নেত্রকোনা ০৬:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্গাপুরে সোমেশ্বরী নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন

  • আপডেট : ০৫:২৮:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০১৯
  • ১১০৭

কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন, নেত্রকোনা :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা পৌর সদরে তেরীবাজারস্থ শহর রক্ষাবাঁধ ঘেঁষে বালু ব্যবসায়ির অবৈধভাবে নির্মিত ঘরটির স্থাপনা গুড়িয়ে দিলো ভ্রাম্যমান আদালত। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ অভিযান পরিচালনা করেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মি. রুয়েল সাংমা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২নং বালু মহালের ইজারাদার সর্দার আলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে তেরী বাজারের শহর রক্ষাবাঁধ এর উপরে একটি টিনশেড ঘর নির্মান করে। পরে স্থানীয়রা শহর রক্ষাবাঁধের উপর ঘর নির্মানের ব্যাপারে বাঁধা প্রদান করে এবং এক পর্যায়ে এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করলে জেলা প্রশাসন ও ভূমি অফিস কর্তৃপক্ষ সোমেশ্বরী নদীর তীরে ব্লকের উপরে ঘর নির্মানের বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করে সকল ধরনের নির্মান কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন দুর্গাপুর উপজেলার ইউএনও ফারজানা খানম।

এ নিষেধকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চুপিসারে সর্দার আলাল উদ্দিন ঘরটি পুনঃনির্মান করেন। এর আগেও উপজেলা প্রশাসন ঘরটি’র স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য বেশ কয়েকবার মৌখিক ও নোটিশের মাধ্যমে অবগত করেন বালু ব্যবসায়িকে।

সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা খানম ঘরটি স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য পুনরায় বললে সর্দার আলাল উদ্দিন কোন উত্তর না দিয়ে ওই স্থান ত্যাগ করে চলে যান। ওই দিন বিকেলেই সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মি. রুয়েল সাংমার নেতৃত্বে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে প্রায় এক ঘন্টা অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনার অর্ধপাকা টিনশেড ঘরটির নিচের অংশ ভেঙ্গে ফেলেন ।

এ সময় সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মি.রুয়েল সাংমা বলেন, এই অবৈধ স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে। সকল ধরনের অবৈধ স্থাপনার দখল উচ্ছেদ, সরকারি খাস ভূমি আত্মসাৎ সহ সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনের দাফন সম্পন্ন

দুর্গাপুরে সোমেশ্বরী নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন

আপডেট : ০৫:২৮:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০১৯

কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন, নেত্রকোনা :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা পৌর সদরে তেরীবাজারস্থ শহর রক্ষাবাঁধ ঘেঁষে বালু ব্যবসায়ির অবৈধভাবে নির্মিত ঘরটির স্থাপনা গুড়িয়ে দিলো ভ্রাম্যমান আদালত। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ অভিযান পরিচালনা করেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মি. রুয়েল সাংমা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২নং বালু মহালের ইজারাদার সর্দার আলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে তেরী বাজারের শহর রক্ষাবাঁধ এর উপরে একটি টিনশেড ঘর নির্মান করে। পরে স্থানীয়রা শহর রক্ষাবাঁধের উপর ঘর নির্মানের ব্যাপারে বাঁধা প্রদান করে এবং এক পর্যায়ে এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করলে জেলা প্রশাসন ও ভূমি অফিস কর্তৃপক্ষ সোমেশ্বরী নদীর তীরে ব্লকের উপরে ঘর নির্মানের বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করে সকল ধরনের নির্মান কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন দুর্গাপুর উপজেলার ইউএনও ফারজানা খানম।

এ নিষেধকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চুপিসারে সর্দার আলাল উদ্দিন ঘরটি পুনঃনির্মান করেন। এর আগেও উপজেলা প্রশাসন ঘরটি’র স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য বেশ কয়েকবার মৌখিক ও নোটিশের মাধ্যমে অবগত করেন বালু ব্যবসায়িকে।

সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা খানম ঘরটি স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য পুনরায় বললে সর্দার আলাল উদ্দিন কোন উত্তর না দিয়ে ওই স্থান ত্যাগ করে চলে যান। ওই দিন বিকেলেই সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মি. রুয়েল সাংমার নেতৃত্বে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে প্রায় এক ঘন্টা অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনার অর্ধপাকা টিনশেড ঘরটির নিচের অংশ ভেঙ্গে ফেলেন ।

এ সময় সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মি.রুয়েল সাংমা বলেন, এই অবৈধ স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে। সকল ধরনের অবৈধ স্থাপনার দখল উচ্ছেদ, সরকারি খাস ভূমি আত্মসাৎ সহ সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।