নেত্রকোনা সদর উপজেলার সিংহের বাংলা ইউনিয়নে বাল্য বিয়ের আয়োজন করায় কনের বাবা লাক মিয়াকে ১০ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন সদর উপজেলা ইউএনও মাসুদা আক্তার।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় ইউনিয়নের ময়মনসিংহ রুহী কুড়েরপাড় এলাকায় মৃত শাহ আলমের ছেলে লাক মিয়ার বাড়িতে ইউএনও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ দন্ড প্রদান করেন।
ইউএনও জানান, লাক মিয়া তার ১৫ বছর বয়সী মেয়ের বিয়ের দেয়ার খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন তিনি। ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখে বরযাত্রীরা বরসহ পালিয়ে যায়।
ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম জানান, গত বৃহস্পতিবার লাকমিয়া তার দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে কৃষ্ণগোবিন্দ স্কুলের ছাত্রীকে শ্যামগঞ্জে বিয়ে দেয়ার দিন ধার্য্য করে।
খবর পেয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে গিয়ে বিবাহটি বন্ধ করেন চেয়ারম্যান। পরবর্তীতে লুকিয়ে পুনরায় বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করার খবর পেয়ে ইউএনও কে অবহিত করলে শনিবার সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ইউএনও। এসময় কনের বাড়িতে আসা বর ও বরের পক্ষের সবাই পালিয়ে যায়। পরে কনের বাবাকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন এবং কনের প্রাপ্ত বয়সের আগে বিয়ে দেবে না এই মর্মে মুচলেকা নেন।