নেত্রকোনা ০৩:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোনায় ডিবি’র পৃথক অভিযানে দু’দিনে ১৩ জুয়াড়ি আটক

  • আপডেট : ০৭:১১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০১৯
  • ২০৭

কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন, নেত্রকোনা :

নেত্রকোনা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ দু’দিনে জুয়া খেলার দায়ে ১৩ জনকে আটক করেছে। ডিবির এসআই তপন চন্দ্র বাকালীর একটি টিম সদর উপজেলা থেকে পাঁচ জনকে ও ডিবির আরেকটি টিম মোহনগঞ্জ উপজেলা হতে আটজনকে আটক করে। আটককৃত পাঁচজনকে শনিবার বিকেলে ও অপর আটজনকে শুক্রবার বিকেলে জুয়া আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ডিবির ওসি মো. শাহ্ নুর এ আলম।

তিনি বলেন, শুক্রবার দিনগত রাতে ডিবির এসআই তপন চন্দ্র বাকালী ও তার টিম নেত্রকোনা সদর উপজেলায় কাংশা গ্রামের তোতা মিয়ার ঘরের পিছনে জুয়া খেলার সময় পাঁচ জনকে আটক করে। তারা হলো আসদ আটী গ্রামের মৃত আ. রহমানে ছেলে জসিম (৪৮) ও মৃত খগেন্দ চন্দুর ছেলে লিটন (২৫), কাংশা গ্রামের মৃত আ. ছাত্তারের ছেলে বিক্কু (৪২) ও মহিম উদ্দীনের ছেলে রফিকুল (৩২) এবং বাইশদার গ্রামের মৃত মুখছেদ মিয়ার ছেলে হেলাল (৪৫)। ধৃতদেরকে শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে জুয়া আইনে মামলা দিয়ে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার (২৯ আগস্ট) ডিবির এসআই শরীফুল ও তার টিম জুয়ার খেলার অপরাধে আটজনকে মোহনগঞ্জ উপজেলা থেকে আটক করেছিল। তারা সকলে ওই উপজেলার নাগডুরা গ্রামের এবং ধৃত সকলকে শুক্রবারেই আদালতে সোপর্দ করা হয়। ধৃতরা হলো- মো. জমির উদ্দিনের ছেলে বাছিরুল (২৪), মৃত কাচু মিয়ার ছেলে হান্নান (৩৫), মো. আ. রশিদের ছেলে বাচ্চ (৫০), মৃত লাল মিয়ার ছেলে হাসিদ (৩৫) মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে মমিন (৪০), আলতু মিয়ার ছেলে সোলাইমান (২২), মৃত আ. খালেকের ছেলে মঞ্জুরুল (২০), মৃত আ. গফুরে ছেলে রফিকুল (১৯)। তাদেরকে জুয়া আইনে শুক্রবারে আদালতে গ্রেরণ করা হয়।

জুয়াসহ মাদক বিরোধী অভিযানে তাদের জিরো ট্রলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে বলে জানান গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. শাহ্ নুর এ আলম।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনের দাফন সম্পন্ন

নেত্রকোনায় ডিবি’র পৃথক অভিযানে দু’দিনে ১৩ জুয়াড়ি আটক

আপডেট : ০৭:১১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০১৯

কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন, নেত্রকোনা :

নেত্রকোনা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ দু’দিনে জুয়া খেলার দায়ে ১৩ জনকে আটক করেছে। ডিবির এসআই তপন চন্দ্র বাকালীর একটি টিম সদর উপজেলা থেকে পাঁচ জনকে ও ডিবির আরেকটি টিম মোহনগঞ্জ উপজেলা হতে আটজনকে আটক করে। আটককৃত পাঁচজনকে শনিবার বিকেলে ও অপর আটজনকে শুক্রবার বিকেলে জুয়া আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ডিবির ওসি মো. শাহ্ নুর এ আলম।

তিনি বলেন, শুক্রবার দিনগত রাতে ডিবির এসআই তপন চন্দ্র বাকালী ও তার টিম নেত্রকোনা সদর উপজেলায় কাংশা গ্রামের তোতা মিয়ার ঘরের পিছনে জুয়া খেলার সময় পাঁচ জনকে আটক করে। তারা হলো আসদ আটী গ্রামের মৃত আ. রহমানে ছেলে জসিম (৪৮) ও মৃত খগেন্দ চন্দুর ছেলে লিটন (২৫), কাংশা গ্রামের মৃত আ. ছাত্তারের ছেলে বিক্কু (৪২) ও মহিম উদ্দীনের ছেলে রফিকুল (৩২) এবং বাইশদার গ্রামের মৃত মুখছেদ মিয়ার ছেলে হেলাল (৪৫)। ধৃতদেরকে শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে জুয়া আইনে মামলা দিয়ে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার (২৯ আগস্ট) ডিবির এসআই শরীফুল ও তার টিম জুয়ার খেলার অপরাধে আটজনকে মোহনগঞ্জ উপজেলা থেকে আটক করেছিল। তারা সকলে ওই উপজেলার নাগডুরা গ্রামের এবং ধৃত সকলকে শুক্রবারেই আদালতে সোপর্দ করা হয়। ধৃতরা হলো- মো. জমির উদ্দিনের ছেলে বাছিরুল (২৪), মৃত কাচু মিয়ার ছেলে হান্নান (৩৫), মো. আ. রশিদের ছেলে বাচ্চ (৫০), মৃত লাল মিয়ার ছেলে হাসিদ (৩৫) মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে মমিন (৪০), আলতু মিয়ার ছেলে সোলাইমান (২২), মৃত আ. খালেকের ছেলে মঞ্জুরুল (২০), মৃত আ. গফুরে ছেলে রফিকুল (১৯)। তাদেরকে জুয়া আইনে শুক্রবারে আদালতে গ্রেরণ করা হয়।

জুয়াসহ মাদক বিরোধী অভিযানে তাদের জিরো ট্রলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে বলে জানান গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. শাহ্ নুর এ আলম।