায়েত কবিরের মেয়ে। এ ব্যাপারে মেয়ের সন্ধান চেয়ে পিতা এনায়েত কবির মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে প্রকাশ, ২৭ আগষ্ট সকালে সুমাইয়া আক্তার ছোয়া কারিগরি কলেজে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এর পর বাড়ি ফিরে না আসায় অনেক খোজাখুজি করে পাশের কাওয়ালীবিন্নি গ্রামের মজু রহমানের কলেজ পড়–য়া ছেলে মোফাজ্জল হোসেনকে সন্দেহ করে মেয়েটির পরিবারের লোকজন। ওই রাতেই মেয়েটির বাবা এনায়েত কবির মদন থানায় অপহরণের একটি অভিযোগ করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার সরজমিনে ছেলের বাড়ি কাওয়ালীবিন্নি গেলে তার মা হাদিসা আক্তার ছাড়া পরিবারের আর কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তিনি জানান, আমার ছেলে ঢাকা যাওয়ার কথা বলে ২৭ আগষ্ট সকালে বাড়ি থেকে বের হয়। ওই দিন বিকালে মেয়ের মা লিপি চৌধুরী আমার বাড়িতে এসে জানান, আপনার ছেলে আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। আমি আমার ছেলের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে মোবইল ফোন বন্ধ পাই। যদি আমার ছেলে ওই মেয়েকে নিয়েই থাকে তবে তাদের বিবাহের ব্যবস্থা করব।
মেয়ের বাবা এনায়েত কবির জানান, আমার মেয়েকে ২৭ আগষ্ট থেকে খোঁজে পাচ্ছি না। নানা গুঞ্জনে ওই রাতেই এ ব্যাপারে মদন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। আমার মেয়েকে আমি ফেরত চাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যাক্তি জানান, ওই মেয়টির সাথে কাওয়ালীবিন্নির মোফাজ্জলের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই রায়হান জানান, এ ঘটনায় মেয়ে বাবা এনায়েত কবির ২৭ আগষ্ট একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। মেয়েটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে।